প্রাকৃতিক উপায়ে সহজ সমাধান চেষ্টা করে দেখতে পারেন: ঘোল- ঘোলের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড যা বাদামি দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে শরীরের বাদামি জায়গায় ঘোল মাখিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর রস এতে রয়েছে বিশেষ উপাদান। যা শরীরের গাঢ় দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও চাইলে গোটা লেবু মাঝ বরাবর কেটে আক্রান্ত স্থানে ঘষতে পারেন। গোসলের আগে এই অভ্যাস শরীরের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। ডিমের কুসুম- এটা হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং উজ্জ্বলতাবর্ধক। এক্ষেত্রে আক্রান্তস্থানে ডিমের কুসুম ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্যাস্টর অয়েল- যা রেড়ির তেল নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে শোষণকারী উপাদান। যা বার্ধক্যজনিত দাগ দূর করে। ভালো ফলাফলের জন্য এই তেল তুলোয় মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। চন্দন- ত্বকের বলিরেখা দূর করতে চন্দনের জুড়ি নেই। চন্দনগুঁড়া, গ্লিসারিন, লেবুর রস এবং গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকে মেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী বিভিন্ন চর্মরোগের সমাধান দিতে পারে অ্যালোভেরা। এটা শরীরের পোড়াদাগ দূর করতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রান্তস্থানে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করে ৪৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন দুবার, টানা একমাস এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। চিনি- ত্বকে চিনি ঘষার মাধ্যমে মৃত কোষ দূর করা যায়। চিনির মধ্যে ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান থাকে যা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পেঁপে- এই ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম যা ত্বকের কালিমা দূর করে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে তাজা পেঁপে ঘষে মিনিট বিশেক পর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। লাল কিশমিশ বা রসালো ফল আধা গ্লাস লাল কিশমিশ বা রসালো ফলের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। তারপর আধা ঘণ্টা পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। আরও ভালো ফলাফলের জন্য লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রথমেই মুখটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তুলোতে ক্লিনজিং মিল্ক মেখে তোকে বুলিয়ে নিন। তারপর হালকা কুসুম গরম পানি ও ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ভালো করে পানির ঝাপটা দেবেন। ত্বক পরিষ্কার না হলে উপায়টি ভালো কাজ করবে না।
-তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন। এরপর বাতাসে শুকিয়ে যেতে দিন।
-মুখে এখন আর কিছু মাখবেন না। পানি শুকিয়ে যেতে যেতে প্যাকটি তৈরি করে নিন।
-সম পরিমাণ গোলাপ জল ও কাঁচা দুধ একত্রে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পরিষ্কার হাত দিয়ে মুখে মাখুন।
-অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর মুখ না ধুয়েই ঘুমিয়ে পড়ুন।
-বালিশে মুখ চেপে ঘুমাবেন না, এতে প্যাকটি মুছে যাবে। একটু সাবধানে ঘুমালেই ভালো।
-সকালে উঠে স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। আর নিজেকে দেখুন আয়নায়। লাগছে না আগের চাইতে অনেক বেশি ফর্সা ও উজ্জ্বল?