পরমাণু বোমা আর হাইড্রোজেন বোমা- এই দু’টি শক্তিশালী বোমা বানানো হয় একেবারেই দুটি আলাদা উপায়ে। একটির নাম- ‘নিউক্লিয়ার ফিশন’। যে উপায়ে বানানো হয় তুলনায় কম শক্তিশালী পরমাণু বোমা। এই পদ্ধতিতে একটা ক্ষুদ্র পরমাণুকে দুই বা ততোধিক ক্ষুদ্রতর ও হাল্কা পরমাণুতে ভাঙা হয়। তার ফলে বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমাণে শক্তি। আরেকটি পদ্ধতির নাম- ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’। যে উপায়ে বানানো হয় অনেক বেশি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। এই পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ক্ষুদ্র পরমাণুকে জুড়ে অনেক বড় ও ভারী পরমাণু বানানো হয়। এতে বেরিয়ে আসে আরও অনেক বেশি শক্তি। তাই হাইড্রোজেন বোমা হয় অনেক বেশি শক্তিশালী। যে হেতু এই পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক হাইড্রোজেন পরমাণুকে জোড়া হয়, তাই এর নাম- ‘হাইড্রোজেন বোমা’ যেভাবে বিষ্ফরণ ঘটে: নিউক্লিয়াসের বিভাজনের ফলে কিছু মুক্ত নিউট্রনের জন্ম হয়। একে বলা হয় চেইন রিঅ্যাকশন। এভাবে বোমাটির অভ্যন্তরে বিস্ফোরণ চলতে থাকে আর বের হয়ে আসে প্রচণ্ড শক্তি। ঘটে আণবিক ও পারমাণবিক বিস্ফোরণ।