এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলি নির্দেশ করে যে এটি স্নায়ুতন্ত্রের সাথে জড়িত। তবে, স্নায়ুর দুর্বলতার উপসর্গ খুব সুস্পষ্ট নয়; তাই চিকিৎসাগতভাবে রোগ নির্ণয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চিকিৎসাজনিত, পরিবারিক ও পেশাগত ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে ডাক্তারকে, যা অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে। নিম্নলিখিত রোগ নির্ণয় পরীক্ষাগুলি করা হতে পারে: ইলেক্ট্রোডায়গনস্টিক টেস্টস। সেনসরি অ্যান্ড মোটর নার্ভ কন্ডাকশন। এফ রেসপন্স। এইচ রিফলেক্স। নিডল ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি। রক্ত পরীক্ষা। অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। এইচআইভি। সিএসএফ পরীক্ষা (সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুয়িড)। স্নায়ুর দুর্বলতা এক বা একাধিক অন্তর্নিহিত অবস্থার বা ব্যাধির ফলে হতে পারে। তাই, চিকিৎসা মূলত অন্তর্নিহিত কারণগুলির নিরাময়কে লক্ষ্যে রেখে করা হয়। উপলব্ধ চিকিৎসা বিকল্পগুলি নিম্নলিখিত: ব্যথা নিয়ন্ত্রক ওষুধ: ওপিঅয়েডস। স্টেরয়েড বিহীন প্রদাহ-রোধী ওষুধ (এনএসএআইডিএস)। ক্যাপসাইসিন প্যাচ। অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্ট বা অবসাদ নিরাময়কারী ওষুধ। স্নায়ু মেরামত ও উদ্দীপনার জন্য কাইনেটিক থেরাপি। ইলেক্ট্রোস্টিমুলেশন: ট্রান্সকুটানিয়াস ইলেক্ট্রোস্টিমুলেশন (টিসিইএস)। ইলেক্ট্রোআকুপাংচার। ম্যাগনেটোথেরাপি: এনজাইম্যাটিক স্টিমুলেশন, রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে পালসড ম্যাগনেটিক ফিল্ড স্নায়ু পুনর্নিমাণ করে। বায়ো লেসার স্টিমুলেশন: স্নায়ুর মেরামতিতে লেসার রেডিয়েশন ব্যবহৃত হতে পারে। মুখের পক্ষাঘাতের চিকিৎসায় মুখমণ্ডলের নিউরোমাস্কুলার নিরোধক কৌশল। পেশী মজবুত করতে ফিজিকাল থেরাপি অনুশালীন। স্নায়ুকে শান্ত এবং শক্তিশালী করতে যোগা এবং ধ্যান। অস্ত্রোপ্রচার সংক্রান্ত পদক্ষেপ। স্নায়ুর দুর্বলতার পরিচালনায় স্বাস্থকর জীবনশৈলী ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।