শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

একটি প্রোটোকল হল কতকগুলো নিয়ম, যা তথ্য যোগাযোগ বা তথ্য আদান-প্রদানকে পরিচালনা করে। এটা যোগাযোগকারী যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগের সম্মতি বোঝায়। প্রোটোকল ছাড়া ২ টা যন্ত্র সংযুক্ত থাকতে পারে কিন্তু যোগাযোগ করবে না। যেমনঃ একজন ফরাসী ভাষার মানুষের কথা একজন জাপানী ভাষার মানুষ বুঝবে না। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে , বিভিন্ন সিস্টেমের এনটিটি (যেমনঃ কম্পিউটার) এর মধ্যে যোগাযোগ ঘটে। একটি এনটিটি (যেমনঃ কম্পিউটার) তথ্য পাঠাতে আর গ্রহণ করতে সক্ষম । এনটিটি (যেমনঃ কম্পিউটার) গুলো খুব সহজভাবে বিট সারিকে পাঠাতে পারে না, এবং বুঝতেও পারে না। যোগাযোগের জন্য এদের অবশ্যই প্রোটোকল মেনে চলতে হয়। একটি প্রোটোকল হল কতকগুলো নিয়ম, যা তথ্য যোগাযোগ বা তথ্য আদান-প্রদানকে পরিচালনা করে। একটি প্রোটোকল নির্ধারণ করে ঃ ১। কি আদান-প্রদান হবে? ২। কেমন করে আদান-প্রদান হবে? ৩। কখন আদান-প্রদান হবে? প্রোটোকলের মধ্যে তিনটি উপাদান রয়েছে, ১। syntax ২। semantics ৩। timing ১. Syntax: syntax বলতে তথ্যের আকার বা গঠন বোঝায়। অর্থাৎ সেই বিন্যাস বা সুবিন্যস্ততা বোঝায় যেভাবে তাদেরকে উপস্থাপন করা হয়। উদাহরণ স্বরুপ, একটি সাধারণ প্রোটোকল বলতে পারে যে, তথ্যের প্রথম ৮ বিট হবে প্রেরকের ঠিকানা, দ্বিতীয় ৮ বিট হবে প্রাপকের ঠিকানা, আর বাকি অংশ হবে তথ্যটি। ২। Semantics: Semantics বলতে বোঝায় বিটের প্রতিটি শাখাকে। কিভাবে একটা রীতি (বিট সারি) কে রুপায়িত করা হবে? এবং সেই রুপায়নের ভিত্তিতে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে ? তা semantics বলে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একটা ঠিকানা কি কোন তথ্যের গন্তব্যস্থলের পথ কি চিনতে পারবে? ৩. Timing: Timing বলতে ২টি বৈশিষ্ট্য বোঝায়, তথ্যটা কখন পাঠানো হলও ? কত দ্রুত পাঠানো হলও? উদাহরণস্বরূপ, প্রেরক যদি ১০০ Mbps এ তথ্য পাঠায় আর প্রাপক যদি ১ Mbps এ তথ্য পায়, তা হলে , তথ্য প্রেরণ ব্যহত হবে, এবং তথ্য নষ্ট বা হারিয়ে যাবে। ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ