আমার মনে হয় আমার রক্তে টক্সিন আছে। এখন আমি কি ঔষুধ খেতে পারি?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

টক্সিন দূর করার ৯টি উপায়। ১) ভালো করে ধুয়ে তার পর রান্না: এখন চাষের সময়ই প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিকের প্রয়োগ হচ্ছে। ফলে খাবারের সঙ্গে অবলীলায় তা শরীরে ঢুকে পড়ছে। যে কোনও ফল বা সবজি খাওয়ার আগে তা ভালো করে ধুয়ে নিন। সব থেকে ভালো হয়, তা যদি কেটে পরিষ্কীর জলে ভিজিয়ে রাখেন। এতে সবজি বা ফলের মধ্যে জমে থাকা টক্সিন অনেকটা বেরিয়ে যায়। তার সঙ্গে বাসন ধোয়ার দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। যে সবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে তা মাজা হচ্ছে তাতেও টক্সিন থাকতে পারে। তাই খুব ভালো করে পানিতে ধুয়ে নেওয়া ভালো। ২) এয়ার ফ্রেশনার: বাজারে যে সব এয়ার ফ্রেশনার বা সেন্টেট ক্যান্ডেল পাওয়া যায় তার মধ্যে বেশিরভাগের মধ্যেই টক্সিন থাকে। তার বদলে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটা শরীরে পক্ষেও ভালো এবং কোনও ক্ষতিও করে না। ৩) ঘরের মধ্যে গাছ: প্রাকৃতিকভাবে ঘরের বাতাস পরিষ্কার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গাছের কোনও বিকল্প নেই। এমন গাছ ঘরের মধ্যে এনে রাখুন। ঘরের মধ্যে থাকা টক্সিন অনেকটা কমে যাবে। ৪) প্রসাধনীর দিকে খেয়াল রাখুন: সাবান থেকে শ্যাম্পু, মেকআপের যাবতীয় জিনিস ব্যবহারের আগে ভালো করে পড়ে নিন। তাতে টক্সিন থাকাটা আশ্চর্যের নয়। যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময়ও একই কেয়াল রাখতে হবে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাজারে মেলা বেশিরভাগ সানস্ক্রিনে টক্সিনযুক্ত পদার্থ থাকে। ৫) পরিমিত পানি খান: পানি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। পানিই শরীরের ভেতরটা ধুয়ে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই পরিমিত পানি খাওয়া ভীষণ দরকার। আর হ্যাঁ, যেখানে সেখানে পানি খাওয়ার আগে ভেবেচিন্তে খান। কারণ আপাতপক্ষে দেখতে স্বচ্ছ হলেও তাতে প্রচুর ক্ষতিকারক জিনিস থাকতে পারে। এমনকী যে পানিতে আপনার বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে আসছে, তাতেও টক্সিন থাকা আশ্চর্যের নয়। ফলে পানি পরিস্রুত করে তবেই পান করুন। ৬) মাইক্রোওয়েভের ব্যবহার কমান: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ কমে যায়। ব্রকোলি যদি মাইক্রোওয়েভে রান্না করা হয়, তা হলে তার ৯৭ শতাংশ খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। সিদ্ধ করা ব্রকোলিতে ১১ শতাংশ নষ্ট হয়। রসুনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ফলে সুস্থ আহারের জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন। ৭) প্লাস্টিক বন্ধ: বোতল হোক বা প্লেট, প্লাস্টিক ব্যবহার একেবারে বন্ধ করে দিন। এমনকী টেফলনের পাত্রে রান্না করা বা খাবার রাখাও ক্ষতিকারক। তার বদলে স্টিলস কাস্ট আয়রন বা চিনে মাটির পাত্র ব্যবহার করুন। ৮) তেল পাল্টান: রান্নার তেলও টক্সিনের অন্যতম প্রধান উত্স হতে পারে। তাই রান্নার তেল কেনার সময় খেয়াল রাখুন। আরও একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে। একবার ব্যবহৃত তেল ফের ব্যবহার করা অত্যন্ত খারাপ। কারণ ব্যবহৃত তেল অক্সিডাইজড হয়ে গেলে তা টক্সিনে রূপান্তরিত হয়। নারকেল রান্নায় ব্যবহার করা খুবই উপকারি। ৯) কসরত করুন রোজ: কসরত বা ব্যায়াম করলে শরীর থেকে যে ঘাম নির্গত হয়, তাতে জমে থাকা টক্সিন অনেকটা বেরিয়ে যায়। মনে রাখবেন, ত্বক টক্সিন বার করার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এক্ষেত্রে এতো কিছু না করে,ফুডস এং ভেজিট্যাবল ক্লিনার মেশিন  দিয়া টক্সিন দূর করতে পারবেন ১০০%...সুস্থ থাকুন,সুন্দর থাকুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ