রাতে ঘুমাতে গেলে আমার পায়ের পাতা গরম হয়ে থাকে আর প্রায়ই জ্বালাপোড়া করে,যার করণে আমার ঘুম হয় না, এমনও হয় আমি পায়ে বরফ লাগিয়ে রাখি তারপর একটু আরাম বোধ করি, কি করলে এর থেকে মুক্তি পেতে পারি,এরজন্য ঘরোয়া কোনো উপায় জানা থাকলে বলবেন।

ধন্যবাদ... ❤ 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

আসলে বিভিন্ন কারণে পা জ্বালাপোড়া হতে পারে। তবে এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো স্নায়ুরোগ। এছাড়া ভিটামিনের অভাব (ভিটামিন বি১২ এবং  বি৬), দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ, থাইরয়েড সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, পানি চলে আসা, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন কারণেও হতে পারে বার্নিং ফিট সিন্ড্রোম।

তবে এতে ভয় পাবার কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া উপায়ে সহজেই আপনি পায়ের জ্বালাপোড়া রোধ করেতে পারেন।

. রসুন পানি রসুন পানি পায়ের জ্বালাপোড়া দূর করে ব্যথা কমিয়ে দেয়। কয়েক কোয়া রসুন কুচি করে কেটে শর্ষের তেলে গরম করে নিয়ে মেসেজ করুন।

বা,, আদা এক চা চামচ আদার রসের সাথে কুসুম গরম নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পায়ে ম্যাসাজ করুন ১০-১৫ মিনিট। এটি দিনে একবার করুন। এছাড়া আদা চা পান করতে পারেন। এটিও পায়ের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।

 বা,,হলুদ বহুগুণী হলুদ আপনার পায়ের জ্বালাপোড়া রোধ করতে সাহা্য করবে। কুসুম গরম পানিতে ১-২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। এছড়া দুই টেবিল চামচ হলুদ পানিতে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি পা ম্যাসাজ করে লাগান। সাময়িকভাবে পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেবে এটি।

বা,,ঠান্ডা বা বরফ পানি পায়ের জ্বালাপোড়া কমানোর সবচেয়ে সহজ একটি উপায় হলো ঠান্ডা পানি। একটি পাত্রে বরফসহ পানি নিন। এই বরফ পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন পায়ের জ্বালাপোড়া অনেক্টা কমে গেছে।

যদি খুবেই অসহনীয় হয় তাহলে চিকিৎসক এর কাছে যাবেন।

ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ