রোগীর চিকিৎসাগত ইতিহাস ও তার সাথে শারীরিক পরীক্ষা থেকে এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্লাসিয়া নির্ণয় করা যায়। কিছু পরীক্ষার কথা নিচে উল্লেখ করা হল যেগুলো এটি নির্ণয় করতে তথা ক্যান্সারের সনাক্তকরণে সাহায্য করে: পেলভিক আল্ট্রাসাউন্ড – এন্ডোমেট্রিয়ামের ঘনত্ব দেখার জন্য এবং এটির কারণ নির্ণয়ের জন্য ট্রান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসাউন্ড – এন্ডোমেট্রিয়ামের পরিবর্তন আরো পরিষ্কার ভাবে দেখার জন্য হিস্টেরোস্কপি – এন্ডোস্কোপের সাহায্যে এন্ডোমেট্রিয়ামটি পর্যবেক্ষণ করা এন্ডোমেট্রিয়াল বায়োপসি – ছোট টিস্যু বা শরীরকলার নমুনা নিয়ে মাইক্রোস্কোপের নীচে মূল্যায়ন তথা ক্যান্সারের সনাক্তকরণ করা হয় ক্যান্সারের সনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত পেলভিক আল্ট্রাসাউন্ড প্রতি 2-3 বছরে করা হয়। এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্লাসিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি হল পর্যবেক্ষণ – এটি সবচেয়ে সাধারণ একটি প্রক্রিয়া যা ব্যবহার করা হয় কারন মেনোপজের পরে, ইস্ট্রোজেনের অনুপস্থিতিতে, হাইপারপ্লাসিয়া অকার্যকরী হয়ে যায় বা এটির উপসর্গগুলোও প্রশমিত হয়ে যায়। ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা – প্রোজেস্টেরন ট্যাবলেট দেওয়া হয় ওরাল থেরাপি হিসাবে সেইসব মহিলাদের যাদের উপসর্গ স্পষ্ট দেখা যায় বা যাদের মেনোপজের পরেও যোনি থেকে রক্তপাত হয়। অস্ত্রোপচারের দ্বারা চিকিৎসা – কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা হওয়া সত্বেও উপসর্গ রয়েই যায়, এন্ডোমেট্রিয়ামটি বার করে দেওয়া হয় এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাবলেশন পদ্ধতিতে, বা খুব গুরুতর ক্ষেত্রে, পুরো জরায়ুটিকে ডিম্বাশয় সহ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়