শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
ArfanAli

Call
  1. শিশ্ন বহিষ্ককরণঃ সঙ্গমকালে শুক্রাণু বের হওয়ার মূহুর্তে যদি শিশ্নকে বের করে দেহের বাইরে বীর্য ফেলা হয় তা হলে শুক্রাণু নিষেক ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারে না। এই অবস্থায় দ্বিতীয়বার আর সঙ্গম করা যাবে না কারণ শিশ্নে বীর্য আটকে থাকে এই অবস্থায় পুনরায় সঙ্গম করলে বীর্য জরায়ুতে চলে যাবে এবং নিষেক ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করবে।
  2. রাসায়নিক পদ্ধতিঃ শুক্রনাশক জেলি, ক্রীম ফেনা বা ফোম বড়ি, জেল প্রভৃতি বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যৌনমিলনের আগে স্থাপন করতে হয়। এটি ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত কার্যক্ষম থেকে স্খলিত শুক্রাণুকে নষ্ট করে দেয়।
  3. অন্তর্জরায়ু গর্ভনিরোধক ব্যবস্থাঃ এ ব্যবস্থায় পলিথিন, তামা , রূপা বা স্টেইনলেস স্টীল নির্মিত একটি ফাঁস জরায়ুর অভ্যন্তরে স্থাপন করলে তা জরায়ুর ভেতরে নিষিক্ত ডিম্বাণুর রোপনে বাধা দান করে।
  4. স্পঞ্জঃ এটি ভিজিয়ে যোনিতে স্থাপন করতে হয় এবং পর মুহূর্ত থেকেই কার্যক্ষম হলে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অনবরত প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকে।
  5. ইনজেকশনঃ বেশ কয়েকমাস গর্ভধারণ ঝুঁকি নিরাপদে এড়ানো যায় তার জন্য বর্তমানে এক ধরনের ইনজেকশন আবিষ্কৃত হয়েছে। অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকায় এর গুণগত মান উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।
  6. জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়িঃ এটি বিভিন্ন অনুপাতে এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরণের মিশ্রণে তৈরি এবং মুখে গ্রহণযোগ্য বড়ি। রজঃচক্রের ৫-২৫ তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে বড়ি গ্রহণ করতে হয়। এগুলো মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের উপর কাজ করে ডিম্বপাতে বাধা দেয় এবং জরায়ুকন্ঠের মিউকাস ঝিল্লিকে শুক্রাণু প্রবেশের বিরোধী করে তোলে। এটি একটি বহুল প্রচলিত জন্মনিরোধক পদ্ধতি কিন্তু অনেক মহিলা সাময়িক বমি ভাব, ফোঁটা স্রাব, উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সবাই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট কিংবা কনডমের ওপরই ভরসা করেন। কিন্তু আধুনিক পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এ সম্পর্কে ধারণা থাকলে চিকিৎসকের কাছেও যাওয়ার প্রযোজন পড়ে না।

নারীদের স্বাভাবিক ঋতুচক্র প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। এতে এমন কিছুদিন রয়েছে, যাকে নিরাপদ দিন বা সেফ পিরিয়ড বলা হয়। এ দিনগুলোতে সহবাস করলেও গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না।

সেফ পিরিয়ডের দিনগুলোও প্রকৃতিগতভাবে নির্দিষ্ট। এ কারণেই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা বলা যেতেই পারে।

চিকিৎসকেরা একে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জানা দরকার ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলো।

এ পদ্ধতির জন্য সবার আগে জানতে হবে মাসিক ঋতুচক্র নিয়মিত হয় কিনা। হলে তা কত দিন অন্তর হয়। সবচেয়ে কম যত দিন পর পর মাসিক হয়, তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিতে হবে। পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এ দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদ দিন। আবার সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর পিরিয়ড হয়, তা থেকে ১০ দিন বাদ দিলে মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে এ দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে


ধরুন আপনার পিরিয়ড ২৮ থেকে ২০ দিন অন্তর হয়। তবে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ পিরিয়ড শুরুর পর থেকে প্রায় নয় দিন আপনার জন্য নিরাপদ, এ দিনগুলোতে কোনও পদ্ধতি ব্যবহার না করেও সহবাস অনায়াসেই করা সম্ভব। ১০ নম্বর দিন থেকে অনিরাপদ দিন শুরু। তাই এ দিন থেকে সহবাসে সংযত হতে হবে।

৩০ দিন হল দীর্ঘতম মাসিকচক্র। তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০ নম্বর দিনটিই হল শেষ অনিরাপদ দিন। ২১তম দিন থেকে আবার অবাধে সহবাস করা যেতে পারে। এতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই। তবে, এতে ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে অবাধ সহবাসের ফলে গর্ভধারন হতে পারে।

এ বিষয়েটি সহজভাবে বোঝালে পিরিয়ড শুরুর প্রথম সাত দিন ও শেষের প্রথম সাত দিন সহবাস করা নিরাপদ। তবে পিরিয়ড নিয়মিত না হলে এ পদ্ধতি কার্যকর হবে না। এছাড়া প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০ শতাংশ নিরাপদ।

সাধারণত পিরিয়ডের হিসাবে গন্ডগোল, অনিরাপদ দিবসে সহবাস, অনুমিত পিরিয়ডের ফলে প্রাকৃতির গর্ভনিরোধকের পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিকভাবে জানতে একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ