জাদুঘর বা সংগ্রহশালা বলতে বোঝায় এমন একটি ভবন যেখানে পুরাতন ঐতিহাসিক বিলুপ্ত প্রায় নিদর্শনসমূহ সংগ্রহ করে সংরক্ষিত রাখা হয়।
জাদুঘরে প্রাচীন কালিন মুদ্রা লিপি, নানা শিল্পকর্ম চিত্রকর্ম (ভাস্কর্য, স্থাপত্য, চিত্রকলা), দুষ্প্রাপ্য পুরাতন বস্তুসমূহ এবং নানা মডেল ও চার্ট সংরক্ষিত রাখা হয়।
জাদুঘরের নিদর্শন দেখে নতুন প্রজন্ম অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
যার পেক্ষিতেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে।
জাদুঘর নিজেই পুরাতন সংগ্রহশালা। যেমনঃ আহসান মঞ্জিল, লালবাগকেল্লা, বালি আটি জমিদার বাড়ী।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাদুঘরগুলির সাধারণ উদ্দেশ্য বা কার্যাবলির মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। জাদুঘরের এরকমই কয়েকটি সাধারণ উদ্দেশ্য হল一 [1] প্রত্ননিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণ: জাদুঘরের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন যুগের নানা নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। জাদুঘরে প্রাচীন মুদ্রা, লিপি, নানা শিল্পকর্ম (ভাস্কর্য, স্থাপত্য, চিত্রকলা), দুষ্প্রাপ্য পুরাবস্তুসমূহ এবং নানা মডেল ও চার্ট সংরক্ষিত রাখা হয়। [2] প্রতিকৃতি নির্মাণ: জাদুঘরগুলি বিভিন্ন প্রাচীন, আধুনিক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শনের বা ক্রিয়াকলাপের বা বস্তুসমূহের বা ব্যক্তিসমূহের মডেল (Replica) নির্মাণ করে। এই মডেলগুলি দর্শকদের দেখানাের লক্ষ্যে সাজিয়ে রাখা হয়। [3] অতীত সমাজ-সভ্যতার ধারণা দান: জাদুঘরে যে সমস্ত জিনিস সাজিয়ে রাখা হয় সেগুলি থেকে আমরা অতীত সমাজসভ্যতা সম্পর্কে এক সাধারণ ধারণা পেয়ে থাকি। বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মানবসমাজ ও সভ্যতার যে অগ্রগতি ঘটেছে তার বিভিন্ন নিদর্শন ও স্মৃতিচিহ্নের আভাস মেলে জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রত্নিদর্শনগুলি থেকে। [4] স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের সংগ্রহশালা নির্মাণ: বিশ্বের বেশ কয়েকটি জাদুঘরকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে বিশ্বের জনপ্রিয় ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের মূর্তির সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তােলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মাদাম তুসাের জাদুঘরটির কথা উল্লেখ করা যায়। এই জাদুঘরটিতে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত রাজকীয় ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াতারকা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এমনকি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাদের মােমের মূর্তি সংরক্ষিত রয়েছে। [5] জনসচেনতা ও জ্ঞানের প্রসার: জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রত্ননিদর্শনগুলি দর্শকের মনে এক সচেতনতা জাগায়। এগুলি আবার গবেষণার কাজেও ব্যবহৃত হয়। প্রত্নিদর্শনগুলি দর্শনের ফলে দর্শকের জ্ঞানেরও প্রসার ঘটে। [6] অতীত ইতিহাসের পুনরাবির্ভাবের সাহায্য: জাদুঘরে যে সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শন বা উপাদান সংগ্রহ করা হয় সেগুলি অতীত ইতিহাসের পুনরাবির্ভাবে সাহায্য করে বলা চলে। বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা নানা প্রত্নিদর্শনগুলি আমাদের পাঠ্যকাহিনি বা ইতিহাসকে প্রাণবন্ত বা সজীব করে তােলে। অর্থাৎ বলা যায় জাদুঘর অতীত ইতিহাসের পুনরাবির্ভাবে সাহায্য করে থাকে।
[1] প্রত্ননিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণ: জাদুঘরের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন যুগের নানা নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। জাদুঘরে প্রাচীন মুদ্রা, লিপি, নানা শিল্পকর্ম (ভাস্কর্য, স্থাপত্য, চিত্রকলা), দুষ্প্রাপ্য পুরাবস্তুসমূহ এবং নানা মডেল ও চার্ট সংরক্ষিত রাখা হয়।
[2] প্রতিকৃতি নির্মাণ: জাদুঘরগুলি বিভিন্ন প্রাচীন, আধুনিক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শনের বা ক্রিয়াকলাপের বা বস্তুসমূহের বা ব্যক্তিসমূহের মডেল (Replica) নির্মাণ করে। এই মডেলগুলি দর্শকদের দেখানাের লক্ষ্যে সাজিয়ে রাখা হয়।
[3] অতীত সমাজ-সভ্যতার ধারণা দান: জাদুঘরে যে সমস্ত জিনিস সাজিয়ে রাখা হয় সেগুলি থেকে আমরা অতীত সমাজসভ্যতা সম্পর্কে এক সাধারণ ধারণা পেয়ে থাকি। বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে মানবসমাজ ও সভ্যতার যে অগ্রগতি ঘটেছে তার বিভিন্ন নিদর্শন ও স্মৃতিচিহ্নের আভাস মেলে জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রত্নিদর্শনগুলি থেকে।
[4] স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের সংগ্রহশালা নির্মাণ: বিশ্বের বেশ কয়েকটি জাদুঘরকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে বিশ্বের জনপ্রিয় ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের মূর্তির সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তােলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মাদাম তুসাের জাদুঘরটির কথা উল্লেখ করা যায়। এই জাদুঘরটিতে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত রাজকীয় ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াতারকা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এমনকি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাদের মােমের মূর্তি সংরক্ষিত রয়েছে।
[5] জনসচেনতা ও জ্ঞানের প্রসার: জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রত্ননিদর্শনগুলি দর্শকের মনে এক সচেতনতা জাগায়। এগুলি আবার গবেষণার কাজেও ব্যবহৃত হয়। প্রত্নিদর্শনগুলি দর্শনের ফলে দর্শকের জ্ঞানেরও প্রসার ঘটে।
[6] অতীত ইতিহাসের পুনরাবির্ভাবের সাহায্য: জাদুঘরে যে সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শন বা উপাদান সংগ্রহ করা হয় সেগুলি অতীত ইতিহাসের পুনরাবির্ভাবে সাহায্য করে বলা চলে। বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা নানা প্রত্নিদর্শনগুলি আমাদের পাঠ্যকাহিনি বা ইতিহাসকে প্রাণবন্ত বা সজীব করে তােলে। অর্থাৎ বলা যায় জাদুঘর অতীত ইতিহাসের পুনরাবির্ভাবে সাহায্য করে থাকে।