ইশরাক ও চাশত নামাজ অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ। দুটোর মানই সমকক্ষ। সালাতুল ইশরাক এর মর্মে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, "রসূল (সঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিকির করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বললেন, “পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।” অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব। (তিরমিযী, সুনান, সহিহ তারগিব ৪৬১নং)৷ উল্লেখ্য যে, এ হাদীসটি অনেক মুহাদ্দিস যঈফ বলেছেন। কিন্তু মুহাদ্দিস আলবানী (রহ.) এটিকে সহীহ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
সালাতুদ দ্বোহা তথা চাশত এর মর্মে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, "আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) চাশতের সালাত ৪ রাকাত আদায় করতেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় কিছু বেশিও আদায় করতেন। (বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ৩৯১)। আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছি 'যে ব্যক্তি বার রাকআত চাশতের সালাত পড়লো, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি স্বর্ণের ইমারত নির্মাণ করেন।'(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৮০)।
মহোদয়! ইশরাক, চাশত উভয় নামাযই নফল পর্যায়ের। রাসূলুল্লাহ (সঃ) ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাতের পর নফল আমলের প্রতি উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। তাই, উভয় নামাজের গুরুত্বই সমান সমান এবং সাওয়াবও আল্লাহ তায়ালা সমকক্ষ করে দান করেন।
হাদিস বিশারদ ও ফেকাহবিদগণের নিকট ইশরাক ও চাশত একই নামাজ। সূর্যোদয়ের পর দ্রুত পড়লে ইশরাক আর দেরীতে পড়লে সেটিই চাশত। প্রমাণঃ তুহফাতুল আলমায়ী শরহু তিরমিযী ২য় খন্ড পৃঃ ৩২৯