সি. পি. এ. (CPA) মার্কেটিং হল এমন এক ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যার মাধ্যমে আপনি কোন পণ্য বিক্রি এর পাশাপাশি ছোট কিছু কাজ যেমন ইমেইল সাবমিট, জিপ কোড সাবমিট, ডাউনলোড ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এজন্যই একে বলা হয়ে থাকে কস্ট পার অ্যাকশন তার মানে যে কোন অ্যাকশন ফুলফিল হলেই আপনি কমিশন পাবেন।
কোন ধরনের ব্যক্তি সিপিএ মার্কেটিং শিখতেপারবেন?
১। ইন্টারনেট সম্পর্কে যার নুন্যতম জ্ঞান রয়েছে
২। যিনি অনলাইন থেকে আয় করতে ইচ্ছুক
৩। যিনি কম্পিউটার এ ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় দিতে পারবেন
অ্যাফিলিয়েট অথবা সিপিএ (CPA) মার্কেটিং শেখার জন্য ১ বছর অথবা ৬ মাস এর কোন ডিগ্রী ভিত্তিক কোর্স এর দরকার নেই। ভালো কোন আইটি ফার্ম থেকে ২ বা ৩ মাসের কোর্স এ যথেস্ট
সিপিএর পুরোটা হচ্ছে ‘কস্ট পার অ্যাকশন’। এখানে প্রতিটি নির্দিষ্ট অ্যাকশন বা কাজ সম্পন্ন করলে তার বিনিময়ে কমিশন পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট ফরম পূরণ, ই–মেইল সাইনআপ, অ্যাপ ইনস্টল করাসহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে একেকটি সিপিএ মার্কেটিংয়ের কাজ। কাজের ধরনভেদে কমিশনের পরিমাণ কম–বেশি হয়।আরো সহজ ভাবে বলি – ধরুন আমার একটি রেস্টুরেন্ট আছে । আমি কিছু লোক খুঁজছি যারা আমার রেস্টুরেন্ট এর মার্কেটিং করবে। তাদের সাথে আমার কন্ট্রাক্ট আপনার মাধ্যমে যদি আমার দোকানে কেউ আসে অথবা প্রোডাক্ট কিনে থাকে তাহলে আপনাকে প্রতি কাস্টমার বা বিক্রি থেকে একটা কমিশন দেবো। যখন আপনি একজন কাস্টমার আমার রেস্টুরেন্টে নিয়ে আসলেন এই কাস্টমার নিয়ে আসাই হচ্ছে একটা একশন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।এই সব কিছুকে খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে যেটা দাঁড়ায় সেটা হল বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি তাদের সাইটে এই লিড গুলো নিয়ে দিলে আপনাকে কমিশন বা এক কথায় টাকা দেবে। এখানে সব থেকে সুবিধা টা হল টাকা পাবার জন্য তাদের কোন কিছু বিক্রির দরকার নেই, আপনি শুধু ট্রাফিক বাড়িয়ে দিতে পারলেই হবে। ওদিকে কোম্পানিরও কিন্তু লাভ আছে কারন তাদের নিজস্ব কিছু লিড মনেটাইজ করার কৌশল আছে যার মাধ্যমে যখন কেউ পেইড মেম্বার / সদস্য হয় অথবা কোন লিডের উন্নতি হয় তখন তারা ১০০% কমিশন নিয়ে নেয়।