#চিকিৎসাঃ
======
১) ১.৫% পারমেথ্রিন যা বাজারে স্কেবেক্স, স্কেরিন, পারমিন ক্রিম ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। যাহা গলা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীরে ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে- রাতে এবং সাত দিন পর আরো একবার একই নিয়মে রাতে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। পরদিন গোসল করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ওষুধ যেন শরীরে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা থাকে।
২) ২৫% বেনজাইল বেনজয়েট লোশন যা বাজারে এসকাবিউল লোশন নামে পাওয়া যায়। এই ওষুধ গলা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে ব্যবহার করতে হবে- প্রতিদিন একবার পরপর তিন দিন। এই তিন দিন গোসল না করলে ভালো হয়। যদি গোসল করতে হয় তবে গোসলের পর ওষুধ মাখতে হবে।
৩) চুলকানি মারাত্বক অবস্থায় হলেঃ
-----------------------------
ক) চুলকানি কমানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ দিতে হবে।
খ) এন্টিবায়োটিক (ফ্লুক্লোক্সাসিলিন বা সেফ্রাডিন) জাতীয় ঔষধ দিতে হবে।
গ) pramoxine lotion বা hydrocortisone cream দেয়া যেতে পারে।
ঘ) IVERMECTIN ১ ডোজ প্রয়োজনে ২-৩ ডোজ দেয়া যেতে পারে চূড়ান্ত মারাত্বক অবস্থায় বিশেষ করে শিশু ও এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে।
#প্রাকৃতিক_চিকিৎসাঃ
--------------------
* আর নিমপাতা সেদ্ধ করে ঐ আধা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন কমপক্ষে 1-2 সপ্তাহ।
* নিম পাতা ও ফুল বেটে গায়ে লাগাতে হবে।
* নিমের ক্যাপস্যুল (বাজারে পাওয়া যায়) বা টেবলেট খেতে হবে ৩বেলা।
* রসূন সরিষার তেলের সাথে ভেজে খেতে হবে ও রসূন বাটা সরিষার তেলে গরম করে তা' আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।
* কালোজিরার তেল শরীরে মাখতে পারেন, কালোজিরার ভর্তা বা তেল খাওয়া যেতে পারে।
নোটঃ ওষুধ ব্যবহারের পূর্ব থেকে শুরু করে ব্যবহার শেষেও কিছু দিন রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র (বিছানার চাদর, বালিশের কভার) ও অন্যান্য ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় গরম পানিতে ফুটিয়ে পরজীবীমুক্ত করতে হবে। চুলকানি চিকিৎসা না করলে কিডনির জটিল অসুখ হতে পারে। তাই চুলকানি রোগ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা একান্ত জরুরী।