শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নটরডেম ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা দিতে হয়। আমি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছিলাম। অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলতে পারি-   


লিখিত পরীক্ষাঃ 

লিখিত পরীক্ষা সাধারণত ৫০ মার্কের হয়। প্রশ্ন সহজ বা কঠিন হতে পারে। তবে নবম-দশম শ্রেণির মূল বই আয়ত্ত্বে থাকলে চিন্তার কোন কারণ নেই। লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, বাংলা,ইংরেজি থেকে প্রশ্ন থাকে। গণিত এ ৪ টি প্রশ্ন থাকে। চেষ্টা করতে হবে ৪ টির ই উত্তর করে আসতে। উল্লেখ্য খুবই স্বল্প জায়গা থাকবে।এর চেয়েও স্বল্প থাকবে সময়। তার মধ্যেই উত্তর করতে হবে। ত্রিকোণোমিতি থেকে প্রশ্ন থাকবে। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন থেকে বিভিন্ন অঙ্ক, বিক্রিয়া এমনকি জ্ঞানমূলক ও থাকতে পারে। রসায়নে জৈব যৌগের চ্যাপ্টারটা পড়া থাকলে সুবিধা হবে। বাংলা, ইংরেজিতে যে কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। বাংলায় কবি পরিচিতি একবার চোখ বুলিয়ে যাওয়া ভাল। 


ভাইভা পরীক্ষাঃ 

নটরডেম কলেজে সবসময়ই ভাইভার গুরুত্ত্ব বেশি। ভাইভায় সাধারণ শার্ট-প্যান্ট পড়া ভাল। বেশি জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক বা জিনস পরিহার করা উচিৎ। ভাইভায় কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়- এই কলেজে কেন পড়তে চাও? ধুমপানের অভ্যাস আছে কি না ?  এসব পশ্নের উত্তর আগে থেকে গুছিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া এক্সট্রা-কারিকুলার আক্টিভিটি সমন্ধেও প্রশ্ন করা হবে। আপনার পছন্দের বিষয় জিজ্ঞাসা করা হলে আমার মতে আপনি যে বিষয় সবচেয়ে ভাল পারেন তার নাম বলাই শ্রেয় এমনকি বিষয়টি যদি আপনার পছন্দের নাও হয়। উত্তর না পারলেও ঘাবড়ে না গিয়ে সেটা বিনয়ের সাথে জানান। মোট কথা আপনি নার্ভাস না হয়ে ভদ্রতা বা বিনয়ের সাথে উত্তর দিচ্ছন কি না সেটা মূখ্য। ভাইভাতে বেশি কথা বলবেন না, বেশি চালাক বা বেশি আঁতেল হওয়ার চেষ্টা করবেন না, মিথ্যা তথ্য দিবেন না- এসব তো সাধারণ জ্ঞান। নতুন করে বলার কিছু নেই।    


কিছু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাঃ

আমি ৫০ এ ৪৬ মার্কসের উত্তর করেছিলাম। পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের মোট ২ টি প্রশ্ন ছেড়ে আসা সত্ত্বেও চান্স পেয়েছিলাম। ভাইভাতে ইংরেজি বিভাগের অনেক কড়া একজন শিক্ষকের সম্মুখীন হয়েছিলাম। আমাকে প্যাসকেলের সূত্র জিজ্ঞাসা করেছিলেন যদিও সেটা ৯ম-১০ম শ্রেণির সিলেবাসে ছিল না; ছিল ৮ম শ্রেণির সিলেবাসে এবং আমি পেরেছিলাম।

আমাকে তিনি শিক্ষার সঠিক সংজ্ঞা জিজ্ঞাসা করেছিলেন আর আমি শারীরিক শিক্ষা বইয়ের শিক্ষার সংজ্ঞা বলে পার পেয়ে গিয়েছিলাম ! 


পরিশেষে বলব এসএসসি তে ভাল প্রস্তুতি থাকলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আর না থাকলে এস এস সির পরে একটু লেখাপড়া করা যেতে পারে। অনেক সময় অনেক ভাল ছাত্রও পরীক্ষা দিয়ে চান্স পায় না আবার অনেক খারাপ ছাত্রও চান্স পায়। তাই আফসোসের কোন অবকাশ নেই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।   

  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ