সাধারণত স্যাটেলাইট বলতে,পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে এমন স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরণের তারবিহীন রিসিভার বা ট্রান্সমিটারকে স্যাটেলাইট বলে। স্যাটেলাইট কিংবা কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবিত উপগ্রহ। মানব সৃষ্টি উপগ্রহকে বলা হয়ে থাকে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইট কয়েক ধরণের হয়ে থাকে, যেমন, টেলিভিশন সম্প্রচার, রেডিও যোগাযোগ, ইন্টারনেট যোগাযোগ, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (GPS) এই ধরনের হয়ে থাকে। স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে এই স্যাটেলাইটগুলো বায়ুমন্ডলের বাহিরে নির্দিষ্ট কক্ষ পথে স্থাপন করা হয়ে থাকে। স্যাটেলাইট পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নিজ অক্ষের উপর চার দিকে ঘুরতে থাকে। আবার বহির্মুখীন শক্তি হয়ে বাইরের দিকে গতি প্রদান করে ,কিন্তু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি  পৃথিবীর আওতার বাইরে যেতে দেয় না। উভয় শক্তি কৃত্রিম উপগ্রহকে ভারসাম্য প্রদান করে এবং কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীর চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। যেহেতু মহাকাশে বায়ুর কোন অস্তিত্ব নেই তাই এটি বাধাহীনভাবে পরিক্রমণ করতে পারে। পৃথিবী থেকে বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে তথ্য পাঠানো হয়, কৃত্রিম উপগ্রহ সেগুলো গ্রহণ করে এবং বিবর্ধিত সময়ের মধ্যে এমপ্লিফাই করে পৃথিবীতে প্রেরণ করে  থাকে। সাধারণত স্যাটেলাইট এই ভাব কাজ করে থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ