ধরুন আপনি 20 মিনিট হস্তমৈথুন করবেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাসা থেকে ডাকাডাকি হবে , না হলেও আপনার অবচেতন মন ই আপনাকে তাড়া দেবে, কিভাবে দ্রুত বীর্যপাত করানো যায়!!! কারন মৈথুন এর মুল উদ্দেশ্য হলো কিভাবে দ্রুত বীর্যপাত করানো যায়। এজন্য যা হয় তা হল , অবচেতন ভাবেই দ্রুত বীর্যপাত ঘটানো শিখে যাওয়া!! করতে করতে দ্রুত কিভাবে বীর্যপাত করা যায় সেটা শিখে ফেলা, পরে সেক্স করার সময় মনের অজান্তেই হয়তো পেনিসের তার সেই স্পেশাল জায়গা অথবা তার সে বিশেষ স্টাইল সে ধরে ফেলে ফলে তাড়াতাড়ি বীর্য বের হয়ে যায়। আর স্ত্রীর কাছে আপনার কোন টেনশন নেই। সবি আপনার, তাই নয় কি? √√উল্লেখ্য যে যৌন মিলন আর হাতের তালু অনেক পার্থক্য, হাত দিয়ে করবেন আপনার সাময়িক চাহিদা মিটিয়ে গেল কিন্তু ভালবাসা পেয়েছেন কি? মন ভালবাসা আল্লাহর নিয়ামত, ভালবাসা প্রাকৃতিক, আর হস্তমৈথুন, কৃত্রিম!!! কৃত্রিম কোন কিছুই কি?? দুটি মনের মিলে তৈরি হয় ভালবাসা। সেই ভালবাসা, সেই মানসিকতা পৃথিবী কোন বিজ্ঞানও তৈরী করতে পারবেনা!!! ভালবাসা পেলে মানুষের কঠিন সমস্যাও সমাধান হয়ে যায়, তাই নয় কি??? যেখানে ভালবাসা নাই, আছে শুধু কৃত্রিম সেটা কিভাবে, ভালবাসার সাথে তুলনা হয়???
======Yakub ali ভাইয়ের উত্তর থেকে
কপি করে নেওয়া।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য। (আপনাকে বুঝিয়ে বলার জন্য উত্তরটি বড় হয়েছে তাই প্লিজ সম্পূর্ন টাই পড়বেন।) আপনি বললেন যে স্ত্রী সহবাস করলে কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু হস্তমৈথুন করলে শরীরের ক্ষতি হয় কেন?প্রথমত বলি যে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।আপনি যাই বলেন না কেনো অতিরিক্ত সব কিছুই ক্ষতি বয়ে আনে। যাইহোক প্রথমে হস্তমৈথুন এর কথাই বলি, হ্যা হস্তমৈথুন করলে শরীরে ক্ষতি হয় শুধু শরীরের না মানুসিক ভাবেও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেনো না হস্তমৈথুন মানেই যৌনতার(সেক্সুয়াল) উপর চাপ সৃষ্টি করে যৌন তৃপ্তি নেওয়া যা এক পর্যায়ে অতিরিক্ত হারে হস্তমৈথুন করে ফেলে। অনেকেই হস্তমৈথুন বাল্যকাল থেকে করে এবং যে হারে বীর্য ক্ষয় হয় সেই হারে পূরন হওয়ার আগেই হস্তমৈথুন করা হয় ফলে এখানে ক্ষতির আশঙ্কা বেশিই থেকে যায়। তাছাড়া বেশিরভাগ পুরুষ হস্তমৈথুন করে অবিবাহিতা থাকাকালীন, আর অবিবাহিতা থাকাকালীন যৌনতা,পর্নোগ্রাফি দিকে বেশিই ধাবিত হয় ফলে প্রতিনিয়ত সেক্সুয়াল নিয়ে চিন্তাভাবনা করায় মনের চাহিদা মিটানোর তাগিতেই হস্তমৈথুন করে, যা সপ্তাহে তিন চার দিন বা পাঁচ/ ছয় দিন করে থাকে আবার কেউ দিনে দুই তিন বার করে থাকে, যা লিঙ্গের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় এতে লিঙ্গের ক্ষতির আশঙ্কা বেশিই হয় কেনো না পুরুষাঙ্গটি 'স্পঞ্জের মত' এক প্রকার নরম সংকোচনশীল ও সম্প্রসারণশীল পেশিতন্তু বা উত্থানশীল তন্ত বা ইরেক্টাল টিস্যু দিয়ে গঠিত। এর মধ্যে অসংখ্য রক্তবাহী নালী ও নার্ভের শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেক্ষেত্রে হাত দিয়ে চাপ দিতে বা কোন কিছুতে ঘর্ষণ করে বীর্যপাত করা মারাত্মক ক্ষতিকর বয়ে আনে এছাড়াও দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা,লিঙ্গ আঁকাবাঁকা, লিঙ্গের আগা /গোড়া মোটা চিকন হওয়া সহ নানান সমস্যা হয়ে থাকে তাই হস্তমৈথুন ও পর্নোগ্রাফি দুইটাই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 


এখন আপনাকে সহবাস সম্পর্কে কিছু বিষয় বলবো, আসলে সহবাস করলেও শারীরিক ও মানুসিক ভাবে ক্ষতি হয় তবে এটি দুই ধরনে হয়ে থাকে যা নিচে বলছি পড়ুন। সহবাসেও পুরুষের ক্ষতি হয়ে থাকে যদি সে বিবাহের আগে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও পর্নোগ্রাফি তে আসক্তি থাকে এবং সে যৌন/সেক্সুয়াল চাহিদা দুর্বলতা থাকাকালীন সে স্ত্রী সহবাসের চেষ্টা করে ও সহবাসে সময় না পেয়েও অতিরিক্ত সহবাস করার চেষ্টা করে ও প্রতি বারই বীর্যপাত ঘটায় কম সময়ে সেক্ষেত্রেও সে মানুসিক ভাবে দুশ্চিন্তা হতাশ ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদি কোন ব্যক্তি বিয়ের আগে হস্তমৈথুন করে নি বা করলেও খুবেই কম বা সে পর্নোগ্রাফি দেখেন না অর্থাৎ সে যৌন জীবন সুস্থ্য থাকাকালীন সে বিবাহ করে এবং স্ত্রী সহবাসে তৃপ্তি উপভোগ করায় সে যদি ঘন ঘন সহবাস করে তাহলে সে শারীরিকভাবে দুর্বলতা সহ দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যা হতে পারে এছাড়াও শারীরিক কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর। 


উপরে পর্নোগ্রাফি, হস্তমৈথুন ও দুইটি সহবাসের কিছু আংশিক ক্ষতি নিয়ে বললাম। যাইহোক আপনার পরের প্রশ্নটির উত্তর দেখুন যে সহবাসে কোন ক্ষতি হয় না কেনো? আসলে পর্নোগ্রাফি দেখে হস্তমৈথুন করায় যেমন ক্ষতি হয় তার চেয়ে সহবাসে তেমন ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।তবে সহবাসে একে বারই যে ক্ষতি হয় না তা কিন্তু নয় আশা করি উপরের আলোচনায় বুঝেছেন। একজন পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুন না করা সুস্থ্য স্বাস্থ্য এবং সুস্থ্য যৌনিতার ব্যক্তি বিবাহিত জীবনে যদি সে শুধু স্ত্রীই সহবাসেই করে তাহলে হস্তমৈথুন এ হওয়ার মত ক্ষতি গুলো তার হবে না, যদি সে সপ্তাহে দুই/তিন দিনের বেশি সহবাস না করে এবং পর্যাক্রমে সে যদি সহবাসের পরিমান কমিয়ে সপ্তাহে দুই/এক দিন করে তাহলে সে ইনশাআল্লাহ সব দিক থেকেই সুস্থ্য থাকবে কেনো না এতে ওনার লিঙ্গে কোন চাপ দেওয়া হচ্ছে না যা স্ত্রী নরম যৌনাঙ্গে লিঙ্গ প্রবেশে লিঙ্গের কোন ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে না। তাছাড়া স্ত্রী সহবাসে দৈহিক ও মানুসিক দুই চাহিদাই উপভোগ করতে পারে একে অপরের সাথে আদর ও প্রেম ভালোবাসার মাধ্যমে। অতএব পরিশেষে বলা যায় যে পর্নোগ্রাফি দেখা, হস্তমৈথুন করায় যে হারে ক্ষতি হয় সেই হারে সহবাসে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।আশা করি বুঝতে পারছেন।বিস্ময়ের সাথেই থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ