মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়------>>>>
মোটা হবার অব্যর্থ্য ঔষধ হচ্ছে আতপ
চালের ভাতের মাড় এবং পাতলা করে
রান্না করা সুজি। একমাসের মধ্যে মোটা
হবেন, আপনার কোলেষ্টরেল বেড়ে যাবে
তখন দেখবেন মেলা অসুখ আমন্ত্রিত হয়ে
আপনার দেহে স্থায়ী বাসা বাঁধছে। তখন
আবার চিকন হতে চাইবেন! তাই এই মোটা
চিকন যুদ্ধে না গিয়ে যদি পারেন তো সুস্থ্য
থাকার চেষ্টা করুন
শুনতে অবাক লাগলেও এই উপায়ে ওজন বাড়ানো যায় কিন্তু আপনি যখন বিশেষ করে সকালের নাস্তা পরিহার করবেন তখন শরীর ভাববে আপনি হয়তো সারাদিন না খেয়ে থাকবেন। তখন শরীর থেকে ক্যালরিগুলো ফ্যাট হিসেবে যোগ হয়। এবং এই পদ্ধতিটি থেকে আরও বেশি লাভ পেতে ১০-১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকুন, দুপুরে লাঞ্চের সময় একসাথে অনেক খাবার খেয়ে নিন। এই উপায়ে আপনার দেহ সব ক্যালরি দেহেই জমিয়ে রাখবে এবং ওজনও বৃদ্ধি পাবে। কম ঘুমান কম ঘুমিয়েও চাইলে আপনি মোটা হতে পারেন। কম ঘুমালে দেহ ক্লন্তি অনুভব করবে ও কম ঘুম হওয়ার কারণে মানসিকচাপ থাকবে। মানসিক চাপের কারণে অনেকেরই খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং শুধু তাই নয় মানিসিক চাপের কারণে দেহে যে হরমোনের পরিবর্তন হয় এর জন্যও ওজন বেড়ে থাকে। এছাড়াও কম ঘুমালে আপনি খাওয়ার অনেক সময় পাবেন ওজন বাড়ানোর জন্য। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন। তেলে ভাজা খাবার খান ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রাইড অনিয়ন রিংস ইত্যাদি, সবগুলোই খুব ভালো খাবার যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য। তবে এই ধরণের খাবারগুলোতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সেচুরেটেড ফ্যাট। সেচুরেটেড ফ্যাট শুধুই আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে না সাথে সাথে দেহেও দেখা দিবে নানা ধরণের সমস্যা বিশেষ করে হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে সেচুরেটেড ফ্যাটের কারণে। তবে আপনি যদি প্রিতিদিন আলুর ফ্রাই খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। পানি খাওয়া কমিয়ে দিন আপনি যদি সত্যিই মোটা হতে চান তাহলে পানি কম খান। কারণ অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার কারণে আপনার ওজন কমতে পারে। তাই পানি কম খেয়ে কোমল পানীয় খেতে পারেন আর এগুলো যদি না খেতে পারেন তাহলে বেশি মিষ্টি দিয়ে চা খান। ফাস্টফুড খান বেশি করে ওজন বাড়াতে খেতে পারেন ফাস্টফুড। এই খাবারগুলো শুধু আমাদের ওজনই বাড়ায় না ফাস্টফুডের খাবারগুলো বাস্তবেই অনেক সাহায্য করে ওজন বাড়াতে। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে মাঝে মধ্যেই খেয়ে নিন ফাস্টফুড। ব্যায়ামকে একেবারেই না বলুন মোটা হওয়ার জন্য দেহে ক্যালরির প্রয়োজন। আর যদি আপনি ব্যায়াম করেন তাহলে দেহ থেকে ক্যালরি কমে যাবে তাই মোটা হতে চাইলে ব্যায়াম করা যাবেনা। কাছে কোথাও যেতে চাইলে না হেঁটে গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন, সিঁড়ি দিয়ে না উঠে লিফট দিয়ে উঠুন এবং দীর্ঘ সময় ধরে টিভিও দেখতে পারেন। এইভাবে দেহের বাড়তি ক্যালরিগুলো দেহেই থেকে যাবে এবং ওজন বৃদ্ধি পাবে।
খাওয়াদাওয়া একটু পরিবর্তন করুন--
একটু ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন, ভাতের বদলে ডাল এবং সবজিসহ রান্না করা খিচুড়ি খান । ভাত খেতে হলে বসা ভাত রান্না করুন কিংবা রাইস কুকারে রান্না করা ভাত খান । ফ্যান বা মাড় ঝরানো ভাত খাবেন না । রুটি খাবেন না । পাউরুটি খেলে জেলি/জ্যাম অথবা মাখন সহ খান । প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম দুধ খান । দিনে ২ টি ডিম খান । অতিরিক্ত চা কফি খাবেন না । কখনই খাবার বাদ দেবেন না । দ্রুত কোথাও যেতে হলে বা কাজ থাকলে পথে খাবারটা খেয়ে নিন । খাবার বাদ দিলে শরীরের ক্ষতি হয় । তিনবেলা খাওয়ার সাথে সাথে বিকালে নাস্তা করুন । এবার আসুন এক্সারসাইজে, জিমে গিয়ে কখনই ব্যায়াম করবেন না।হাল্কা ব্যায়াম করুন ।দৌড়ান , সাইকেল চালান, সাতার কাটুন । অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না ।
প্রতি বেলায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সমন্বয় থাকতে হবে। মোটামুটি ৪০ শতাংশ প্রোটিন, ৩০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ৩০ শতাংশ ফ্যাট হতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, টক দই, লাল চালের ভাত, আটার রুটি, শাকসবজি, ফলমূল, প্রচুর পানি পান করুন। প্রথম দুই সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০০ ক্যালরি খাবেন। মেপে খেতে হবে না। প্রোটিন যেন যথেষ্ট হয়। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কিছু না কিছু খাবেন। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি।
**রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস দুধ আর এক চামুচ মধু খাবেন।
**সকালে খালি পেটে অন্তত দুই গ্লাস পানি সকাল ৯-30 টার মধ্যে যে কোন নাস্তা সেরে নিন।
**খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান ৪-৫ বার খাবেন। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাবেন। সম্ভব হলে দুপুরে খাওয়ার পর ১ ঘন্টা ঘুমাবেন
**খাবারে রুচির জন্য সকালে খালি পেটে ১-২ চামচ নিমের রস অথবা কখনো চিরতার পানি খান মাঝে মাঝে অর্জুনের ছাল ভিজিয়ে খাবেন। অর্জুন গ্যাস্ট্রিক, বদ হজম এর জন্যও ভাল কাজ করে। নিম, চিরতা, অর্জুন এই ৩টিই ক্ষুধা বৃদ্ধি করে এবং রুচি বাড়ায়।
** ক্যলরি যুক্ত খাবার বেশি খেতে পারেন
পাউরুটি জুস,