এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হলো, আপনাকে খেলা-ধুলা, খাওয়া এবং ঘুম এর সময় ছাড়া আর মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ রেস্ট বাদে ১০-১২ ঘন্টা পড়ার জন্য একটি রুটিন করতে হবে। রুটিনটি নিজের সুবিধা অনুযায়ী করে নিবেন। কোনদিনই রুটিন ভঙ্গ করবেন না বিশেষ কারণ ছাড়া।
কিছু টিপস :
পরিকল্পনা ছাড়া এই পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যত কাজ হয়েছে তারশতকরা ৯৮% কাজই সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তাই আজ থেকে সুষ্ঠুপরিকল্পনা করে ফেলুন। যেমন-আপনি প্রতিদিন প্রতিটা বইয়ের ১টি করে অধ্যায় পড়বেন।
রেসের মাঠে একা দৌড়ালে যেমন কোন লাভ নেই, ঠিক তেমনি পড়াশোনায়ও ভালো রেজাল্ট করতে প্রতিযোগী সেট করার কোন বিকল্প নেই। আপনার থেকে দুই ধাপ ভালো কোন ছাত্র-ছাত্রীকে টার্গেট করুন। মনে মনে বলুন নেক্সট পরীক্ষায় আমি ওর থেকে কমপক্ষে ২০ মার্কস বেশী ওঠাবো বা ২ পয়েন্ট বেশী অর্জন করবো। তাই প্রতিদিন অল্প পড়াশোনা করার অভ্যাস করুন।
কথায় আছে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আপনি যদি এভারেজ কিংবা খারাপ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মেশেন তাহলে আপনার উপরে কিন্তু খারাপ প্রভাবই পরবে। ভালো প্রভাবের জন্য ভালো ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিশুন, কথা বলুন, প্রয়োজনে তাদের সাথে আড্ডা দিন।
ছাত্র-ছাত্রীর অন্যতম কাজ হচ্ছে টিভি দেখা। সচরাচর সবাই টিভি দেখে নিজেকে নায়ক নায়িকা বা গায়ক গায়িকা ভাবতে পছন্দ করে। কিন্তু মনে রাখবেন টিভিতে যা কিছু দেখি সবই কিন্তু প্রফেশনাল লোকজন করে। তাদের পেশাই হচ্ছে ওইটা করা। তাই আপনি যদি তাদের মতো কল্পনা করেন কিন্তু পড়ালেখা না করেন তাহলে কিন্তু কোন কাজ হবে না।
# মোবাইল, ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি কমিয়ে দিন, অাপাতোতো শুধু নিজের পাঠ্য বইকেই প্রাধান্য দিন। ভালো হয় অতি প্রয়োজন ছাড়া ফেসবুক, ইমো, হোটস অ্যাপ সহ সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলো হতে সাময়িক ভাবে দুরে থাকা।