Call

অনেকেই বলেন, নিয়মিত হাটলে মেদ কমে যায়। কিন্তু বাস্তবে অনেকেই প্রতিদিন নিয়ম করে হাটছেন কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আসলে শুধু হাটা নয় আরও কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে চললে মেদ কমানো যাবে। সে বিষয়ে আসুন আমরা যেনে নেই। ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম অনেকেই মনে করে জিম করা বা কষ্টকর ব্যায়ামই দিতে পারে পেটের মেদ থেকে মুক্তি। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম আপনি যদি নিয়মিত করতে পারেন তাহলে সেটিই আপনার জন্য যথেষ্ট। যেমন বার- পিস, সিঙ্গেল লেগ স্কোয়াট, ফ্লোর ক্রাঞ্চেস্, পুশ-আপস্, চেয়ার ডিপস্ ৩০ সেকেন্ড করে দিনে ৪-৫ বার করে দেখুন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ হাটতে পারেন। নিয়মিত ঘুম পাড়া যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে তাহলে আরেকবার ভাবুন। কারণ অসময়ের ঘুম আপনার শরীরের জৈবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। ফলে আপনার শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। পেটে চর্বি জমার প্রবণতা প্রায় ৫ গুন বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়। মেদ জমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই মেডিক্যাল সায়েন্সের ভাষায় রাতের ৭ ঘন্টা ঘুমই কেবল শরীরকে সুস্থ্য রাখতে পারে। চিনি থেকে সাবধান আপনার পেটের মেদ কমাতে ৮০ ভাগ ভূমিকা রয়েছে সঠিক খাদ্যের। সঠিক খাদ্য বলতে বোঝানো হয় যেগুলো ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে যেমন প্রোটিন বা আমিষ, শাক-সব্জি, শস্যদানা ইত্যাদি। খাদ্য তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়) ব্যবহার করুন। প্রতিবার চায়ের কাপে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করুন। এতে চিনির বিকল্পও হবে, পাশাপাশি পেটের মেদও আর বাড়তে পারবে না বরং কমবে। আস্তে আস্তে শ্বাস-প্রশ্বাস পরিশ্রম ছাড়া আমরা যেই কাজটি করতে পারি তা হলো সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া। বেশির ভাগ মানুষই হয় দ্রুত না হয় অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস গ্রহণ করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহণ ও নি:শ্বাস ত্যাগ করা যায় তাহলে পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম হবে। প্রতিনিয়ত যদি এটি মেনে চলা যায় তাহলে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে পেটের মেদ কমাতে। চর্বি খাবেন কি ধরনের বর্তমান সময়ে ওমেগা-৩ ফ্যাট নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। হবেই না কেন? যদিও এটি নিজেই একটি ফ্যাট, কিন্তু ক্ষতিকারক ফ্যাট দূর করতে এর কোন জুড়ি নেই। শাক-সব্জি, মাশরুম, শস্যদানা, মাছ ইত্যাদি আপনাকে দিতে পারে যথেষ্ট পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাট। অন্তত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাই বলেন। ভিটামিন সি আমরা কমবেশি সবাই জানি ভিটামিন সি সম্পর্কে। টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এই উপাদানটি আমাদের শরীরে সেই হরমোনটির ব্যালেন্স ঠিক রাখে যেটি শরীরে মেদ নিয়ন্ত্রন করে। ভিটামিন সি কারনিটিন নামক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরী করে- যা শরীরে চর্বি নষ্ট করতে সাহায্য করে থাকে। শেষ কথা উপরোক্ত বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে বা সঠিক ভাবে মেনে চললে যাদের পেটে মেদ জমেছে এবং যাদের এখনও মেদ জমেনি তাদের জন্য অনেক কাজ দেবে। কথায় বলে, ‘দাঁত থাকতে যদি দাঁতের মর্ম’ না বোঝেন তাহলে পরে শুধুই পস্তাতে হবে। তাই উপরোক্ত নিয়ম মেনে চলুন সুস্থ্য- সুন্দর জীবন-যাপন করুন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুত্রঃ দি ঢাকা টাইমস

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ