Call

পবিত্র কুরআনের যে সমস্ত তাফসীর যুগ যুগ থেকে মানুষ পঠন করে আসতে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরে কাসসাফ, তাফহীমুল কুরআন ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে সামান্য কথা আছে-- কেউ কেউ মনে করেন কোন আলেম বা মুফাসসির নির্দিষ্ট কোন গোত্র বা জাতিকে নিয়ে কুরআনের তাফসীর করেছে। এটা ভুল ধারনা। আরবী ভাষা খুব স্পর্শকাতর ভাষা। যদি কেউ তেমন মতামত দেয় যে উমুক মুফাসসিরের তাফসীর ভালোনা বা উমুক মুফাসসিরের তাফসীর ভালো, আসলে কোনটা ভালো তা তখনই জানা যাবে যখন কোন পাঠক উভয় তাফসীরগুলো পাঠ করবে। তাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনার যদি সময় থাকে তাহলে উভয় রকমের বা লেখকের তাফসীর পাঠ করবেন। এখানে ব্যাকারণগত বা ভাষার সামান্য তারতম্যের কারণে বুঝতেও তারতম্য হতে পারে। ধর্ম কেন্দ্রিক যত ফেতনা বা মতামত বা মতের অমিল আছে তার মধ্যে ইসলাম ধর্মেই বেশি আছে বলে আমি মনে করি। একভার ভাবুন শিয়া, সুন্নি, আবার চার মাজহাব ইত্যাদি। কোন মাজহাবে মোনাজাত করতে মানা আবার কোনটায় নেই ইত্যাদি। ইসলাম ও পবিত্র কুরআনের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা গ্রহণ করার লক্ষে এতকিছু লিখলাম। সুতরাং কারো মতামতের উপর ভিত্তি করে আপনি এক মুফাসসিরের লেখা অযোগ্য মনে করে অন্য মুফাসসিরের লেখা যোগ্য মনে করলে বোধহয় ভুল হয়ে যাবে। অর্থাৎ আমি যা বুঝাতে চেয়েছি একই অর্থ একেক আলেম একেক রকম করে (কেউ সহজ ভাষায় আবার কেউ কঠিন ভাষায়) উপস্থাপন করলো। একটা উদাহরণ দিই-- আমি কয়েকমাস পূর্বে বাংলায় ওল্ড টেষ্টামেন্ট পড়ার চেষ্টা করলাম। প্রথমে পড়তে গিয়ে একেকটা অনুবাদ একেক রকম লাগে। সেখানে কয়েকটা অনুবাদ একসাথে পড়ার পর বুঝতে পারলাম সারকথা একই কিন্তু ব্যাকারণ ও ভাষাগত দিক থেকে সামান্য তারতম্য তবে মূল অর্থের কোন বদল বা বিকৃত হয়নি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ