“এমন এক সময় ছিল যখন পত্রপত্রিকায় লেখা হত যে বিশ্বে মাত্র এক ডজন লোক আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি বুঝতে পেরেছেন। আমার মনে হয় না এ রকম কোনো সময় আদৌ ছিল। হয়ত এমন এক সময় ছিল যখন মাত্র একজন ব্যক্তি তত্ত্বটি বুঝতেন, কারণ তিনিই প্রথম ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিলেন, তার পরে তিনি এ নিয়ে গবেষণাপত্রটি লেখেন। কিন্তু ঐ গবেষণাপত্র পাঠের পর অনেক লোকই কোনো না কোনো ভাবে আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি অনুধাবন করতে পেরেছিল, যাদের সংখ্যা অবশ্যই এক ডজনের বেশি। অন্যদিকে আমার মনে হয় আমি খুব নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান কোনো ব্যক্তিই

  কোয়ান্টাম মেকানিক্স কী? বিস্তারিত ধারণা দিতে পারবেন কি? “এমন এক সময় ছিল যখন পত্রপত্রিকায় লেখা হত যে বিশ্বে মাত্র এক ডজন লোক আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি বুঝতে পেরেছেন। আমার মনে হয় না এ রকম কোনো সময় আদৌ ছিল। হয়ত এমন এক সময় ছিল যখন মাত্র একজন ব্যক্তি তত্ত্বটি বুঝতেন, কারণ তিনিই প্রথম ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিলেন, তার পরে তিনি এ নিয়ে গবেষণাপত্রটি লেখেন। কিন্তু ঐ গবেষণাপত্র পাঠের পর অনেক লোকই কোনো না কোনো ভাবে আপেক্ষিকতার তত্ত্বটি অনুধাবন করতে পেরেছিল, যাদের সংখ্যা অবশ্যই এক ডজনের বেশি। অন্যদিকে আমার মনে হয় আমি খুব নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান কোনো ব্যক্তিই বুঝতে পারে না।” , ভৌত বিধির প্রকৃতি (The Character of Physical Law), ১৯৬৫, পৃষ্ঠা ১২৯। কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান (কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান নামেও পরিচিত) (Quantum mechanics) আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা যা পরমাণু এবং অতিপারমাণবিক কণার/তরঙ্গের মাপনীতে পদার্থের আচরণ বর্ণনা করে। কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানকে ব্যবহার করে বিশাল কোনো বস্তু যেমন তারা ও ছায়াপথ এবং ঘটনা যেমন মহাবিস্ফোরণ বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করা যায়। পদার্থবিজ্ঞানের যেসব ক্ষেত্রে চিরায়ত নিউটনীয় বলবিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না, সেসব ক্ষেত্রে পদার্থগুলির ভৌত আচরণ সম্পর্কে ধারণা পাবার জন্য পদার্থবিজ্ঞানীরা কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান ব্যবহার করে থাকেন। পারমাণবিক অথবা তার চেয়েও ছোট মাপের কোনো ভৌত ব্যবস্থায়, খুব নিম্ন অথবা খুব উচ্চ শক্তিতে, অথবা অতিশীতল তাপমাত্রায় চিরায়ত এবং কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের বিশ্লেষণের মধ্যে প্রায়শই পার্থক্য দেখা যায়। কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান রসায়ন, আণবিক জীববিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স, কণা পদার্থবিজ্ঞান, ন্যানোপ্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিবিদ্যার আধুনিক উন্নয়নের ভিত্তি, এবং বিজ্ঞানের এই শাখাগুলো বিগত পঞ্চাশ বছরে পৃথিবীকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে রূপান্তরিত করেছে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে