মা-বাবার সাথে সন্তানদের মানসিক দূরত্ব থাকলে অনেক সময় মা-বাবা বুঝতেই পারেন না তাদের সন্তানরা কী করে, কোথায় যায়, কাদের সাথে মেশে। বিশেষ করে কিশোরী মেয়েদের প্রতি আলাদা নজর দিতে হবে। কারন এই বয়সেই মেয়েরা ভুল করে বসে। তাই কিশোরি সন্তানের সাথে সময় কাটান, তার কথাগুলো শোনার চেষ্টা করুন বোঝার চেষ্টা করুন। তাকেও আপনাদের কথা বলুন, তার প্রতি আপনাদের ভালোবাসার যে কমতি নেই সেটা বলতে হবে তাকে। আর তার করনীয় সম্পর্কেও তাকে গাইড করতে হবে। অল্প বয়সে এভাবে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনা আগেও ঘটত। কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল ফোন ইত্যাদির অত্যধিক ব্যবহার এসব ভুলে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। অপরিচিত কারো সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা বা চ্যাট করা কিশোরি মেয়েদের আবেগি করে তুলছে। এ বিষয়ে মা-বাবার একটু নজরদারি করা উচিত। এ বিষয়ে খোলামেলা ভাবেই কথা বলা উচিত সন্তানের সাথে। কার সাথে কথা বলা যাবে আর কার সাথে যাবে না, কতক্ষণ সময় দেয়া যাবে ফেসবুকে, মোবাইল কখন বন্ধ করে ঘুমাতে হবে এসব নিয়ম করে দেয়া উচিত। তবে পুরোটাই হতে হবে সুন্দর বন্ধুত্বের ভিতর দিয়ে। কোনোরকম বকাঝকা ছাড়াই সন্তানকে বুঝিয়ে সুন্দরভাবে চলতে উপদেশ দিতে হবে। মনঃচিকিৎসক মোহিত কামালের মতে, 'কিশোর বয়সে আবেগি প্রেমে জড়ানোর বিভিন্ন কারণের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা না পাওয়াটা অন্যতম। এমন কিশোরীরা খুব সহজেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। চোখের নেশায় মুহুর্তেই ভুলে যায় সব কিছু। এ সময় মানসিক রোগাক্রান্তও হয়ে পড়তে পারে কেউ কেউ। পারিবারিক শিক্ষা, ভালোবাসা আর পরিমিত নিয়ন্ত্রণই পারে কিশোরীদের অল্প বয়সে প্রেম আর বিয়ের মতো সিরিয়াস বিষয় থেকে দূরে রাখতে। রাগ না করে বুঝিয়ে বলুন। অভিভাবক হয়েও বন্ধুর মতো খোলামেলা কথা বলুন তাদের সাথে।'