স্নায়ু বিজ্ঞানিদের মতে , মানুষের মস্তিষ্ক এমনি একটা জিনিষ যাকে যত বেশি পরিশ্রম করানো হবে তা ততো শার্প হবে।
অর্থাৎ ছোটবেলা থেকে যে তার মস্তিষ্ককে বেশি ব্যবহার করবে তার স্মৃতিশক্তি তত বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি হবে।
একথার প্রমান আপনিও পেতে পারেন আপনার নিজেকে দিয়ে।খেয়াল করে দেখবেন যে, কিছু ব্যতিক্রম সিমটম ছাড়া বেশির ভাগ বিজ্ঞানি ই উত্তম স্মৃতিশক্তি থাকা অবস্থায়ই মারা গেছেন।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পশ্ন করায় আপনাকে আন্তরিক মোবারক বাদ। আপনার প্রশ্নটির উত্তর নিম্নে সন্নিবেশিত হলো-
মেধা এটি মহা পভূর অশেষ দান। তিনি যাকে যতটুক দান করেন সে ততটুক পান। তবে হাঁ, তার চর্চা যে, যে পরিমান করে সে, সে পরিমান উপকৃত হয়। আর জন্ম থেকে সবার মেধা সমান কথা টা ঠিক নয়। তাহলে মেধার এই বৈচিত্র পৃথিবীতে লক্ষ করা যেত না। তাছাড়া এটি সাধারণ জ্ঞানেরও দাবী যে, সবার মেধা এক নয়। মেধার তারতম্যের জন্য নিচের দুটি ঘটনা প্রনিধানযোগ্য-
ঘটনা ১-
হযরত আবূ রা. রাসূল সা. এর কাছে নিজের মেধা স্বপ্লতার অভিযোগ করলে রাসূর তার সমাধান করেন। এবং তাকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলেন।–সহীহ বুখারী; হা-৭৩৫৪
ঘটনা ২-
হযরত শাফেয়ী রহ. আপন উস্তাদ ওয়াকী ইবনুল জাররাহ রহ. এর নিকট মেধা স্বল্পতার অভিযোগ কররে তিনি তাকে গোনাহ বর্জনের পরামর্শ প্রদান করেন। -আল জাওয়াহিরুল মুযিইয়্যা ফী তবাকাতিল হানাফিয়্যা ১/৩৩৩, মিরআতুল জিনান ও ইবরাতুল ইয়াকতান ১/৩৩৭, আল মুসতাতরফ ফী কুল্লি ফননি মুসতাযরফ ১/৫২ , মাজমাউল হিকামি ওয়াল আমসাল পৃ.১, দেওয়ানিল ইমাম শাফেয়ী’ রহ. ১/৮
এছাড়াও আল্লামা সাদ উদ্দিন তাফতাযানী রহ. এর ঘটনাও এখানে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।