আমার মায়ের বয়স ৪২,উনি ৭মাসের প্রেগন্যন্ট এখন কিভাবে তার যত্ন নেব?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

আসলে গর্ভবতী   মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। এ সময় অপর্যাপ্ত খাদ্য ও অপুষ্টি, মা ও শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত মায়েরা যে সন্তানের জন্ম দেয়, তাদের ওজন কম হয়, বুদ্ধির বিকাশ ব্যাহত হয় ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। গর্ভাবস্থায় মা নিজের দেহ থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে গর্ভের শিশুকে যথাযথভাবে গড়ে তোলে।

এক্ষেত্রে মায়ের দেহে যে ক্ষয় হয় তা পূরণ করা না হলে মায়ের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। এজন্য গর্ভাবস্থায় মাকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাবার খেতে হবে।

গর্ভকালীন সেবা

  • * গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৩ বেলা খাবারের সঙ্গে নিয়মিত কমপক্ষে এক মুঠো বেশি খাবার খেতে হবে।
  • * মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, ঘন ডাল, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি ও মৌসুমি দেশি ফল খেতে হবে।
  • * গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • * গর্ভাবস্থায় ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।
  • * গর্ভাবস্থায় যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।
  • * গর্ভবতী মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তিতে রাখতে হবে, এতে গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে।
  • * ভারী কাজ এবং কষ্টকর পরিশ্রম বর্জন করতে হবে।
  • * আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে।
  • * পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

গর্ভকালীন যত্ন : গর্ভধারণের পরপরই একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভকালীন যত্নের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে অথবা ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। প্রথম ভিজিটের পর একজন গর্ভবতীকে সাধারণত ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি মাসে একবার, ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ১৫ দিনে একবার এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার গর্ভকালীন যত্নের জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। গর্ভাবস্থায় অন্তত চারবার গর্ভকালীন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। যদি কোনো টিটি টিকা না দিয়ে থাকেন তাহলে টিকা শুরু করতে হবে এবং গর্ভাবস্থায় ৫ মাস পর ২টি টিটি টিকা নিতে হবে, সিডিউল অনুযায়ী বাকি টিকাগুলো নিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ : শিশু ও কিশোরী বয়সে দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টিতে এবং রক্তস্বল্পতায় ভুগলে, অল্প বয়সে গর্ভধারণ করলে, ঘন ঘন সন্তান ধারণ করলে, গর্ভাবস্থায় কম খাদ্য গ্রহণ ও সুষম খাদ্য গ্রহণ না করলে, গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতায় ভুগলে, বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ও কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শারীরিক পরিশ্রম বেশি করলে ও মানসিক উদ্বেগে থাকলে গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি পায় না।  

গর্ভবতী মহিলার ৫টি বিপদ চিহ্ন : একজন গর্ভবতী নারীর যে কোনো সময় যে কোনো বিপদ দেখা দিতে পারে। পরিবারের সবার গর্ভকালীন ৫টি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে এবং যে কোনো একটি দেখা দেওয়া মাত্র তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। যেমন, রক্তক্ষরণ, প্রচণ্ড জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা এবং চোখে ঝাপসা দেখা, খিঁচুনি, অনেকক্ষণ ধরে প্রসব বেদনা (১২ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে থাকলে)

দেশ রুপান্তর পত্রিকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ