অ্যানোরেক্টাল উপসর্গ এবং চিকিৎসার ইতিহাসের একটি সতর্ক পর্যবেক্ষণ এই রোগটি নির্ণয় করতে সাহায্য করবে। ডাক্তার আপনাকে জ্বর, দুর্বলতা, ফোলাভাব এবং লালচে ভাবের মতো লক্ষণগুলির সন্ধান করতে পরীক্ষা করবে। কিছু অধিমাংস মলদ্বারের ত্বকের উপর আচমকা বাহ্যিকভাবে দেখা যেতে পারে। শারীরিক পরীক্ষার সময় রক্ত অথবা পূঁজ বেরোতে দেখা যেতে পারে। পূঁজ অথবা রক্ত বেরোচ্ছে কিনা দেখার জন্য ডাক্তাররা জায়গাটাতে চাপ দিতে পারেন। একটি ফিস্টুলা প্রোব, অ্যানোস্কোপ এবং ইমেজিং স্টাডিজ (আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান) ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিজিটাল রেকটাল পরীক্ষা বেদনাদায়ক হতে পারে এবং পূঁজ মুক্ত করতে পারে। ফিস্টুলা অনেক সময় তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু মাঝে মাঝে আবার দেখা দিতে পারে তাই সেক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করা আরো কঠিন হয়ে যায়। এর চিকিৎসার জন্য আজ পর্যন্ত কোন ওষুধ অথবা ড্রাগ পাওয়া যায় নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সার্জারির মাধ্যমে ফিস্টুলার চিকিৎসা করা হয়। এটা নিজে থেকে ঠিক হয় না। চিকিৎসার জন্য সার্জারির সাথে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। সার্জিকাল চিকিৎসার বিকল্পগুলি নিচে দেওয়া হল: ফিস্টুলটোমি এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ ফিস্টুলাটা কেটে ফেলা হয় এবং অন্যান্য ক্ষত গুলোর মতো সারতে দেওয়া হয়। সিটোন পদ্ধতি সিটোন নামক একটি পাতলা অস্ত্রোপচারের রাবারকে ফিস্টুলায় আটকানো হয় এবং এর অন্য প্রান্তের সাথে বলয় আকারে যোগ করা হয়। ক্ষত সারানোর জন্য এটা কয়েক সপ্তাহের জন্য আটকানো হয়, এর সাথে সাথে ফিস্টুলার চিকিৎসার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। অন্যান্য কৌশল অন্যান্য পদ্ধতি, যেমন আঠা, টিস্যু, বা একটি বিশেষ প্লাগের ব্যবহার করেও ফিস্টুলা সারানো যায়। রিকন্সট্রাক্টিভ সার্জারি সম্পূর্ণভাবে ফিস্টুলা বন্ধ করার পদ্ধতি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ