অাউটসোসির্ং করে টাকা অায় করে কিভাবে
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ব্যবসা ক্ষেত্রে, আউটসোর্সিং বলতে কোন একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়াকে বুঝায়. "আউটসোর্সিং" এর ধারনাটি এসেছে আমেরিকান শব্দ 'outside resourcing'' থেকে এবং এটি আমাদেরকে কমপক্ষে আশির দশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আউটসোর্সিং বলতে কখনো কখনো এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মী হস্তান্তর করাকেও বুঝায়, কিন্তু সব সময় না। আউটসোর্সিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়েব সাইট (যেমন ফ্রিলেন্সার ডট কম) রয়েছে। এগুলোতে নিবন্ধিত হয়ে আপনাকে কাজ পেতে হবে।এই কাজগুলোর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল গ্র‍্যাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপিং ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এটা বলার আগে আপনাকে বলতে চাই Outsourcing সম্পর্কে। বাংলাদেশে বর্তমানে এই শব্দটা ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। অনেকের ধারণা কেবল বিদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করাটাই বোধহয় আউটসোর্সিং। আসলে ব্যাপারটা সেই রকম কিছু না। 


ধরুন আপনার একটা কলমের ফ্যাক্টরী আছে। সেখানকার প্রায় সব কাজই আপনি নিজের প্রতিষ্ঠানের ভিতরেই করেন। কিন্তু আরেকটা ছোট কোম্পানীকে শুধু কলমের ক্যাপ বানানোর দায়িত্ব দিলেন কারণ তারা কাজটা কম খরচে আপনাকে করে দিবে। এই যে আপনি বাইরের একটা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই কাজটি করিয়ে নিলেন এটাই এক ধরণের Outsourcing (এটা শুধুই একটা উদাহরণ)।   


এবার আসুন বাংলাদেশী বা অন্যান্য দেশের মানুষ কিভাবে Outsourcing করে। আমরা মূলত আউটসোর্সিং করিনা। আউটসোর্সিং করে ঐ সমস্ত প্রতিষ্ঠান যারা আমাদেরকে দিয়ে এসব কাজ করিয়ে নেয়। সেই হিসেবে Outsourcing কথাটা যে একেবারে ভুল তা না। মূলত আমরা অন্যান্য কোম্পানী আমাদেরকে দিয়ে Outsourcing করিয়ে নেয়। ব্যাপারটা আমরা যেভাবে বুঝি ঠিক তার বিপরীত। 



কিভাবে এসব কাজ করে?


অনলাইনে এসব কাজ করার অনেক সাইট আছে। এসব সাইটে নিয়মিত আপনার আমার মত মানুষ কাজ খোঁজে আর অনেকে কাজ দেয়। সেখান থেকে পছন্দ মত কাজে আপনি আবেদন করবেন। আপনার ডিটেইলস্, টাকার চাহিদা এসব বিবেচনা করে ওনারা দেখবেন আপনাকে কাজ দেওয়া যাবে কিনা। সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট টি হল UpWork যেটা আগে oDesk নামে পরিচিত ছিল। 


কি কি কাজ করা যায়?

অসংখ্য কাজ আছে। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি ঠিক করবেন আপনি কোন লাইনে যাবেন। আমি কিছু কাজের কথা উল্লেখ করছি - 

  • ডেটা এন্ট্রি - আপনাকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে (মনে করুন বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে) এক্সেল ফাইলে সাজিয়ে দেওয়া লাগতে পারে। ফরম্যাট হয়ত ওরাই দিবে। এবং এর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কাজ থাকতে পারে। 
  • ইঞ্জিনিয়ারিং - আপনি যদি সিভিল/ মেকানিক্যাল/ ক্যামিকেল এ জাতীয় পেশাদার হয়ে থাকেন তাহলে এ ধরণের ডিজাইনের কাজ পেতে পারেন। 
  • গ্রাফিক্স - আপনাকে ফটোশপ অথবা ইলাস্ট্রেটরে কাজ করা লাগতে পারে। যেমন কোন ছবি এডিটিং কিংবা কোন কোম্পানীর কোন পণ্যের জন্য লোগো ডিজাইন।
  • প্রোগ্রামিং এন্ড ওয়েব ডেভেলপিং - যেমন ওয়েব ডিজাইন, এপস ডিজাইন ইত্যাদি। 
  • রাইটিং - এর মধ্যে আছে ওয়েবে লেখালেখি, লেখা সম্পাদনা কিংবা প্রুফ রিডিং, কোন রিসার্চের কাজে সাহায্য করা ইত্যাদি। 
  • অনুবাদ - বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করার কাজ আছে। তবে আপনি যদি শুধু বাংলা আর ইংরেজী ভাষা জেনে থাকেন তাহলে এখানে খুব বেশি কাজ পাবেন না। 
  • আইন বিষয়ক - আইন বিষয়ক বিভিন্ন কন্টাক্ট ও পেতে পারেন যারা আইনজীবি তারা।
  • কাস্টমার সার্ভিস - আপনি টেলিফোনে অথবা ওয়েবে একটা নির্দিষ্ট সময়ে কোন কোম্পানীর হয়ে কাস্টমারদের সাপোর্ট দিতে পারেন। English এ বলার দক্ষতা ভাল থাকলে এই কাজ পাওয়া যাবে এবং ভাল আয় করা যাবে। 
  • মার্কেটিং - আপনি SEO এর কাজ জানলে এখানে ভাল আয় করা যাবে। এর বেশ চাহিদা আছে। এছাড়াও Email Marketing, Web Advertising ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করা যায় এই সেক্টরে। 
  • Financial Services - আপনার যদি Finance অথবা Accounting এ দক্ষ হন তাহলে কোন কোম্পানীর Financial Advisor হিসেবে তাদের বিভিন্ন Planning এ সাহায্য করার মত কাজ পেতে পারেন। 


এগুলো ছাড়াও আরো অসংখ্য রকমের কাজ আছে। আমি আপওয়ার্কের কাজের লিস্টকে এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরেছি। আর আপওয়ার্ক ছাড়াও আরো নানা রকম সাইট আছে।


আর টাকা কিভাবে আপনার হাতে পৌছাবে সেটা অনেক পরের ব্যাপার। একবার যদি কোনভাবে লাইন ধরতে পারেন পরের ধাপগুলো আপনা আপনি পাড় হতে পারবেন। তারপরও বলি। টাকা পাবার অনেক মাধ্যম আছে। দুটো প্রধান মাধ্যম হল - 

  1. PayPal - এটা বাংলাদেশীদের জন্য এখনো চালু হয়নি। তবে আপনি অন্য কোন দেশ সিলেক্ট করে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
  2. Payoneer - ওরা আবেদন করলেই আপনার ঠিকনায় International Debit Master Card পাঠিয়ে দিবে। সেটা দিয়ে বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। 

আসলে এক পোস্টে আর কত কথা লিখব। আমার নিজেরই অস্বস্তি লাগছে এইরকম বড় উত্তর দিতে। পড়তে পড়তে যদি বিরক্ত হয়ে যান তাহলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে এই কাজে লেগে থাকতে হয়। সময় দিতে হয়। তাহলেই কাজ পাওয়া যায়। প্রথমে কম রেটে কাজ করা লাগে। এরপর বায়ার যখন আপনার কাজ দেখে ভাল রেটিং দিবে তখন আপনার কাজের রেটও বাড়াতে পারবেন। আস্তে আস্তে সব শিখে যাবেন। আগে শুরু তো করুন। 
আপনার জন্য রইল শুভকামনা। 


(অনেক পয়েন্ট সংক্ষেপে বলেছি। যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে মন্তব্যে জানাবেন)



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ