Farhan Sadik Shahin

Farhan Sadik Shahin

1 Views
Rated 5 / 5 based on 1 reviews

Farhan Sadik Shahin

BBA, Department of Accounting & Information Systems, University of Dhaka

  • Male | Single | Islam

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 7.94k বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 7.94k বার
0 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 1.37k বার
6 টি উত্তর দেখা হয়েছে 6.57k বার
10 টি ব্লগ | 10 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

উল্লেখিত নাকি উল্লিখিত : কোনটি সঠিক বানান

উল্লেখিত নাকি উল্লিখিত, এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি সঠিক বানান সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান। উল্লেখিত শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেক আগে থেকেই পরিচিত। সাধারণত উল্লেখ করা হয়েছে এমন অর্থে আমরা এই শব্দটি ব্যবহার করি। তবে ব্যাকরণগত দিক দিয়ে উল্লেখিত অশুদ্ধ শব্দ।

সন্ধিতে উদ্+লিখিত = উল্লিখিত হয়, আবার শব্দটি প্রত্যয়যোগেও গঠিত। উদ্+ √লিখ্+ত = উল্লিখিত।
উদ্ হচ্ছে উৎ শব্দের আরেক রূপ। যার অর্থ—ওপরে বা আগে। ‘লিখিত’ অর্থ যা লেখা হয়েছে। ‘উল্লিখিত’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায়—ওপরে লিখিত বা পূর্বে লিখিত।

একই অর্থে আমরা উপরোল্লিখিত বা উপরোল্লেখিত- লিখে থাকি—যেটা ভুল, কেননা ‘উল্লিখিত’ শব্দের মধ্যেই ওপর/উপর শব্দের অর্থ উপস্থিত। আবার নতুন করে তার আগে উপর শব্দটি যুক্ত করা বাহুল্য। আবার উল্লেখিত  উল্লিখিত—এই দুটি শব্দের মধ্যে অর্থের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।

আমরা অনেকেই উল্লেখ করা হয়েছে এমন অর্থে উল্লেখিত লিখে থাকি। তবে ব্যাকরণের নিয়ম মেনে উল্লেখ থেকে উল্লেখিত হওয়া সম্ভব নয়।
দৃষ্টান্ত :
১. উল্লিখিত বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
২. উল্লিখিত নিয়মে পরের অঙ্কগুলো সমাধান করো।

সুপ্রিয় পাঠক, উল্লেখিত নাকি উল্লিখিত, কোনটি সঠিক বানান সেটা বুঝতে পেরেছেন আশা করি।


0 likes | 5932 views

হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্টের পার্থক্য

হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি শব্দগুলো আমাদের কারো কাছেই অপরিচিত নয়। তবে প্রায়ই অনেকে জিজ্ঞেস করেন যে আসলে হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্টের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি না, আর থাকলেও তা কতটুকু। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

হোটেল

আমরা বাঙালিরা অনেকে হোটেল বলতে ‘মায়ের দোয়া ভাতের হোটেল’—এমন কিছু দেখে অভ্যস্ত। তবে বাস্তবে পার্থক্যটা অনেক। যদিও সব হোটেলের বৈশিষ্ট্য এক নয় তবুও প্রায় সব হোটেলেরই সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।

হোটেলে প্রধানত থাকার সুবিধা থাকে। এছাড়া অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্যে খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। অনেক হোটেলে, বিশেষ করে আধুনিক হোটেলগুলোতে পার্টি, সভা, সেমিনার, বিনোদন ও সুইমিংপুল প্রভৃতির ব্যবস্থা থাকে। বেশিরভাগ হোটেলই বহুতল হয়ে থাকে।

হোটেলে প্রায় ৫০টা থেকে ২০০টা পর্যন্ত কক্ষ থাকে। হোটেলে প্রতিটি কক্ষ-সংলগ্ন বারান্দা থাকে এবং তা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে। হোটেলে কর্মচারীর সংখ্যা মোটেল ও রেস্টুরেন্টের কর্মচারীর সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি থাকে। বিভিন্ন প্রকারের কর্মচারী থাকে আধুনিক হোটেলগুলোতে। হোটেলে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা খুব সীমিত থাকে।

মোটেল

হোটেলের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মোটেলের বৈশিষ্ট্যের কিছুটা মিল থাকলেও বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। মোটেলে খুব অল্প সংখ্যক কক্ষ থাকে। মূলত পর্যটন এলাকাগুলোতে মোটেলের সংখ্যা বেশি। মোটেল সাধারণত দুইতলাবিশিষ্ট হয়ে থাকে।

মোটেলে আবাসন-সুবিধা থাকে এবং অবস্থানরতদের খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। মোটেলের সামনে গাড়ি রাখার জন্যে বড়ো প্রশস্ত জায়গা থাকে। মোটেলে অবস্থানের খরচ হোটেলে অবস্থানের খরচের তুলনায় কম।

মোটেলে সাধারণত একটি লম্বা বারান্দা থাকে যা দিয়ে অবস্থানকারীরা সরাসরি কক্ষে প্রবেশ করতে পারে। মোটেলের কর্মচারীর সংখ্যা হোটেলের কর্মচারীর সংখ্যার চেয়ে অনেক কম কারণ মোটেলের কক্ষের সংখ্যাও অনেক কম হয়ে থাকে।

রেস্টুরেন্ট

রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য হোটেল ও মোটেলের বৈশিষ্ট্যের তুলনায় আলাদা। রেস্টুরেন্টে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। রান্নাঘর ছাড়া একটি বা দুটি বড়ো কক্ষ থাকে যা চেয়ার-টেবিলে প্রায় ভরা থাকে।

রেস্টুরেন্টে কর্মচারীর সংখ্যা কম হয়ে থাকে তবে আধুনিক রেস্টুরেন্টগুলোতে কর্মচারীর সংখ্যা একটু বেশি। বাবুর্চি, ওয়েটার (সরবরাহকারী) ছাড়া সাধারণত একজন ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক থাকে। রেস্টুরেন্টে খাওয়া শেষ হলে চলে যেতে হয় তবে অনেক রেস্টুরেন্টে খাওয়ার আগে বা পরেও কিছুক্ষণ সময় কাটানোর সুযোগ থাকে।

রেস্টুরেন্টে সাধারণত গাড়ি রাখার ব্যবস্থা থাকে না। এখানে বাহ্যিক বিনোদনেরও ব্যবস্থা থাকে না। বর্তমানে অনেক রেস্টুরেন্ট বাড়িতে খাবার পাঠানোর সেবাও দিয়ে থাকে।
সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্টের মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে তা বুঝতে পেরেছেন।


0 likes | 1772 views

ব্যক্তিত্ব গঠনের উপায়সমূহ

ব্যক্তিত্ব মানুষের একটি অমূল্য সম্পদ। ব্যক্তিত্বহীন মানুষ যত সম্পৎশালীই হোক না কেন, দৃষ্টির অগোচরে সবাই তাকে অপছন্দ করে। ব্যক্তিত্ব গঠন করা সহজ কথা নয়। এর জন্যে দরকার অনেকদিনের সাধনা। আজকে আলোচনা করব ব্যক্তিত্ব গঠন বা বজায় রাখার কিছু উপায়।

বাস্তব জীবনে : বাস্তব জীবনে ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করুন।
১. নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে প্রমাণ করুন।
২. শরীরের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরুন।
৩. বড়োদের সম্মান ও ছোটোদের স্নেহ করুন।
৪. সম্পর্কে দূরের এমন কারো কাছে টাকা ধার চাইবেন না।
৫. কাউকে কথা দিলে তা রাখার চেষ্টা করুন।
৬. সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন। 
৭. অন্যের মতামকেও গুরুত্ব দিন।
৮. অন্যকে সহযোগিতা করার মানসিকতা রাখুন।
৯. বেশি শুনুন, কম বলুন।
১০. কথোপকথনের সময় অন্যকে বলার সুযোগ দিন।
১১. মনোযোগী শ্রোতা হোন।
১২. রেগে থাকা অবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।
১৩. অস্বাভাবিক ধাঁচের চুল রাখবেন না।
১৪. সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন।
১৫. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন।
১৬. অপ্রাসঙ্গিক কথা বলবেন না।

ভার্চুয়াল জগতে : ভার্চুয়াল জগতে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করুন।
১. নিজের প্রোফাইলে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য যুক্ত করবেন না।
২. কারো পোস্টে অশ্লীল বা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করবেন না।
৩. যাচাই না করে কোনো পোস্ট শেয়ার করবেন না।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো নয় এমন ছবি আপলোড করবেন না।
৫. হুট করে কারো কাছে মুঠোফোন নম্বর চাইবেন না।
৬. অনুমতি ছাড়া কারো মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে কল দেবেন না।
৭. কেউ আপনার মেসেজের উত্তর না দিলে তাকে অনবরত মেসেজ দেবেন না।
৮. বয়সে ছোটো হলেও অপরিচিত কাউকে প্রথমে তুমি বা তুই সম্বোধন করে মেসেজ করবেন না।

শ্যাম রাখি না কুল রাখি কথাটির উৎপত্তি   


1 likes | 1693 views

ফেসবুকে কী কী করবেন, কী কী করবেন না

ফেসবুক আমাদের বর্তমান জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই কমবেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, একদিন ফেসবুকে না ঢুকলে দিনটা অসম্পূর্ণ মনে হয়।

অনেকদিন ধরে ফেসবুক ব্যবহার করলেও আমরা অনেকেই ফেসবুকের যথাযথ ব্যবহার জানি না। চলুন জেনে নিই ফেসবুক বা মেসেঞ্জারে কী কী করা উচিত এবং কী কী করা উচিত নয়। 


নিরাপত্তা : ফেসবুকে নিরাপত্তা রক্ষার জন্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলুন।
১. ফেসবুকে একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য যেমন—মুঠোফোন নম্বর, ই-মেইল শেয়ার করবেন না, এতে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 

২. ফেসবুক কিংবা মেসেঞ্জারে আসা হিজিবিজি নম্বর বা ডিজিট সংবলিত কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। 

৩. ফেসবুকের টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ও লগইন অ্যালার্ট চালু করে রাখুন, সম্ভব হলে গুগল অথেনটিকেটর অ্যাপ সংযুক্ত করে রাখুন। 

৪. সহজে অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। 

৫. পাসওয়ার্ডে নিজের নাম বা জন্মসাল ব্যবহার করবেন না। বর্ণ, নম্বর ও চিহ্ন সংযুক্ত করুন। 

৬. অন্যের মুঠোফোন বা কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকলে লগআউট করতে ভুলবেন না, ভুলে গেলে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে সেই ডিভাইস থেকে লগআউট করুন। 

৭. আইডি সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং তা ফিরিয়ে আনার ইচ্ছে থাকলে আইডির নাম ও জন্মতারিখ আগে থেকেই  আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে রাখুন।


ব্যক্তিত্ব: ফেসবুকে আপনার ব্যক্তিত্ব বজায় রাখার জন্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন। 

১. ফেসবুকের অ্যাবাউটে অপ্রাসঙ্গিক ও ভুল তথ্য (যেমন—খাই দাই অ্যাট বাটের হোটেল, ওয়ার্কস অ্যাট ফেসবুক) যুক্ত করবেন না, সঠিক ও গঠনমূলক তথ্য আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। 

২. বন্ধুত্বের আবেদন গ্রহণ করার আগে  তার সম্পর্কে ধারণা করে নিন।

৩. অপরিচিত ও কোনোদিন পরিচয় হওয়া সম্ভব নয় এমন ব্যক্তির বন্ধুত্বের আবেদন গ্রহণ না করাই উত্তম। 

৪. যাকে তাকে বন্ধুত্বের আবেদন পাঠাবেন না।

৫. কোনো পোস্টে কমেন্ট করার আগে একবার ভেবে নিন, আপনার বন্ধুরাও আপনার কমেন্ট দেখতে পায়। কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল কমেন্ট তাদের বিরক্তির কারণ হতে পারে, তাছাড়া এটা আপনার ব্যক্তিত্বকেও নষ্ট করে। 

৬. কেউ আপনার মেসেজের উত্তর না দিলে তাকে অনবরত মেসেজ দেবেন না। 

৭. কারো বিরুদ্ধে কটূক্তি করবেন না। 

৮. ‘আমিন না বলে যাবেন না, কাফের না হলে শেয়ার করো’ এমন পোস্ট শেয়ার করবেন না। 

৯. খালি গায়ে উঠানো ছবি আপলোড করবেন না। 

১০. ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি আপলোড করবেন না।


মেসেঞ্জারের তথ্যসংক্রান্ত নিরাপত্তা :মেসেঞ্জারে তথ্য আদান-প্রদানে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন। 

১. নিজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কোনো ছবি বা ভিডিয়ো কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না, এটা ভবিষ্যতে আপনার মানহানির কারণ হতে পারে। 

২. তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে কোনো সংবাদ সবাইকে ফরোয়ার্ড করবেন না। 

৩. মেসেঞ্জারে পরিচিত কারো আইডি থেকে নক দিয়ে টাকা চাইলে তাকে কল দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন, কারণ হ্যাকাররা এমন করতে পারে।

৪. একই মেসেজ অনেকজনকে ফরোয়ার্ড করবেন না বা সাধারণভাবে পাঠাবেন না, ফেসবুক এটাকে স্প্যামিং ভেবে আপনার আইডি বন্ধ করতে পারে।


অনলাইন কেনাকাটা : অনলাইন কেনাকাটায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। 

১. বিশ্বস্ত নয় এমন পেজ বা ওয়েবসাইট থেকে পণ্য হাতে পাওয়ার আগে টাকা পরিশোধ করবেন না। 

২. কোনো পেজ থেকে কিছু কিনতে হলে আগে রেটিং দেখে নিন, অবশ্য সবসময় রেটিং প্রকৃত অবস্থা তুলে নাও ধরতে পারে। 

৩. আগে টাকা পরে সার্ভিস, এমন কোনো সার্ভিস গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন, অনেকসময় টাকা নিয়ে আপনাকে ব্লক করে দিতে পারে।

৪. অতি লোভনীয় অফার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।



ভাল নাকি ভালো : কোনটি সঠিক? 

0 likes | 1750 views

মান্ধাতার আমল কীভাবে এলো

অতি প্রাচীন বোঝাতে আমরা সাধারণত মান্ধাতার আমল কথাটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু মান্ধাতার আমল কথাটি কীভাবে এলো? এর পেছনে রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনি। মান্ধাতা ছিলেন সূর্য বংশের এক রাজা।

রামচন্দ্রও পরে একই বংশে জন্মেছিলেন। সেই হিসাবে বলা যায় মান্ধাতা রামচন্দ্রের পূর্বপুরুষ ছিলেন। মান্ধাতার বাবা ছিলেন সূর্য বংশের রাজা যুবনাশ্ব। তাঁর কোনো পুত্রসন্তান ছিল না। পুত্রসন্তান লাভের আশায় তিনি জঙ্গলে ঋষির আশ্রমে গিয়ে তপস্যা শুরু করেন। যুবনাশ্বের তপস্যায় মুগ্ধ হয়ে ঋষিরা তাঁর জন্য যজ্ঞ করতে রাজি হলেন।

যজ্ঞ শেষ হওয়ায় পর ঋষিরা এক কলসি মন্ত্রপূত জল রেখে দিলেন যা খেলে যুবনাশ্বের রানির পুত্রসন্তান হবে। কিন্তু একথা যুবনাশ্ব জানতেন না। রাতে পিপাসা পেলে তিনি কলসির জল খেয়ে ফেলেন। সকালে উঠে ঋষিরা কলসিতে অল্প জল পেয়ে যুবনাশ্বকে জিজ্ঞাসা করলেন। যুবনাশ্ব উত্তর দিলেন যে জল তিনিই পান করেছেন।

ঋষিরা বললেন জল যেহেতু যুবনাশ্ব পান করেছে সেহেতু পুত্রসন্তান যুবনাশ্বের গর্ভেই হবে। এর প্রায় ১০০ বছর পর যুবনাশ্বের পেটের বাম দিক বিদীর্ণ করে মান্ধাতা ভূমিষ্ঠ হন। কিন্তু কোনো নারীর গর্ভে জন্ম না হওয়ায় মান্ধাতা কার দুধ খেয়ে বড়ো হবেন তা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন দেবরাজ ইন্দ্র।

ইন্দ্র তাঁর হাতের আঙুল মান্ধাতার মুখের ভেতরে দিয়ে বললেন “মাম ধাস্যতি” যার অর্থ আমাকে পান করো। সেখান থেকে তাঁর নাম হয় মামধাতা বা মান্ধাতা। কথিত আছে যে ইন্দ্রের সেই আঙুলটি ছিল অমৃতক্ষরা। অমৃতগুণে মান্ধাতা খুব অল্প সময়েই বড়ো হয়ে যান। অল্পদিনেই মান্ধাতা পড়াশোনা ও অস্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন।

বাবা যুবনাশ্বের মৃত্যুর পর মান্ধাতা রাজা হন। যুদ্ধে তিনি পুরো পৃথিবী জয় করেন। এরপর তিনি ভাবলেন পুরো পৃথিবীই তিনি জয় করে ফেলেছেন তাহলে স্বর্গ জয় করা কেন বাদ রাখবেন। তারপর তিনি স্বর্গ জয়ের লক্ষ্যে বের হলেন। কিন্তু দেবরাজ ইন্দ্র জানালেন তিনি (মান্ধাতা) এখনও পুরো পৃথিবী জয় করতে পারেননি কারণ লবণাসুর এখনও মান্ধাতার অধীনতা মেনে নেয়নি।

মান্ধাতা চললেন লবণাসুরকে বধ করতে। মান্ধাতা লবণাসুরের সাথে এ যুদ্ধেই নিহত হয়েছিলেন। মান্ধাতা রাজত্ব করতেন পুরাণে বর্ণিত চার যুগের প্রথম যুগে অর্থাৎ সত্যযুগে। বছরের হিসাবে সত্যযুগ প্রায় ৩৫ লক্ষ বছর আগের সময়।

তবে প্রচলিত অর্থে মান্ধাতার আমল বলতে কোনো নির্দিষ্ট সময় বিবেচনা করা হয় না, সাধারণত অনেক প্রাচীন বোঝাতে মান্ধাতার আমল কথাটি ব্যবহৃত হয়।

প্রেক্ষিত-পরিপ্রেক্ষিত


0 likes | 1718 views

সিএ/চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ও আইবিএর এমবিএ এর পার্থক্য?

সিএ এবং আইবিএর এমবিএ এর মধ্যে পার্থক্য কি কি? 
সিএ পড়লে কোথায় কোথায় বা কেমন জব পাওয়া যায় সেলারি কেমন হয় এবং এমবিএ নিয়ে পড়লে কেমন জব পাওয়া যায় সেলারি কেমন হয়?
অর্থাৎ দুইটারই আদ্যোপান্ত সব জানতে চাচ্ছি। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রশ্নের আগে কোন উত্তর পাইনি বলে আবার করতে হলো

0 likes | 2794 views

আমি এইচএসসির পর সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাই না। সেক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়া ভালো, নাকি এমবিএর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?

উল্লেখ্য, আমি এসএসসিতে গোল্ডেন এ+ পাই, কিন্তু সায়েন্সে না পড়ে অন্য কোনো বিষয়ে পড়া আমার সারা জীবনের স্বপ্ন। এক্ষেত্রে আপনারা অনুগ্রহপূর্বক ভালো কিছু সাজেস্ট করুন। 

0 likes | 2773 views

বিস্ময়ে আমি বিভিন্ন কাজে প্রায়ই দেখি -"404 error page not found" দেখায়। এছাড়া ব্লগ লিখে সাবমিট করলে something went wrong দেখায়। এর কারণ বিশ্লেষণ করবেন কী?

0 likes | 2865 views

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াবো কিভাবে?

আমার একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট আছে। ওয়েবসাইট এর লিংক-  https://goldenlifegroup.org/

বাংলাদেশের সকল ধরনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা এখান থেকে পাওয়া যায়

0 likes | 2723 views

এইচ.এস.সি তে মানবিক বিভাগ নিয়ে পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেনট্ নিয়ে পড়াশুনা করা যাবে?

0 likes | 2640 views