আমলকি/পিউটন ও অনান্য এই জাতীয়ঔষধ গুলোর কার্যকারীতাঃনিজস্ব প্রতিবেদক ঃম্যাবকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইউনানী এর স্বত্তাধীকারী মোঃ আব্দুল আলিম দেশের ঔষধ প্রসাশন অধিদপ্তর থেকে ঔষধ প্রস্তুতকারক হিসেবে ম্যাবকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইউনানী নামে ঔষধ প্রস্তুত করার অনুমতি লাভ করে ঔষধের নামে বিষ খাওয়াচ্ছেন। কোন প্রকার নিয়োম নীতির তোয়াক্কা না করে ঔষধ প্রসাশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাযোগে তৈরী করছেন পিউটনসহ অনেক ভেজাল ঔষধ। মোঃ আব্দুল আলিম, বাড়ি, সুজা নগর, পাবনা। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই শিবিরের সাথে জড়িত এখন তিনি জামায়াতের একজন সক্রিয় সদস্য। অনুসন্ধানে দেখা যায় নাম সর্বস্ব ফ্যাক্টরী হেমায়েতপুরে নিমের টেক। টিন সেট ঘরের মধ্যে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে ঔষধ উৎপাদন। অবৈধ ও ভেজাল ঔষধ তৈরী করে তিনি এখন প্রচুর অর্থ ও সম্পত্তির মালিক। ঔষধ প্রসাশনের অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ফ্যাক্টরীর নিয়ম নীতি না মেনেই তিনি পেয়ে যান ঔষধ প্রসাশনের লাইসেন্স। তিনি এখন বিশিষ্ট ঔষধ প্রস্তুত কারক। অপরাধ বিচিত্রা অনুসন্ধানে পাওয়া যায় ঔষধ প্রসাশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে তার একটা আর্থিক সম্পর্ক রয়েছে যার বদৌলতে তিনি পিউটন সহ অনেক ভেজাল ঔষধ তৈরী করে বাজারজাত করছেন। তার লাইসেন্স নবায়নের জন্য ফ্যাক্টরী পরিদর্শনকারী পরিচালক মোঃ গোলাম কিবরিয়া ও সহকারী পরিচালক মোঃ ইয়াহিয়া এর সাথে তার মাসিক হারে আর্থিক লেনদেন হয় বলে যানা যায়। পিউটন নামে যে সিরাপটি এই কোম্পানী বাজারজাত করছেন তার গায়ের কার্যকরীতার সাথে ঔষধের কার্যকারীতার কোন মিল নেই। এই ঔষধটি খাওয়ার সাথে সাথে শরীর ফুলে উঠে এবং শরীরে গোটা দেখা দেয়। আবার কয়েকদিন পরেই শরীর শুকিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সাফেনা মেডিকেল কলেজে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মনোয়ারা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান এ সকল ঔষধে মূলত ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করা হয়। যার কারণে শরীরের কোষ গুলোতে পানি জমে শরীর ফুলে উঠে আবার ঔষধের কার্যকারীতা শেষ হয়ে গেলে শরীরের কোষ গুলো শুকিয়ে যায়। যার কারণে পরবর্তীতে রোগীর এলার্জি, শ্বাশকষ্ট, কিডনী সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যা দেখা যায়। যা পরে এক সময় ক্যান্সারের মত রোগ ধারণ করতে পারে। এখনই এই ধরণের ঔষধ বন্ধ করা উচিত। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় ঔষধ বাজার মিট ফোর্টে অনুসন্ধান করে দেখা যায় ইউনী ড্রাগের ইউনীলাহাম এবং ইউটন ঢাকা ফার্মার আমলকি, জেনিয়াল ফার্মার লিমোজিন, হিমোজিন, বায়ো মেডিক্স ফার্মার রেমিটন, হ্যাপি ফার্মার ক্যারট আমলকি প্লাস, এবি ফার্মার জাইমোছেফ সহ এই সকল ঔষধ একই মান সম্পন্ন যাহা রোগীর জন্য খুব ক্ষতিকর।
এই এধরণের ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। এগুলোর সাথে স্টেরয়েড মিশ্রিত উপাদান আছে। এগুলো সেবন করলে খাওয়ার অতিরিক্ত রুচি বেড়ে যায়, ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি খাওয়া দাওয়া হয়, এতে করে শরীরের পানি ও চর্বি জমে শরীর সাময়িক মোটা দেখাবে, এতে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমূহ লিভার কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি খাওয়া বন্ধ করলে আবার চিকন হয়ে যাওয়া, অরুচি, খিটখিটে মেজাজ ঘুমের সমস্যা, স্বাভাবিক খাওয়ার রুচি ও চাহিদা কোন টাই থাকবেনা, বিষন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দিবে। কোনো রেজিস্টার্ড চিকিত্সক কাউকে এই ধরণের ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেয়না। আমিও দিলাম না।