Recent Q&A
প্রত্যেক চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ এই দিনগুলোকে ‘আইয়ামে বিজ’ বা আলোকিত দিনসমূহ বলা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আইয়ামে বিজের তিন দিন নিয়মিত রোজা পালন করতেন। তাই প্রত্যেক চন্দ্র মাসের মাঝামাঝি সময় তথা ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ তিন দিন আইয়ামে বিজের রোজা রাখা সুন্নত। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে এ রোজা রাখতে বলেছেন। এ রোজা পালনে চারটি আমল পালিত হবে।
আইয়ামে বিজের তিনদিন রোজা রাখলে চারটি আমলের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ আছে। তাহলো-
১. সপ্তাহিক সোমবারের রোজা পালন (৬ মার্চ
২.. মাসিক আইয়ামে বিজের রোজা (৬-৭-৮ মার্চ) পালন।
৩. ৭ তারিখ শবে রাত পালন করে ৮ তারিখ দিনের বেলা রোজা পালন।
৪. এ রোজাগুলো শাবান মাসের মধ্যে পালন করার মাধ্যমে শাবানের রোজা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, যারা এ তিন দিন রোজা রাখবেন; তাদের ৫ মার্চ (রোববার) দিবাগত রাতে সেহরি খেতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আইয়ামে বিজের রোজা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। হাদিসের একাধিক এসেছে-
> হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখল; সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ এর সমর্থনে আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে নাজিল করেন-
>হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন।’ (আবু দাউদ)
> হজরত ইবনু মিলহান আল-ক্বাইসি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আইয়ামে বিজের রোজার ব্যাপারে নসিহত করেছেন; আমরা যেন তা (মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ পালন করি। তিনি আরও বলেছেন, এটা সারাবছর রোজা রাখার মতোই।’ (আবু দাউদ)
0 likes |
6 views
মধুর উপকার:
মধু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক মিষ্টি যা সহজেই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে পাওয়া যায়। এটি এনার্জি সরবরাহ করে এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হতে একটি অদ্ভুত উপাদান।
মধু স্বাস্থ্যকর কিছু প্রকারের ব্যক্তিগত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
মধু ব্যক্তির প্রতিরক্ষার ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাকে মুক্তি দেয় এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে রোগ প্রতিরোধ করে।
0 likes |
10 views
উত্তরঃ আল্লাহর রহমাত হলে আমিও পারবো এমন দৃঢ়তার সাথে চেষ্টা ফিকির করাতে কোন দো,ষ নেই।
নিজের মনে আত্মবিশ্বাস আনয়নে এমন চিন্তা খারাপ নয়। গো,নাহের কাজও নয়। তবে এক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের সাথে সাথে চেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে, এবং আল্লাহর কাছে নিজের মেধা ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দুআ করতে হবে।
সেই সাথে ‘আমি পারি’ মনে করে আত্মগরীমা এবং অ,হংকবোধ করা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ [٣:١٥٩]
অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। [সূরা আলেইমরান-১৫৯]
وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا [٢٠:١١٤]
বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা,আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। [সূরা ত্বহা-১১৪]
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিকটা জানা বুঝা এবং আমল করার তৌফিক দান করুন,আমিন।
0 likes |
12 views
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সব গুণাগুলোই অনুসরণ ও অনুকরণ করা আবশ্যক। কেননা তিনি উম্মতের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হয়েই প্রেরিত হয়েছি।’
বিশ্বনবির কিছু চারিত্রিক গুণাবলী তুলে ধরা হলো-
১. কোনো মজলিশে কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত বিশ্বনবি উঠতেন না।
২. সব সময় আল্লাহ তাআলার ভয়ে ভীত থাকতেন।
৩. বেশিরভাগ সময় তিনি নিরব থাকতেন।
৪. বিনা প্রয়োজনে তিনি কথা বলতেন না।
৫. কথা বলার সময় তিনি সুস্পষ্টভাবে কথা বলতেন; যাতে শ্রবনকারী সহজেই তাঁর কথা বুঝে নিতে পারে।
৬. বিশ্বনবি আলোচনা করার সময় তা দীর্ঘস্থায়ী করতেন না; যাতে শ্রোতারা বিরক্ত হয়ে যায় আবার এত সংক্ষিপ্ত করতেন না; যাতে কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
৭. কথা, কাজ ও লেন-দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না।
৮. বিনয় ও নম্রতাকে তিনি অত্যন্ত পছন্দ করতেন।
৯. বিশ্বনবির দরবারে আগত কোনো ব্যক্তিকেই তিনি অবহেলা করতেন না।
১০. কারো সাথে কথা-বার্তায় অযথা তর্ক সৃষ্টি করতেন না।
১১. ইসলামি শরিয়ত পরিপন্থী কোনো কথা হলে তা থেকে বিরত রাখতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন।
১২. আল্লাহ তাআলার প্রতিটি নিয়ামতকে তিনি সম্মান করতেন।
১৩. কোনো খাদ্য দ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন; অন্যথায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন।
১৪. ক্ষমা করাকে পছন্দ করতেন।
১৫. যে কোনো প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতেন; যাতে প্রশ্নকারী ব্যক্তি প্রশ্ন সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত হতে পারে।
১৬. সব সময় তিনি ধৈর্য্ন ধারণ করতে ভালোবাসতেন। ধৈর্য্স ছিল বিশ্বনবির অন্যতম গুণ।
১৭. বিশ্বনবির কাছে হাদিয়াসহ যা কিছুই আসতো; তিনি তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।
১৮. তিনি এতটাই সাদাসিধে জীবন-যাপন করেছেন যে, লৌকিকতার প্রয়োজনেও তিনি ছোট প্লেটে খাবার খেতেন না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়ার পুরো জিন্দেগিই ছিলো গুণাবলীতে ভরপুর। তাঁর সব গুণাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। কোনো মানুষ যদি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উল্লেখিত গুণাগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করেন। তিনি হবেন পৃথিবীর সেরা মানুষ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক গুণের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
0 likes |
12 views
আনারস রসালো ও তৃপ্তিকর সুস্বাদু ফল। ফলটিতে আঁশ ও ক্যালোরি ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম থাকে। কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত বলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। আসুন জেনে নিই আনারসের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।
আনারস মিষ্টি, রসালো ও তৃপ্তিকর সুস্বাদু ফল যা মানব দেহের জন্য অনেক উপকারি। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও ক্যালোরি রয়েছে। এটি কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ফলের জুড়ি নেই। আসুন জেনে নিই আনারসের উপকারিতা সম্পর্কে-
১। পুষ্টির অভাব পূরণে:
পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলের নাম আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব অপরিহার্য উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২। হজমশক্তিকে উন্নত করতে:
আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতেও আনারসের জুড়ি নেই। আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খাওয়া যেতে পারে।
৩। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে:
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে। তাছাড়া জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধে আনারস বেশ উপকারী। এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসাবে আনারসের রস খেতে পারেন।
৪। শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা:
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে। এছাড়া এতে কোন ফ্যাট না থাকায় পরিমিত পরিমানে আনারস খেলে বা আনারসের জুস পান করলে তা শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। আনারস তাই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের পথ্য হতে পারে। দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির মধ্য দিয়ে সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে।
৫। দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায়:
আনারসে ক্যালসিয়াম থাকায় তা দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ কম হয় ফলে দাঁত ঠিক থাকে। এছাড়া মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে আনারস বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৬। চোখের যত্নে আনারস:
আনারস চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া রোগ “ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন”রোগটি হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
৭। ত্বকের যত্নে আনারস:
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা আমাদের শক্তির যোগান দেয়। এতে থাকা প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। এছাড়া দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
৮। হাড়ের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধ:
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। তাই খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৯। ক্রিমিনাশক হিসেবে:
ক্রিমিনাশক হিসেবে আনারসের রস ভালো কাজ করে। নিয়মিত আনারসের রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়। কৃমি দূর করতে সকালবেলায় ঘুম থেকে জেগে খালি পেটে আনারস খাওয়া উচিত।
১০। ক্যান্সার প্রতিরোধী:
ফ্রি-রেডিকেল বা মুক্ত মুলক মানবদেহের কোষের উপর বিরূপ ক্রিয়ার সৃষ্টি করে ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। দেশী আনারসে আছে উচ্চ মাত্রায় পানিতে দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি এবং পানিতে দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে ফ্রি-রেডিকেল বা (মুক্ত মুলক) থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগ দেহে বাসা বাঁধতে বাধাগ্রস্থ হয়।
0 likes |
6 views
0 likes |
8 views
0 likes |
31 views
0 likes |
45 views
0 likes |
19 views