বেকিং সোডার ব্যবহার: ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডায় পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে ফেলুন। এরপর এই পেস্ট দাগের উপরে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারেই দ্রুত দাগের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।কাঠবাদামের ব্যবহার: ৩ টি কাঠবাদাম পুরো রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কাঠবাদামের উপরের বাদামী পাতলা খোসা ছাড়িয়ে পিষে নিন ভালো করে। এরপর এতে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এই পেস্ট নিয়মিত লাগান দাগের উপরে। খুব দ্রুত ফলাফল নজরে পড়বে।
দাগ দূর করার জন্য সমপরিমাণ টকদই, বার্লি ও হলুদগুঁড়ো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এই পেস্ট ত্বকের দাগের উপরে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ সেই প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের দাগ দূর করার কাজে ব্যবহার করা হয়। বেশ ভালো ফলাফল পাবেন। হলুদের দাগ নিয়ে চিন্তা করবেন না। মেকআপ রিমুভার দিয়েই হলুদের হলদেটে দাগ দূর করতে পারবেন।
কেঁটে যাওয়া বা ছিলে যাওয়া দাগ তোলার সব পদ্ধতি দিলামঃ লেবু ও শসার রস একটি গোটা লেবু চিপে নিন। এতে একটি মাঝারি আকারের শসার চার ভাগের এক ভাগ অংশের রস বের করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আক্রান্ত জায়গায় আলতো ঘষে লাগান। দিনে অন্তত ৩ বার লাগাবেন। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করবে আর শসার রস দাগ হালকা করবে। অ্যালোভেরার রস অ্যালভেরাকে বলা হয় জাদুকরি গাছ। এর পাতার রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান গভীর দাগ দূর করতে অনেক কার্যকরী। তাজা অ্যালভেরা পাতার রস দিনে ২/৩ বার আক্রান্ত স্থানে লাগান। নিয়মিত লাগাবেন। কিছুদিনের মধ্যেই দাগ হালকা হতে শুরু করবে। চন্দনগুঁড়ো ও গোলাপ জল চন্দনগুঁড়ো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই দাগ দূর করার কাজে ব্যাবহার হয়ে আসছে। এটা সবচাইতে কার্যকরী উপাদান। একটি বাটিতে ২ চা চামচ চন্দনগুঁড়ো নিয়ে এতে ঘন পেস্ট তৈরি করতে প্রয়োজন মত গোলাপ জল দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন পেস্টটি ব্যাবহার করুন। দাগ দূর হবে। পেঁয়াজ কিংবা রসুনের রস অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ অথবা রসুনের রসের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য বেশ জনপ্রিয়। যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে এদের জুড়ি নেই। তবে নিয়মিত ব্যবহার না করলে কাজ হতে বেশ দেরি হয়। সুতরাং প্রতিদিন অন্তত ৩/৪ বার তাজা পেঁয়াজ বা রসুনের রস লাগাবেন আক্রান্ত স্থানে। দাগ দূর হবে ও নতুন কোষ হতে সাহায্য করবে। নিমের পাতা নিমে গাছে ডাল ও পাতা যে কোন বড় ধরনের অসুখ দূর করতে যেমন কার্যকরী তেমনই গভীর দাগ দূর করতেও বেশ কার্যকরী। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আক্রান্ত স্থানের অস্বাভাবিক কোষ দূর করে। দিনে অন্তত ২ বার নিম পাতা বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগান। পাশাপাশি একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে ৩০/৪০ টি নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি গোসলের কাজে ব্যাবহার করুন। দাগ দূর করার অন্যান্য কিছু টিপস •দৈনিক ২.৫ লিটার পানি পান করুন। এতে নতুন কোষ গঠন হয় দ্রুত। •একটি তুলোর বল গ্রিন টি তে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষে নিন। দাগ হালকা হবে। •আক্রান্ত স্থান মধু দিয়ে ম্যাসাজ করুন দিনে ৬/৭ বার করে প্রতিদিন। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাগ দূর করে। •ভিটামিন ই তেল কিংবা ক্যাপস্যুল ভেঙে আক্রান্ত স্থানে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। চামড়ার উঁচুনিচু ভাব দূর করে মসৃণতা ফিরিয়ে আনবে •একটি কলা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর হতে সাহায্য করবে।