নেক্রোফিলিয়া একটি ভয়ানক মানসিক রোগ ৷ এই রোগে মানুষ বিবেক, মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে, পশুর ন্যায় আচরণ করে ৷ দুঃখিত! পশু বললেও ভুল হবে ৷ কারন পশুও এরকম কাজ করেনা ৷ ভাবছেন, সে আবার কী ? এটা এক ভয়ানক রোগ । এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহের সাথে সহবাসের এক চূড়ান্ত ও অদম্য ইচ্ছা তৈরি হয়। এ এমনই এক বিকার যে অসুস্থ ব্যক্তি মানুষ খুন পর্যন্ত করতে পারে। এবং খুন করার পর তার সাথে যৌন মিলন করে থাকে ৷ ভাবছেন এরকম কি কখনো হয় ? হ্যাঁ এটাই চরম সত্যি ৷ আসুন জেনে নেই ইতিহাসের সেরা কয়েকজন নেক্রোফিলিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সম্পর্কে ৷ ১) কামরুজ্জামান সরকার। পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে হয়ত সুখের সংসারই হত, কিন্তু বাদ সাধল তার রোগ, নেক্রোফিলিয়া। আর তাই করেছে কামরুজ্জামান, খুন করেছে ৮ জন মহিলাকে। খুন করেই শান্ত হয়নি সে, সহবাস করেছে মৃতদেহের সাথে। ফেরার আগে স্যুভেনির হিসেবে নিয়ে যেত মৃতদেহের গায়ের গয়না। তার ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে গাদা গুচ্ছের ইমিটেশন গয়না। মানে তার লোভ দামী দামী সোনাদানার প্রতি অতটাও ছিলনা। শুধু চিহ্ন হিসেবে মৃতার গায়ের গয়না রেখে দেওয়া তার নেশা ছিল। ২) ধনঞ্জয় বৈরাগী হেটাল পারেখকে খুন করে ধর্ষণ করেছিল সে। তার ফাঁসী এক সময় অনেক বিতর্ক তৈরি করেছিল এই রাজ্যে। সিনেমাও তো তৈরি হয়েছে তাকে নিয়ে। ৩) অ্যান্থনি মেরিনো। কাজ করত নিউ জার্সির এক হাসপাতালে। আর সেখানেই ধরা পড়ে মৃত রোগীদের সাথে যৌণ সংসর্গ করতে গিয়ে। সাত বছরের জেল হয় তার। ৪) ভিক্টর আর্ডিসন। ফ্রান্সের এক ছোট শহরে কবর খোঁড়ার কাজ করত। শতাধিক মৃতদেহের সাথে যৌণ মিলন করেছে সে। পুলিশ তার ঘরে একটি তিন বছরের বাচ্চা মেয়ের মৃতদেহ পায়, যার সাথে সে যৌনকর্ম করেছিল। এমনকি সে একটি মেয়ের মাথার খুলি সবসময় কাছকাছি রাখত আর এটিকে বলত আমার বউ। তার কথায় সে মৃতদেহের সাথে গল্প করার চেষ্টাও করত। কিন্তু যখন মৃতদেহগুলি তার কথার উত্তর দিত না, তখন সে দুঃখ পেত ও হতাশ হয়ে পড়ত। তাকে সারা জীবনের জন্য এক মানসিক রোগীদের হাসপাতালে পাঠান হয়। ৫) টেড বান্ডি। বোধয় পৃথিবীর সবচে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। তার নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুন করেছে ৩০ জনকে। আসল সংখ্যা আসলে আরও অনেক বেশি। এদের অনেকের সাথেই খুন করে যৌনকর্ম করেছে সে। তার প্রথম শিকার লিনেট কালভার নামের বছর বারোর একটি মেয়ে যাকে সে জলে ডুবিয়ে মেরে তারপর মৃতদেহের সাথে করে যৌনমিলন। ১৯৮৯ সালে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। ৬) জেফ্রি দামার। খুন করেছে ১৭ জন অল্পবয়সী ছেলেকে এবং এদের অনেকের সাথেই মৃত্যুর পর সহবাস করেছে। এদের কারোর কারোর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পরে কেটে নিজের কাছে ফর্মালিনে ভিজিয়ে রেখে দিত। প্রতিটি খুনের জন্য আলাদা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। পরে জেলের স্নানঘরে সহ-অপরাধীদের হাতে তার মৃত্যু হয়। ৭) ডেনিস অ্যান্ড্রু নিলসেন। খুন করেছে ১২ জন অল্পবয়সী যুবককে। খুন করে তাদের সাথে সেই বাকিদের মত যৌণ ক্রিয়াকলাপ করত। পরে তার যাবজ্জীবন জেল হয়। সে মারা যায় ২০১৮ সালে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ