আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি কখনো ফিরিয়ে দেন না। তিনি বান্দার সকল দুআ কবুল করেন। তিনি বলেন: ﺍﺩْﻋُﻮﻧِﻲ ﺃﺳْﺘَﺠِﺐْ ﻟَﻜُﻢ তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সূরা গাফির/মুমিন- ৬০) সুতরাং আল্লাহ সব দুআ কবুল করেন, তবে অনেক সময় তিনি দুনিয়াতে দেন, আর অনেক সময় তিনি তা দুনিয়াতে না দিয়ে আখিরাতের জন্য রেখে দেন। দুআ কবুলের স্থান ও সময়:: (১) লাইলাতুল কদ্বর (২) আরাফার মাঠে (৩) ছাফা-মারওয়া পাহারের উপর (৪) ‘বায়তুল্লাহ’ বা কা’বা ঘরকে দেখে (৫) ছিয়াম অবস্হায় (৬) জুম’আর দিনে (৭) হজ্জ পালনকালে পাথর নিক্ষেপের পর (৮) রাতের বেলায় মু’আয ইবনে জাবাল (রা:) বলেন, রাসূল (সা;) বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যদি ওযূ করে দোআ পড়ে রাতে শয্যা যায়, তারপর শেষ রাতে উঠে সে আল্লাহর নিকত কিছু চায় আল্লাহ তাকে তা প্রদান করেন” (আহমদ, আবুদাউদ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১২১৫) আবু হোরাইরা (রা:) বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা প্রত্তেক রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিব, যে আমার নিকট চাইবে আমি তাকে দান করব, যে আমার নিকত ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১২২৩) জাবির (রা:) বলেন, আমি রাসূল (সা:) কে বলতে শুনেছি যে, ‘নিশ্চয়ই রাতে একতা সময় রয়েছে, যে সময়ে কোন মুসলমান ইহকাল ও পরকালে কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা প্রদান করেন এবং এটা প্রতি রাতে হয়ে থাকে।’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১২২৪) (৯) নামাজ বা সালাতের সময় (১০) আযান ও ইক্বামতের মাঝের দোআ, আযান চলাকালিন দোআ ও আযানের পরে (১১) যুদ্বের মাঠে শত্রুর সাথে মোকাবেলার সময় (১২) সেজদার সময় (১৩) নামাজের মধ্যে তাশাহুদের পর রাসূল (সা:) বলেন, ‘তাশাহুদের পর যার যা ইচ্ছা দোআ করবে’ (বুখারী ১/২৫২) (১৪) কারো অনুপস্হিতিতে তার জন্য দোআ করলে তা কবুল হয় (১৫) তিন শ্রেণীর লোকের দোআ কবুল হওয়া অবশ্যম্ভাবী: ১.মাআতা-পিতার দোয়া ২. মুসাফিরের দোআ ৩. মাযলুমের দোআ (১৬) অন্য বর্ননায় রয়েছে তিন শ্রেণীর লোকের দোআ ফেরত দেওয়া হয়না- ১. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরনকারির দোআ ২.মাযলুমের দোআ ৩.ন্যায়পরায়ন শাসকের দোআ।
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ওযু করে পবিত্র হয়ে দুই রাকাত সালাতুত তওবার নামাজ পড়ে ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েঃ ১০০ বার সুবাহানাল্লা ( আল্লাহ পবিত্র) ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ ( সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য) ১০০ বার আল্লাহু আকবার ( আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) ১০০ বার ইয়া ওয়াহহাব ( আল্লাহ সবকিছু দানকারী) ১০০ বার আসতাগফিরুল্লাহ ( আমি আমার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) ১০০ বার দোয়া ইউনুছ তথা লা ইলাহি ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন-তু মিনাজ জোয়ালেমিন ( আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আল্লাহ পবিত্র মহান , আমি তো সীমা লঙ্ঘনকারী ) ১০০ বার আল্লাহর মহান রসুল সঃ এর উপর ১০০ বার দরুদ পড়ে দোয়া করলে ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে। আল্লাহ আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবেন।
চাওয়ার মতো চাইতে পারলে আল্লাহ বান্দার সকল চাওয়া পূর্ণ করে দেন ।
দোয়া করার সময় যদি মনে করেন আমি এত গুলো দোয়া করতেছি আল্লাহ হয়তো ১ টা দোয়া করবেন অন্যটা করবেন না এরকম ভাবনা নিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ দোয়া করবেন না ।
দোয়া করার সময় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করতে হবে আশা রাখতে হবে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেনই।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
গাফেল ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না।
তাই গাফেল হলে চলবে না দৃঢ় বিশ্বাস এবং আস্থা নিয়ে দোয়া করতে হবে চাওয়ার মতো চাইলে আল্লাহ সব চাওয়া পূণ্য তা দিবেন। ইনশাআল্লাহ