আমরা জানি, হযরত ইসরাফিল (আ) শিংগায় ফুঁক দেওয়ার মাধ্যমে  সকলেই পৃথিবীর মারা যাবে  আল্লাহর হুকুমে আজরাইল আলাদা সালাম সকল জীবের জান কবজ করবে অতঃপর আল্লাহ তাআলা হযরত আজরাইল (আ) কে নিজের জান কবজ করতে বলবেন এর মাধ্যমে আজরাইল (আ) মারা যাবে । আমরা জানি যে, এর ফলে দুনিয়ায় কোন জীব বেঁচে থাকবে না  এমনকি  আল্লাহ ছাড়া মহাবিশ্ব তে কোন অস্তিত্ব থাকবে না । কিন্তু আবার আমরা জানি, যে ইসরাফিল (আ) এরপর শিংগায় ফুঁক দিলে কিয়ামত সংঘটিত হবে । কিন্তু এখানে আমার কথা হলো যখন দুনিয়ার সবাই মারা যাবে, ফেরেশতাগণও মারা যাবে আল্লাহ ছাড়া কেউ বেঁচে থাকবে না তখন হযরত ইসরাফিল (আ) কিভাবে শিংগায় ফুঁক দিবেন যখন তিনি বেঁচে ছিলেন না?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

হযরত ইসরাফীল (আঃ) যখন শিংগায় প্রথম ফুঁক দিবেন তখন তিনি বেঁচেই থাকবেন। ইসরাফীল (আঃ) কিয়ামত বা মহাপ্রলয় ঘোষণা করবেন। তার পরেই দুনিয়া বা সমগ্র সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। ইসরাফীল (আঃ) এর প্রথম ফুঁকের পর সমগ্র সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। এবং জিবরাইল, মীকাইল, ইসরাফীল, প্রমূখ নৈকট্যশীল ফেরেশতাগণও মারা যাবে এবং আল্লাহর সত্ত্বা ব্যতীত কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আল্লাহ বলবেন, আজকের দিন রাজত্ব কার? আল্লাহ নিজেই জওয়াব দেবেনঃ প্রবল পরাক্রান্ত এক আল্লাহর! হাদীস থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায় কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা সমগ্ৰ পৃথিবী এবং সমগ্র আসমান সমূহকে হাতে গুটিয়ে বলবেনঃ আমিই বাদশাহ! আমিই পরাক্রমশালী, আমি অহংকারী, দুনিয়ার বাদশারা কোথায়? কোথায় পরাক্রমশালীরা? কোথায় অহংকারকারীরা? (বুখারীঃ ৭৪১২ মুসলিমঃ ২৭৮৮) তাফসিরে ইবনে কাসিরে বর্ণিত- যখন ইসরাফীল (আঃ) সিঙ্গায় ফুৎকার দিবেন তখন সকলেই মরে যাবে। মালাকুল মউত মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে আল্লাহ তায়ালাকে বলবে হে প্রভূ সকলে মরে গেছে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন আর অবশিষ্ট কেউ আছে? উত্তর দিবে হে আমার রব আপনি আর আপনি হলেন চিরজ্ঞীব। এ ছাড়াও বাকি রয়েছেন জিবরাইল মিকাইল ও আরশ বহনকারী ফেরেস্তারা। আল্লাহ তায়ালা বলবেন জিবরাইল মিকাইলের মৃত্যু হওয়া উচিত। মৃত্যুর ফেরেস্তা বলবে হে প্রভূ জিবরাইল ও মিকাইল মরে গেছে। আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞাস করবেন এখন আর কেউ বাকী আছে? সে উত্তর করবে আমি বাকি আছি আর আরশ বহনকারী ফেরেস্তারা। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন আরশ বহকারীগণকে মরতে হবে তারাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। আল্লাহ তায়ালা আবার জিজ্ঞাস করবেন এখন আর কেউ বাকি আছে? মালাকুল মউত বলবেন হে! আমার রব এখন আপনি এবং আমি বাকি আছি। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন তুমি তো আমার মাখলুক তুমিও মরে যাও। তিনিও তৎক্ষনাৎ মরে যাবে। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালা বাকী থাকবেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা জমিনকে ভাজ করে ফেলবেন। এবং তিন তিন বার উদীপ্ত কন্ঠে বলবেন- আমি প্রতাপশালী আমি প্রতাপশালী। আমি প্রতাপশালী। অতঃপর তিনি ত্যাজদিপ্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করবেন আজকের রাজত্ব কার? আজকের সার্বভৌমত্ব কার? আজকের এ অধিপত্য কার? জবার দেওয়ার মতো কেউই থাকবে না। নৈশব্দের মধ্যে তিনি পূণরায় উত্তর দেবেন আজকের রাজত্ব! আজকের সার্বভৌমত্ব!! আজকের অধিপত্য!!! পরাক্রমশালী একমাত্র আল্লাহর। ইবনে আমরের অপর হাদিসে আছে তিনি কিয়ামতের দিন আসমান জমিনকে ভাজ করে গুটিয়ে নেবেন। অতঃপর আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলবেন আমি বাদশা! আমি প্রতাপশালী!! আমি অহংকারী!!! এরপর প্রতিপক্ষের জন্য প্রশ্ন ছুড়ে দেবে দুনিয়ার রাজা বাদশারা কোথায়? দুনিয়ার প্রতাপশালীরা কোথায়? দুনিয়ার অহংকারকারীরা কোথায়? তখন আল্লাহ তায়ালা সুউচ্চ কন্ঠে তিন বার জিজ্ঞাসা করবেন আজকের রাজত্ব কার? আজকের সার্বভৌমত্ব কার? আজকের আধিপত্য কার? এতপর আবার নিজেই নিজের উত্তর দিবেন আজকের রাজত্ব আজকের সার্বভৌমত্ব আজকের অধিপত্য!! পতাপশালী একমাত্র আল্লাহর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ