Bis soy এর উপহার সম্পর্কে বলার আগে বিস্ময় সম্পর্কে একটু বলে নেই। ,
Bis soy শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ৮ মার্চ। তার আগে আমি বাংলায় কোন এক প্রশ্ন সার্চ করেছিলাম কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর ইন্টারনেট থেকে পাইনি। তখন আমি চিন্তা করলাম এমন একটা সাইট বানানো যেতে পারে যেখান থেকে মানুষ বাংলায় প্রশ্ন করতে পারবে আবার উত্তরও দিতে পারে। আমি খুজে দেখলাম সেই সময় বাংলা ভাষায় কোন প্রশ্ন উত্তরের সাইট নেই(যদিও বিস্ময় এর আগেই দুটো বাংলা সাইট ছিল কিন্তু তখন আমার চোখে পড়েনি )। কিন্তু কোন এক কারনে তারা তাদের পরিধি বৃদ্ধি করে টিকে থাকতে পারে নি। ,
মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে Bis soy এর ব্যবহারকারীরা Bis soy কে বেছে নিয়েছেন এবং অনেক জ্ঞানী পরোপকারী ব্যক্তি তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষকে সাহায্য করেছেন যার জন্য Bis soy আজ আজকের অবস্থানে। Bis soy ফ্রি সিএমএস বা সফটওয়্যার দিয়ে চালিত হয়েছিল। এজন্য আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। Bis soy , এর ব্যবহারকারীরা যেমন যেমন সুবিধা আশা করে সেভাবে সেবা দেয়ার জন্য আমরা নিজেরাই নিজেদের সফটওয়্যার তৈরি করার প্রয়োজন অনুধাবন করি এবং তৈরি করা শুরু করে দিয়েছি যাতে সব রকমের সুবিধা দিতে পারে। ,
কি কি সুবিধা দেয়া যায় এ বিষয়গুলো সবসময় আমার মাথায় ঘুর ঘুর করে। এবং একদিন মনে হল যে প্রশ্নকর্তারা তো প্রশ্ন করেই যাচ্ছে আবার পরোপকারীরা যারা নিজেদের জ্ঞান ভাগাভাগি করেই যাচ্ছে। কিন্তু এমন কিছু প্রশ্নকর্তাও তো থাকতে পারে যারা তাদের প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বা সমস্যার সমাধান নিয়ে সেই পরোপকারী মানুষদের কিছু উপহার দিবে। এমন চিন্তা ভাবনা থেকে গিফট সিস্টেম তৈরি করা হয়। আপনারা যারা বিস্ময়ের পুরাতন তারা অবশ্যই শাকিল আহমেদ আরিয়ানকে চিনে থাকবেন। Bis soy এর প্রশ্ন উত্তর সিস্টেম সহ অফার সিস্টেম এর সম্পূর্ণ সিস্টেমটাই উনি নিজ হাতে তৈরি করেছে। , ,
যখন একজন সমস্যায় পরে তখনই কিন্তু বিস্ময় এ প্রশ্ন করে। আপনি যদি তার সমস্যার সমাধান দিতে পারেন বা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন তাহলে তিনি খুশি হয়ে আপনাকে উপহার দিতে পারে।
আসলে আমাদের এই সিস্টেমটি একেবারেই নতুন। বিস্ময় এর গুটি কয়েক ব্যবহারকারী ছাড়া এই সিস্টেম এর সাথে কেউ পরিচিত নয়। তাই কেউ যদি না জানে তাহলে উপহার দিবে কিভাবে? এজন্য বিস্ময় এর ব্যবহারকারীরাই যখন বেশী বেশী প্রচার করবে তখন উপহারের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তারপরেও জাতি হিসেবে আমরা একটু কৃপণ বটে। আমরা সব সময় ফ্রি পেতে পছন্দ করি। উপহার নিতে পছন্দ করি, দিতে নয়। তারপরেও কথা থেকে যায় যেমন Bis soy এ একসময় শুধু প্রশ্নই আসতো। কেউ উত্তর দিতে চাইত না। কিন্তু তার মধ্য থেকেও অনেক পরোপকারী ব্যক্তি বের হয়েছে। যারা উপকার করতে পছন্দ করে ও জ্ঞান ভাগাভাগি করতে পছন্দ করে। আমরা আশা করতেছি এ রকম সদস্যও চলে আসবে যারা উত্তর নিয়ে উপহার দিতে কৃপণতা করবে না। এটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। ,
মনে করুন আমি একটি ব্লগ লিখেছি অথবা এই প্রশ্নটির উত্তর দিচ্ছি। এই প্রশ্নটি দশ লাখ মানুষ দেখল। এখন আমি যে Bis soy এর মত একটা প্লাটফর্ম বানিয়েছি বা এই উপহার সিস্টেম টা আপনাদের দিয়েছি, আমার এই কাজে খুশি হয়ে এই দশ লাখ মানুষের মধ্য থেকে দশ হাজার জন মানুষ আমাকে একটি করে চকলেট উপহার দিলেন। ১০০০ জন মানুষ আমাকে একটি করে কফি খাওয়ালেন বা উপহার দিলেন। বাকি গুলো নাই বললাম। এখন আপনারা একটু গুনে দেখুন আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য বা ব্লগ লেখার জন্য আমি কত্তগুলো উপহার পেলাম। এজন্যই বিস্ময় এর এই উপহার সিস্টেম এর প্রচারনা আপনাদেরই বেশি করতে হবে। বিস্ময় তো আপনাদের প্লাটফর্ম বানিয়ে দিয়েছে। আপনারা ব্যবহার করুন ও উপহার জিতে নিন। ,
বিস্ময় এ বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হবার কারণে এর থেকে খুব বেশি আয় হয়না। যা হয় তা সার্ভার বিল আর ডেভেলপমেন্ট বিল দিতেই ফুরিয়ে যায়। তাই আমার অন্যান্য ব্যবসা থেকে কিছুটা Bis soy এ দিয়ে দেই। তারপরেও আবার করোনাভাইরাসের জন্য ব্যবসার অবস্থা ভালো না।তবে কথা দিচ্ছি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি লাভ করে পৃথিবী যখন স্বাভাবিক হয়ে যাবে তখন আমি বেশি বেশি করে উপহার দিব। , আর উপহার তো Bis soy এর পক্ষ থেকে আমি একাই দিব না। Bis soy তো আপনাদের প্লাটফর্ম বানিয়ে দিয়েছে। আপনারা ব্যবহার করুন, উত্তর দিন মানসম্মত ব্লগ লিখুন প্রচার করুন এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের থেকে উপহার নিন। ,
হ্যাঁ। অবশ্যই। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে আপনারা মানসম্মত উত্তর দিন ও ব্লগ লিখুন। এটা সারাজীবন মানুষ দেখবে এবং কিছু কিছু উপহার পেতে থাকবেন। তাছাড়া প্রশ্ন/উত্তর বেশি বেশী ভিউ হবার পর, যেমন কোন প্রশ্ন/উত্তর দশ হাজার বার দেখা হল তখন বিস্ময় এর পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হবে। এভাবে দেখার পরিমাণ যত বাড়তে থাকবে তত উপহার প্রদান করতে থাকবে। অর্থঃ াৎ লিখুন একবার উপহার পান আজীবন। , ,
আপনাদের মূল্যবান মতামত মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। , ,