নিহত “মিথ্যা বা ভন্ড" নবীর তালিকা:
ইসলামে সব নবীকে “নবী” বলে স্বিকার করা হয়না, কাউকে কাউকে মিথ্যা, আবার কেউ কেউ ইসলামি মতে সত্য নবী।
যেমন :
(১) ইসলামের নবীর সময়েই ছনাআয়ে ইয়ামানে আসওয়াদ আনাসী নামে এক লোক নবী দাবি করেছিল। ফিরুজ দাইলামী নামে এক মুসলিম এই ভন্ড নবীকে হত্যা করেছিলো।
(২) নবীর জিবদ্দশায় ইয়ামামা নামক জায়গায় মুসাইলামাতুল কাজ্জাব নামে এক লোক মিথ্যা নবী দাবি করেছিল । হযরত আবু বকর এর যামানায় তার সাথে মুসলমানদেও যুদ্ধেও ঘোষণা হয় । তখন রাসুল এর সাহাবী হযরত অহশী বিন হারব সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং উক্ত নবীকে হত্যা করেছিলেন ।
ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে ভন্ডনবিদের আবির্ভাব, যাকাত বিরোধী আন্দোলন ও স্বধর্মত্যাগীদের বিদ্রোহ ইসলামী শিশু রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে প্রচন্ড আঘাত হানে। ফলে, ইসলাম পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খিলাফত লাভের পর থেকেই অধিকাংশ সময় স্বধর্মত্যাগী বা ভন্ডনবিদের দমন করতে রিদ্দার যুদ্ধে মনোনিবেশ করেন। এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর স্বল্পকালীন খিলাফতের অধিকাংশ সময়ই তথাকথিত রিদ্দা যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিল। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইয়ামামা ও অন্যান্য যুদ্ধে মহাবীর খালিদ ইবনে ওয়ালিদ এবং কতিপয় ইতিহাস বিখ্যাত সমর নায়কগণ অভিযান চালান। ফলে, ভন্ডনবিগণ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং ইসলাম নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়, ইসলাম পুনরুজ্জীবিত হয় এবং ইসলামী রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।