Call

যেকোনো কারণে প্রতারণার শিকার হলে কিংবা চাকরির নামে কোনো প্রতারণার শিকার হলে আইনের আশ্রয় খুব সহজেই নিতে পারেন। আপনি দায়ী ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করতে পারেন। প্রতারণার পাশাপাশি বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগও আনা যায়। ক্ষেত্রবিশেষে দেওয়ানি আদালতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারেন। তবে আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে যথেষ্ট প্রমাণাদি থাকা লাগবে। যেমন কোনো লিখিত চুক্তি, কোনো রসিদ—এসব বিষয়। তাই এ দলিলগুলো সংরক্ষণ রাখা জরুরি। বিয়ের নাম করে যদি কেউ প্রতারণামূলকভাবে সংসার করে, এ ক্ষেত্রে আইনের আশ্রয় নেওয়া যাবে। দেশ–বিদেশে চাকরির নাম করে টাকা দেওয়ার সময় টাকা লেনদেন-সংক্রান্ত চুক্তি ভঙ্গ করলেও প্রতারণার অভিযোগ আনা যাবে। থানায় এজাহার দায়ের করে মামলা করা যায় অথবা আদালতে সরাসরি মামলা দায়ের করা যায়। এ মামলা দায়ের করতে হয় মুখ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বা মহানগর এলাকা হলে মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। তবে ব্যবসা–সংক্রান্ত লেনদেনে প্রতারণার অভিযোগ অনেক সময় না–ও টিকতে পারে। উচ্চ আদালতের কিছু রায়ে তা বলা হয়েছে। যা জানা দরকার আমাদের দেশে চাকরি নিয়ে প্রতারণার ঘটনা অনেক বেশি ঘটতে দেখা যায়। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় বা পরে চাকরিতে যোগদান করার কথা বললে হুট করেই চাকরিতে যোগ দেওয়া ঠিক হবে না। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে প্রথমেই জেনে নিন ওই প্রতিষ্ঠানটি আইনগতভাবে স্বীকৃত কি না। প্রতিষ্ঠানটির যথাযথ নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না। বেতন-ভাতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানুন, চাকরির ধরন সম্পর্কে জেনে নিন। নিয়োগপত্র গ্রহণের সময় তাতে শর্তাবলি কী আছে, ভালোভাবে দেখে নিন। ব্যক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রে একটা লিখিত চুক্তি করে রাখুন। যতই কাছের আত্মীয় হোক না কেন, লিখিত চুক্তি করে টাকাপয়সার লেনদেন করা উচিত। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণাদি রাখা জরুরি।


[তথ্যসূত্রঃ দৈনিক শিক্ষা]
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ