বায়োগ্যাস হলো পচনশীল জৈববস্তুসমূহ হতে তৈরি গ্যাস । সব প্রাণীরই মল হতে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ গ্যাস তৈরি করা যায়। পশুর গোবর ও অন্যান্য পচনশীল পদার্থ বাতাসের অনুপস্থিতিতে পঁচানোর ফলে যে গ্যাস তৈরি হয় তাই হচ্ছে বায়োগ্যাস। তবে গৃহপালিত বা বাণিজ্যিকভাবে পালিত পশুপাখি এবং মানব মল সহজলভ্য বলে এগুলোই বেশি ব্যবহার করা হয়। এজাতীয় গ্যাসে অধিকাংশ পরিমাণই থাকে মিথেন গ্যাস। [১] বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর অবশিষ্ট আবর্জনাটুকু উত্তম জৈব সার হিসেবে বেশ কার্যকরী।[২] বায়োগ্যাস উৎপাদনের মূলনীতি অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে কোন জৈব পদার্থকে পচানো হলে সেখান হতে বায়োগ্যাস উৎপাদিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে এনারবিক ডাইজেশন (Anaerobic digestion) বলে। যার মাধ্যমে কিছু অণুজীব জৈব পদার্থকে ভেঙে মূলত মিথেন এবং কার্বন-ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে।[৩] বায়োগ্যাস তৈরির কাচামাল যেকোন পচনশীল বস্তু বায়োগ্যাস তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমনঃ[৪] মলমূত্র (মানুষ, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাস, মুরগী ইত্যাদি) তরি-তরকারি, ফল-মূল ও মাছ- মাংসের ফেলনা অংশ লতাপাতা, বিভিন্ন আবর্জনা ও কচুরিপানা বিভিন্ন ধরনের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য প্রধানত দুধরণের প্ল্যান্ট ব্যবহৃত হয়। এগুলো হল [৫] -- ফিক্সড ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট ভাসমান ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট এছাড়াও আরও কয়েক ধরনের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে। যেমন [৫] -- বেলুন প্ল্যান্ট অনুভূমিক প্ল্যান্ট আর্থ পিট প্ল্যান্ট ফেরোসিমেন্ট প্ল্যান্ট
বিভিন্ন পচনশীল জৈব পদার্থ বা জীবজ বর্জ্যপদার্থ যেমন গোবর, হাস-মুরগীর বিষ্ঠা,মলমূত্র,গৃহস্থালীর বর্জ্য বাতাসের অনুপস্থিতিতে পচনের ফলে যে গ্যাস তৈরী করে তাকে বায়ো গ্যাস বলে! বায়োগ্যাসের শতকরা ৬০-৭০ ভাগ মিখেন। অন্যান্য উপাদন গুলো হল কাবর্নডাইঅক্সাইড (২৫-৩৫% ) ,হাইড্রোজেন (১-৫% ) ,অক্সিজেন (০.০১% ) ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষনা পরিষদ ৩ ঘন মিটার বায়োগ্যাস উত্পাদনক্ষম প্ল্যান্ট তৈরী করে! স্হির বায়োগ্যাস প্লান্ট এর তিনটি অংশ! ১।ডাইজেস্টার২। হাইড্রলিক চেম্বার৩।ইনলেট ট্যাংক ডাইজেস্টার ২৫০ সেঃমিঃ ব্যাস এবং ২২০ সেঃমিঃ গভীরতাবিশিষ্ট একটি কুয়াবিশেষ!এর তলদেশ অর্ধগোলাকৃতি এবং পুরু ইট বিছিয়ে ঢালাই করা।এর উপরে দিকে পাইপ থাকে! এই অংশ মাটির তলে অবস্হিত ডাইজেস্টারের সাথেই একপাশে আয়তাকার হাইড্রোলিক চেম্বার থাকে। এতে আয়তাকৃতির দুটি চেম্বার করতে হয়।এর উপরের একপাশে আইটলেট থাকে! ইনলেট ট্যাংত ভূমির উপরে থাকে!ইনলেট ট্যাংকের মধ্য কাচাঁমাল দেওয়া হয়।কাচামালে প্লান্ট ভর্তি না হলে পানি দেয়া হয়।ক্ষেত্রে গোবর:পানি=১:১ অথবা হাসমুরগীর বিষ্টা:পানি=১:৩ ডাইজেস্টারে পচন প্রক্রিয়ায় গ্যাস উত্পাদিত হয় এবং তা হাইড্রলিক চেম্বার দিয়ে বের হয়ে আসে