আমাদে ত্বকে অনেক গুলো "সিবাসিয়াস গ্রন্থি" থাকে যা থেকে সব সময় সিবাম নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয় । লোমকুপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃন ও তৈলাক্ত ভাব আসে। যদি কোন কারনে সিবাম এর নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় এবং লোমের গোড়ায় বিদ্ধমান কেরাটিন( এক ধরনের প্রোটিন জাতীয় পদার্থ) ধুলাবালির সঙ্গে মিশে সেখানকার ছিদ্র পথ বা নির্গমন পথ বন্ধ করে দেয় ফলে সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ হিসাবে প্রকাশ পায়। ব্রণ 'প্রোপাইনি ব্যক্টেরিয়াম একনিস' নামক এক ধরনের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়ে পরে তা আরো তীব্রতা লাভ করে। উল্লেখ্য সিবাসিয়াস গ্রন্থি শরীরের মধ্যে মুখের ত্বকে বেশি থাকে। তাই ব্রণ ও মুখে বেশি হয়। এ থেকে মুক্তি পেতে আপনি ফোনা ক্রিমটি ব্যাবহার করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ব্রণ হওয়ার কারণ: বংশগত প্রভাব একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ কারণ। স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে যার নাম প্রোপাওনি ব্যাকটেরিয়াম একনি। বয়ঃসন্ধিকালে এড্রোজেন হরোমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্রন্হি থেকে সেবামের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই সেবাম থেকে ফ্রি ফ্যাটি এসিড তৈরি করে লোমের গোড়ায় উপস্হিত ব্যাকটেরিয়া ফলে লোমের গোড়ায় রদাহের সৃষ্টি হয় এই ফ্যাটি এসিডের প্রভাবে। এর পাশাপাশি জমা হয় লোমেরগোড়ায় কেরাটিন নামক পদার্থ। ফলে সেবাসিয়াস গ্রন্হিপথ বন্ধ হতে থাকে এই কেরাটিন, লিপিড আর মেলানিন পদার্থ দিয়ে যা ‘ব্ল্যাক হেড’ বা ‘হোয়াইট হেড’ হিসাবে দেখা দিয়ে থাকে। ব্রণ দূর করতে বেটনিলান ট্যাবলেট খাবেন এবং সাথে রেমি স্পট ক্রীম ব্যবহার করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ