শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এই সময়ের করনীয়- ১। গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের চাপে ঘর্মগ্রন্থিটি কিংবা ঘাম শরীরের বাইরে বহনকারী সেই নালীটিই ফেটে যায় এবং ত্বকের নিচে ঘাম জমতে থাকে। ত্বকের নিচে জমে থাকা এ ঘামই ঘামাচি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পানির মধ্যে চন্দন পাউডার মিশিয়ে ওই পানি গরম করে নিন। গোসলের পানির মধ্যে ওই পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এতে আপনার মধ্যে দিনভর সতেজ ভাব বজায় থাকবে। ২। গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় লবণ আর পানি। এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এ পানির অভাবও পূরণ হওয়া চাই। গরমে ডাবের পানি ভালো। ডাবের পানি ঘামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। পানি আছে এমন শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন লাউ, শসা, গাজর, আলু, তরমুজ, ফুটি, পেঁপে ইত্যাদি। ৩। প্রচুর পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বেশি গরমে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে হতে পারে হিট স্ট্রোক। জ্বর, ঘামহীন শুষ্ক ত্বক, শ্বাস প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, এমন কি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ৪। বাইরে বের হলে মুখে সানস্কি্ন দিন, ছাতা ব্যবহার করতে পারেন রোদে। এই গরমে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন, প্রচুর পানি খান, বার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন এবং সবার ওপরে নিজের ত্বককে ভালোবাসুন। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হলো সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। এর পাতার ভেতরের থকথকে আঠালো অংশটুকু সরাসরি ত্বকে লাগাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করবেন, ত্বকের জ্বালাভাব কমে যাচ্ছে এবং নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বক ফিরে পাবেন। এটি যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবণতা যাদের বেশি তারা এর থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন। ৫। গরমে বাইরে রোদে ধুলোময়লা, রোদের তাপ, বেশিক্ষণ এয়ারকন্ডিশনে থাকা, এ রকম নানা কারণে আমাদের চুল সৌন্দর্য ও কোমলতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়।খেয়াল রাখবেন চুলের মধ্যে যেন হাওয়া চলাচল করতে পারে।ধুলো-ময়লা, বৃষ্টির পানিতে ভিজে অনেক সময় চুল নিস্তেজ হয়ে যায়।চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ভালো কোম্পানির কন্ডিশনার লাগান।প্রতিকদিন কিছুটা সময় চুলের যত্ন নিন। ৬। গরমকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসের বেশি বংশবিস্তারের আশঙ্কা থাকে। খাবার বা পানিবাহিত অসুখ, সেমন- টাইফয়েড, জন্ডিস এসব অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ এ সময় বেশি হয়। সে জন্য ফুটপাতের শরবত, খোলা খাবার বা কাটা ফল খাওয়া পরিহার করা উচিত। বাহিরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে বার বার অল্প পরিমাণে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। টক দই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গরমে নানাভাবে টক দই খাওয়া দরকার। ৭। প্রতিদিন সকালে নরম তরল জাতীয় খাবার খান, সাথে সব্জি জাতীয় খাবার আবশ্যই তাছাড়া শরীর কষা হয়ে যাবে। লেবুর শরবত খান বেশিবেশি। অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করুন। ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। (না খাওয়াই ভাল) ৮। পাতলা সুতি পোষাক পরিধান করুন। আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন করুন যে কোন পার্টিতে/অফিসে। ৯। রোদ থেকে এসেই গোসল করবেন না, একটু ঠান্ডা হয়ে গোসল করুন। রোদ থেকে এসেই হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ও চুল ধুয়ে ফেলুন। বাইরে থেকে এসে সাথে সাথেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাবেন না। ১০। রাতে ও সকালে ২ বেলা গোসল করুন পারলে। রাতে ঘুমানোর আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে ঘুমাতে যান, আরাম পাবেন। ১১। ডায়রিয়া হলে প্রচুর তরল খাবার খান এবং খাবার স্যালাইন খান। দ্রুত নিকিটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। বাড়িতে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যাগে সবসময় প্যাকেট খাবার স্যালাইন সাথে রাখুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

প্রচণ্ড গরমে করনীয়ঃ

প্রতিদিন গোসল করা

পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাওয়া, (যেখানে স্বাভাবিকের পরিমান প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি সেখানে ১৪-১৫ গ্লাস পানি খাওয়া প্রয়োজন)

লো-ক্যালরি কিন্তু রসালো মৌসুমি ফল ও সবজি খাওয়া প্রয়োজন, যেমন-তরমুজ, খিরা, শশা, ডাবের পানি, পেপে, জামরুল, বেলের সরবত, পাকা আম সারারাত বালতির পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া

দই কিংবা লাস্সি হতে পারে একটি ভাল খাবার

সবসময় ভেজা খাবার গ্রহণ করে শুকনা খাবার বর্জন করা প্রয়োজন

মাংসের চেয়ে মাছ ভাল। কম মশলাযুক্ত খাবার, গুড়া মরিচের স্থলে কাঁচামরিচের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত ভাল এবং স্বাস্থ্য সম্মত।

অসহ্য গরমেও যদি খাবার-দাবার একটি নিয়মের মধ্যে করা হয়, তাহলেও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষ করে গরমে যেসব রোগ হয় যেমন জ্বর, আমাশা, ডায়রিয়া ইত্যাদি- এগুলোর প্রদূর্ভাব অনেক কম থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

যেহেতু, রোজার সময় , সেহেতু  সেহেরীতে  প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে পানি স্বল্পতা কিছুটা হলেও দূর হবে । তাছাড়া সেহরীতে কম পানি টানে এমন সব খাবার খেতে হবে । প্রচন্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে দিনে কমপক্ষে দু'বার ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে । 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
TarikAziz

Call

শুধু গরমের সময়টাতে নয়, মানুষের শরীরের জন্য সুস্থতা দরকার সার বছরই। তবু বিভিন্ন রকম অসুখ বিসুখ আমাদের আক্রমণ করে। ঋতুর ধরণ বুঝে অসুখের ধরণও পাল্টে যায়। যেমন প্রচন্ড গরমের কারণেও অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন অনেকেই। তাই গরমের সময়টাতে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। চলুন, জেনে নেয়া যাক-


প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। পানি শরীরের অভ্যন্তরকে পরিশোধিত করে। শরীরে ঘাম বেশি হলে সেক্ষেত্রে পানিতে খানিকটা লবণ মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে খাবার স্যালাইন পান করলে ভালো হয়। ঠাণ্ডা লেবুর শরবত কিংবা তরমুজ জাতীয় রসালো ফলও এ সময় খাওয়া যেতে পারে।


প্রচণ্ড গরমে অনেকেরই চোখ জ্বালা করে। এই পরিস্থিতিতে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম লাগবে। পারলে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা পরিবেশে বিশ্রাম নিতে হবে, পান করে নিতে হবে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি।


এনার্জি ড্রিংকস কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা হয় যা শরীরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অন্য পানীয় পানে বিশেষ কোনো উপকার নেই। বিশেষ করে অ্যালকোহলযুক্ত বেভারেজ পান করলে শরীরে আরো বেশি পানি স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। তাই পানি স্বল্পতারোধ করতে গিয়ে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করলে শরীর আরো বেশি পানি হারাবে।


পরিচ্ছন্নতার জন্য গরমকালে দুবার গোসল করে নেয়া ভালো। দুর্গন্ধ দূর করার জন্য বারবার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তবে গোসলে বিশেষ ধরনের সাবান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ব্যবহারে উপকার আছে।


গরমের সময় সালাদ একটি উপাদেয় খাবার। দই, শসা, টমেটো, গাজর, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে সালাদ করা যায়। অনেক সময় এর সঙ্গে পাকা পেয়ারা ও আপেল দিয়েও সালাদ করা যায়। সালাদ তৈরি করে ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে পরে খাওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে টকদই বা কাগজি লেবুও দেওয়া যেতে পারে। লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম, যা দেহকে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বক মৃসণ রাখে।


অতিরিক্ত গরমে অনেক সময় হজমে সমস্যা হয়। তাই সাধারণ খাবার, যেমন-ভাত, মাছ, ডাল, ভর্তা ইত্যাদি খাওয়াই ভালো।


সূর্যের দাবদাহ থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য শরীরের উন্মুক্ত অংশে সানস্ক্রিন ক্রিম মাখা যেতে পারে। সানস্ক্রিন প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর মাখতে হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন বা সানব্লকার ক্রিম পাওয়া যায়। আমাদের দেশের জন্য এসপিএফ-১৫ শক্তিসম্পন্ন সানব্লকারই যথেষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ