তাছাড়া,বর্তমানে সম্পূর্ন ইসলামের বিধান মত চলা যায়না,একটা না একটা ভুল হয়ে যায়


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

তোওবা করার জন্য জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে, তাহলেই আল্লাহ তাআ’লা সেই

তোওবা কবুল করবেন।

১. পাপ কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এখন শুধু

মুখে মুখে তোওবা করি, কয়েকদিন পর থেকে পাপ কাজটা ছেড়ে দেবো – এ রকম হলে তোওবা হবে না।

২. অতীতের সমস্ত পাপ কাজ ও ভুল ত্রুটি আল্লাহর কাছে স্বীকার করে তাঁর কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।

৩. অন্তরে ঐকাজগুলোর প্রতি ঘৃণা রেখে সেইগুলোতে আর ফিরে না যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

৪. লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে সমস্ত গুনাহ খাতার জন্য “ইস্তিগফার” করতে হবে (মাফ চাইতে হবে) + “তোওবা” করতে হবে (গুনাহ করা বন্ধ করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে)।

৫. কারো হক্ক নষ্ট করে থাকলে তাকে তার হক্ক

ফিরিয়ে দিতে হবে, অথবা যেইভাবেই হোক, সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে, ক্ষমা চেয়ে তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, তোওবা করলে আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন, এমনকি কারো পাপ আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন। কিন্তু বান্দার কোনো হক্ক নষ্ট করলে সেটা বান্দা মাফ না করলে তিনি মাফ করবেন না।

৬. অন্তরে আশা রাখতে হবে, যে আমি গুনাহগার

কিন্তু আল্লাহ গাফুরুর রাহীম – অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং তিনি আমার তোওবা কবুল করবেন।

৭. তোওবা করার পরে প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে পাপ কাজ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে, এবং সাধ্য

অনুযায়ী বেশি বেশি করে নেকীর কাজ করার

চেষ্টা করতে হবে।

৮. যে পাপ কাজ থেকে তোওবা করা হলো (সমস্ত

পাপ কাজ থেকেই তোওবা করা ফরয), কোনো ভুলে বা কুপ্রবৃত্তির কারণে পাপ কাজটা করে ফেললে সাথে সাথে আবার তোওবা করে সেটা থেকে ফিরে হবে। এইভাবে যখনই কোনো পাপ

হবে সাথে সাথেই তোওবা করতে হবে, মৃত্যু পর্যন্ত।

৯. কারো তোওবা কবুল হয়েছে কিনা এটা কিভাবে বুঝবেন ?

অনেক আলেম এ সম্পর্কে বলেনঃ কারো যদি তোওবা করার পরের জীবন আগের জীবন

থেকে ভালো হয় অর্থাত পাপের কাজ অনেক কমে যায় ও ভালো কাজ বৃদ্ধি পায় তাহলে আশা করা যেতে পারে – তার তোওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে। কিন্তু কারো যদি এমন না হয় অর্থাত, তোওবার আগের ও পরের জীবনে কোনো পার্থক্য না থাকে তাহলে বুঝতে হবে তার তোওবাতে ত্রুটি আছে। তার উচিত হতাশ

না হয়ে – বার বার আন্তরিকতার সাথে খালেস

নিয়তে তোওবা করা, আল্লাহর কাছে সাহায্য

চাওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আন্তরিক

তোওবা করার তোওফিক দান করুন।

কি দুয়া পড়ে তোওবা করতে হবে?

আমাদের দেশের মানুষকে তোওবার দোয়া নামে যে দোয়া শেখানো হয় তা হলোঃ

“আস্তাগফিরুল্লা হা রাব্বি মিন কুল্লি যামবিও

ওয়া আতুবু ইলাইহি, লা হা’উলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলায়্যিল আযীম”।

এটা একটা দোয়া, কিন্তু সমস্যা হলো কোরান-

হাদীসের কোথাও এই দোয়া খুঁজে পাওয়া যায়না! তার মানে এই দোয়া হলো হুজুরের

বানানো দোয়া, ম্যান মেইড!!

অনেকে যুক্তি দেখাতে পারেন, দোয়াতো দোয়াই,

আল্লাহর কাছে একভাবে চাইলেই হবে। তাদেরকে বলবোঃ

১. নবী (সাঃ) আমাদেরকে যেই দোয়া শিখিয়ে গেছেন, তা না শিখিয়ে হুজুরের বানানো দোওয়া কেনো শেখানো হবে? হুজুর কি নবীর থেকে ভালো দোয়া বানাতে পারে (নাউযুবিল্লাহ)।

২. হুজুরের দোয়া পড়লে কতটুকু নেকী পাওয়া যাবে? কোনো গ্যারান্টি আছে হুজুরের বানানো দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন?

উত্তর হচ্ছেঃ না, নাই। আসলে এগুলো একটা ষড়যন্ত্র। মানুষকে কুরান হাদীস ছেড়ে হুজুরের

বানানো ভুয়া ইসলাম শেখানোর জন্য।

যেই দোয়া পড়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তোওবা করতেন ও আমাদেরকে পড়তে বলছেনঃ

“আরবী ছবিতে দেখুন”

উচ্চারণঃ ” আসতাগফিরুল্লা- হাল আ’যীমাল্লাযী লা- ইলা- হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তোওবা করছি।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ

“যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়”। (অর্থাত, সে যদি বড়

রকমের গুনাহগার হয়, তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।)

তিরমিযী ৪/৬৯,

আবুদাঊদ ২/৮৫,

মিশকাত হা/২৩৫৩,

হাদীসটি সহীহঃ সিলসিলা ছহীহাহ

হা/২৭২৭।

(হিসনুল মুসলিমের ২৮৬ নাম্বার পৃষ্ঠায় এই দুয়া পাবেন।)

হুজুরের বানানো দুয়া থেকে রাসুলুলুল্লাহ (সাঃ) এর দুয়া বেশি দামী। অলসতা করবেন না।

তোওবার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, আমি চাই যেই এই লেখা পড়বেন – এই দুয়াটা মুখস্থ করে নিয়মিত উঠতে বসতে, যখনই মনে পড়বে বেশি বেশি করে এই দুয়া পড়ে আল্লাহর

কাছে মাফ চাইবেন।

সুত্র: বিস্ময়(ইয়াকুব ভাইয়ের উত্তর) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ