মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সব গুণাগুলোই অনুসরণ ও অনুকরণ করা আবশ্যক। কেননা তিনি উম্মতের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হয়েই প্রেরিত হয়েছি।’ বিশ্বনবির কিছু চারিত্রিক গুণাবলী তুলে ধরা হলো- ১. কোনো মজলিশে কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত বিশ্বনবি উঠতেন না। ২. সব সময় আল্লাহ তাআলার ভয়ে ভীত থাকতেন। ৩. বেশিরভাগ সময় তিনি নিরব থাকতেন। ৪. বিনা প্রয়োজনে তিনি কথা বলতেন না। ৫. কথা বলার সময় তিনি সুস্পষ্টভাবে কথা বলতেন; যাতে শ্রবনকারী সহজেই তাঁর কথা বুঝে নিতে পারে। ৬. বিশ্বনবি আলোচনা করার সময় তা দীর্ঘস্থায়ী করতেন না; যাতে শ্রোতারা বিরক্ত হয়ে যায় আবার এত সংক্ষিপ্ত করতেন না; যাতে কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ৭. কথা, কাজ ও লেন-দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না। ৮. বিনয় ও নম্রতাকে তিনি অত্যন্ত পছন্দ করতেন। ৯. বিশ্বনবির দরবারে আগত কোনো ব্যক্তিকেই তিনি অবহেলা করতেন না। ১০. কারো সাথে কথা-বার্তায় অযথা তর্ক সৃষ্টি করতেন না। ১১. ইসলামি শরিয়ত পরিপন্থী কোনো কথা হলে তা থেকে বিরত রাখতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন। ১২. আল্লাহ তাআলার প্রতিটি নিয়ামতকে তিনি সম্মান করতেন। ১৩. কোনো খাদ্য দ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন; অন্যথায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন। ১৪. ক্ষমা করাকে পছন্দ করতেন। ১৫. যে কোনো প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতেন; যাতে প্রশ্নকারী ব্যক্তি প্রশ্ন সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত হতে পারে। ১৬. সব সময় তিনি ধৈর্য্ন ধারণ করতে ভালোবাসতেন। ধৈর্য্স ছিল বিশ্বনবির অন্যতম গুণ। ১৭. বিশ্বনবির কাছে হাদিয়াসহ যা কিছুই আসতো; তিনি তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন। ১৮. তিনি এতটাই সাদাসিধে জীবন-যাপন করেছেন যে, লৌকিকতার প্রয়োজনেও তিনি ছোট প্লেটে খাবার খেতেন না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়ার পুরো জিন্দেগিই ছিলো গুণাবলীতে ভরপুর। তাঁর সব গুণাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। কোনো মানুষ যদি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উল্লেখিত গুণাগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করেন। তিনি হবেন পৃথিবীর সেরা মানুষ। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক গুণের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে