নিচের নিয়ম গুলো ভালোলাগলে কাদে লাগাতে পারেন।
¤ আপনি যদি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের অধিকারী হন, তাইলে “ওভার কনফিডেন্স” কৌশল অবলম্বন করিতে পারেন।
কৌশলের নামঃ ওভার কনফিডেন্স
যাহা বলিতে হইবেঃ “শোনো মেয়ে আমি কোনো রকম ভূমিকা-টূমিকা না করে পুরা strait ভাবে তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। আমি তোমাকে ভালোবাসি।”
ফলাফলঃ যে ব্যক্তি এই কৌশলে প্রপোজ করেছিলেন তিনি সফলতা পেয়েছিলেন আপনার ক্ষেত্রেও যে সফলতা আসতে পারে তাহা কিন্তু নিশ্চত নয়:| তবে চেষ্টা করতে দোষ কি:)
¤ আপনি যদি নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান মনে করেন, তাইলে আপনে “দি গ্রেট” কৌশল অবলম্বন করিতে পারেন:
কৌশলের নামঃ দি গ্রেট
যাহা বলিতে হইবেঃ “দেখো মেয়ে, তোমাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এখন তুমি আমাকে পছন্দ না করলেও আমি পাঁচতলা থেকে লাফ দিবো না, বিষ খেয়েও মরবো না। যদি আমাকে তোমার পছন্দ হয়, তাহলে বল।” ;)
ফলাফলঃ যে ব্যক্তি এই কৌশলে প্রপোজ করেছিলেন তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন:(( তবে ভাগ্য ভালো থাকিলে আপনার সফলতা নিশ্চিত R
ব্যর্থ হওয়ার কারণঃ মেয়েটির সাথে অন্য একটি ছেলের সম্পর্ক ছিল। তাই প্রপোজ ব্যর্থতায় পরিনত হয়েছে। তবে গবেষনা করে দেখা গেছে যে, সম্পর্ক না থাকিলে প্রপোজের শতভাগ সফলতা নিশ্চিত।
¤ আপনি চাইলে আধুনিক “ডিজুস” কৌশল অবলম্বন করিতে পারেন। তবে মেয়ের ডিজুস প্রপোজ গ্রহন করার শর্ত সাপেক্ষে
কৌশলের নামঃ ডিজুস
যাহা বলিতে হইবেঃ “Hi, sweet heart, how r u? Guess what? Yah! Right. I Love You!”
ফলাফলঃ অনিশ্চিত। তবুও ট্রাই কইরা দেখবার পারেন। কাম হইলে আপনারে আর ঠেকায় কে? ;););)
¤ আপনি যে মেয়েকে পছন্দ করেন, তিনি যদি অনেকটা চঞ্চল টাইপ হয়, তাইলে আপনে “শেক” কৌশল অবলম্বন করিতে পারেন:
কৌশলের নামঃ শেক
যাহা বলিতে হইবেঃ “এই ফাজিল মেয়ে। তুমি এ কি জাদু করলা? তোমাকে দেখলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়। আবার তোমাকে না দেখলে অস্তিরতায় মরে যাই। তুমি কি জানো? আমি তোমাকে অনেননননননননন....ক ভালোবাসি।”
ফলাফলঃ এই ক্ষেত্রে চান্স ফিফটি-ফিফটি।
¤ আপনি যেই আভাগিনীকে ভালোবাসেন, তিনি যদি রসের আলাপ পছন্দ করেন তাইলে আপনে “রস-কস” কৌশল অবলম্বন করিতে পারেন।
কৌশলের নামঃ রস-কস
যাহা বলিতে হইবেঃ “Excuse me! আমি তোমাকে প্রপোজ করতে চাই। please অনুমতি দাও।
ফলাফলঃ মাইয়া ভদ্র হইলে ৭০% সম্ভাবনা আছে। আর মাইয়া যদি ব্যাপক হয় তাইলে নিজের গাল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ইন্সট্রুমেন্ট সাথে রাখুন।
¤ আপনে চাইলে “আলাগ” কৌশল অবলম্বন করিতে পারেন।
কৌশলের নামঃ আলাগ।
যাহা বলিতে হইবেঃ “আমি তোমাকে জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন দ্বারা কিছু বুঝাতে চাচ্ছি। তুমি কি কিছু বুঝতে পারছো?” :P:P:P
ফলাফলঃ মাইয়া চালাক হইলে আপনার কথার কাবজাপ বুঝিয়া ফেলিবে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় বোকা হইলে আপনাকে দ্বিতীয় লাইন শুনাইতে বাধ্য করিবে।
সতর্কতাঃ জাতীয় সংগীতে দ্বিতীয় লাইন দিয়ে প্রপোজ করিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নিজের মত সুর ব্যবহার করিতে হইবে। তা না হইলে আশেপাশে অবস্থানরত দেশপ্রেমিক আপনার সাথে সমস্বরে গেয়ে উঠিতে পারে, “আমি তোমায় ভালোবাসি।”
¤ আপনি চাইলে সিম্পল লজিক ব্যবহার করেও প্রপোজ করিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে “যুক্তিবাদী” কৌশল অবলম্বন করিতে হইবে।
কৌশলের নামঃ যুক্তিবাদী
যাহা বলিতে হইবেঃ “দেখো নীলিমা, আমি তোমার ছোট ভাইকে ভালোবাসি। তোমার ছোট ভাই তোমাকে ভালোবাসে। অতএব, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
ফলাফলঃ এক্ষেত্রে, মেয়েটি যদি আপনার কথায় মুগ্ধ হয়, তাইলে সফলতা নিশ্চিত। মুগ্ধ না হইলে, স্থান পরিত্যাগ করুন অথবা নতুন কাউকে খুঁজুন।
পোষ্টটা নিতান্তই একটি রম্য টাইপ। কেউ যদি ইহাকে সিরিয়াস ভেবে, বাস্তব জীবনে কাজে লাগান তাহলে,
০১. আপনি যদি সফল হোনঃ আমারে বাসায় মিষ্টি+বিবাহের অগ্রিম কার্ড পৌছাতে ভুলবেন না।
০২. আপনি যদি ব্যর্থ হোনঃ “পোষ্টটা নিতান্তই একটি রম্য টাইপ” এই বাক্যটুকু মনে রাখবেন।
কিছুকথাঃ প্রতিটি মানুষ ভালোবাসা চায়, ভালবাসতে চায়। তবে প্রপোজ করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আমরা কে কাকে কত বেশি বুঝতে পারি, অনুভব করতে পারি।