রোজার সময়টাতে সুস্থ আর ফিট থাকতে চলতে হবে একটু নিয়ম মেনে।  সেহরিতে খেতে হবে এমন সব খাবার, যা হজম হবে ধীরে আর সারাদিনে আপনার খিদে লাগতে দেবেনা। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে লাল চালের ভাত, ডাল, মিষ্টি আলু, গাজরসহ আঁশযুক্ত ফল ও সবজি, হোলগ্রেইন রুটি, পাস্তা, ওটস ইত্যাদি। রোজা রাখার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে অসময়ে হালকা নাশতা খাওয়ার অভ্যাসটা কমবে।


চলুন দেখে নেই কিভাবে রোজার সময়ও থাকবেন এক্কেবারে ফিট।


ক্যালোরি হিসেব করে খান


একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলা এবং পুরুষের দৈনিক কি পরিমাণ ক্যালোরি প্রয়োজন তা হিসেব করে খাবার বাছুন। খান এমন সব খাবার যেগুলোতে আছে প্রচুর আঁশ এবং প্রয়োজনীয় আমিষ ও খনিজ পদার্থ। কার্বোহাইড্রেট কম খান, বেছে নিতে পারেন লাল চাল বা আটা। এগুলোতে ক্যালোরি কম থাকে কিন্তু আঁশ বেশী থাকে বলে শরীরের জন্য খুব ভালো।


ইফতারে পেট পুরে খাবেন না




সারাদিন অভূক্ত থাকার পর ইফতারে সাধারণত আমরা পেট ভরে খাই। আর তার ওপর বাঙালিদের ইফতারে ভাজাপোড়া না হলে চলে না। কিন্তু সারাদিন রোজা থাকার পর ভাজাপোড়া খাবার খেলে আপনার ওজন বাড়বে বই কমবে না। রোজা ভাঙুন খেজুর খেয়ে এবং ফল দিয়েই শুরু করুন রোজকার ইফতার। এতে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক হবে, খিদে কমে আসবে আর এর ফলে আপনার অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে হবে না।


সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং প্রচুর পানি খান


সেহরিতে লাল চালের ভাতের সাথে প্রচুর সবজি এবং আমিষ খান, তবে লাল মাংস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সঙ্গে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে প্রচুর পানি খান


রাতের খাবার নিয়ে একটু ভাবুন




সন্ধ্যায় ইফতারের পরেই রাতে ভারী খাবার খেলে দিনশেষে কিন্তু বেশী খাওয়াই হয়ে যাবে। তাই সন্ধ্যায় ইফতারের পরে রাতে ঘুমানোর অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে ফল অথবা সালাদ খান, সাথে প্রচুর পানি।


একটু হিসেব করে খেলেই আসলে দেখবেন রোজার সময় খাওয়া দাওয়া নিয়েও সমস্যা হবে না আর আপনার ওজনও বাড়বে না। রোজার শুরুর দিকে রোজকার রুটিনের হঠাৎ পরিবর্তনের সাথে অভ্যস্ত হতে একটু অসুবিধা হলেও দেখবেন সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ