চুল পড়া বন্ধে করুণীয় কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

*

হরমোনগত, বংশগত, খুশকি, বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনী সামগ্রী চুলে ব্যবহার, অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া, স্ক্যাল্পের কোনো রোগ, অ্যানিমিয়া, বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ঘুম কম হওয়া, ভিটামিন ই এবং সি-র অভাব, 

মানসিক চাপ টেনশন ও অন্যান্য কারণে চুল পড়তে পারে, চুল পড়া সমস্যার জন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।


নিচের ঘরোয়া টিপস টি অনুসরণ করে দেখতে পারেন।



পেঁয়াজের রস বের করে বাটিতে নিন। রসে তুলার ভিজিয়ে হাতের সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁয়াজের রস একটানা সাতদিন ব্যবহারের পড়েই আপনি এর কার্যকারিতা দেখতে পাবেন। 


আমলকির রস নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ার লাগালেও উপকার পাওয়া যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ক্যাস্টর অয়েল চুল পড়া সমস্যার সমাধানের জন্য যে সমাধানটি সবচাইতে বেশী কার্যকর তা হচ্ছে ক্যাস্টর অয়েল। বিভিন্ন উপায়ে এই ক্যাস্টর অয়েল চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারলে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই নিরাময় করতে পারবেন। শুধু তাই নয় নতুন করে চুল গজাতেও সাহায্য করবে ক্যাস্টর অয়েল। আর সেই সাথে চুল ও মাথার ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন চিরকালের জন্য। জেনে নিন ব্যবহারবিধি – শুধুমাত্র ক্যাস্টর অয়েল হাতে তালুতে নিয়ে চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসেজ করার অভ্যাস অনেকটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম। – তবে লক্ষ্য রাখবেন অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যাতে না করা হয়। কারণ ক্যাস্টর অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশী ঘন থাকে যা ধুয়ে ফেলতে কষ্ট হবে। – সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন যদি পুরোরাত ক্যাস্টর অয়েল চুলে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারলে। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন ক্যাস্টর অয়েল। – কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রথমে চুল ধুয়ে নিন ভালো করে। লক্ষ্য রাখবেন যেন পানি বেশী গরম না হয়ে যায়। ২ ভাগ সাধারণ পানির সাথে ১ ভাগ গরম পানি মিশিয়ে নিন সঠিক তাপমাত্রার জন্য। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। – আপনি শুধু ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে না চাইলে এতে অন্যান্য তেল যেমন অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ইত্যাদি মিশিয়ে নিতে পারেন। এতেও বেশ ভালো ফলাফল পাবেন। – প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো ফলাফল পাবেন। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নিচের ছয়টি নিয়ম অবলম্বন করুন। আশা করি চুল পরা বন্ধ হবে ভিটামিন নিন চুলের জন্যে শরীরের সঠিক ভিটামিন সরবরাহ করা নিতান্তই প্রয়োজনীয়। দরকারি ভিটামিনের অভাবে চুল পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ট্যাবলেট গুলো খেয়ে সেই ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকের কোষগুলোকে উৎপাদনক্ষম রাখে। ভিটামিন এ হচ্ছে অ্যাণ্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাথার ত্বকে সেবাম (তৈলাক্ত অংশ) উৎপাদন অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়। আর ভিটামিন বি আমাদের শরীরে মেলানিন তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের গায়ের রঙ এই মেলানিনের কারণেই হয়ে থাকে, আর চুলের রঙও। তাই যদি শরীরে মেলানিনের উৎপাদন বাড়ে তাহলে তার প্রভাব আমাদের চুলের রঙের ক্ষেত্রেও পরবে। আর তাছাড়া মেলানিন আমাদের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। *ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ভিটামিন নিবেন না। ২.গরম তেল চিকিৎসা ওরফে হট অয়েল ট্রিটমেন্ট গরম তেল চিকিৎসা শব্দটা হয়তো নতুন নতুন শুনলেন । কারণ এটা প্রচলিত শব্দ না। হট অয়েল টিটমেন্ট শব্দটাই বহুল প্রচলিত। নারিকেল তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি যেকোনো প্রাকৃতিক তেলকে কোন পাত্রে নিয়া হালকা করে গরম করে নিন। এরপর হাল্কা গরম তেলকে মাথার ত্বকে ভালো করে মেসেজ করে নিন। এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ঢুয়ে ফেলুন। চুলের জন্যে হট অয়েল ট্রিটমেন্ট বেশ উপকারি। *বেশি গরম তেল ব্যবহার করলে হাত আর মাথার ত্বক দুইই পুড়ে যেতে পারে ৩. গ্রিন টি ব্যবহার করুন বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্রিন টি পাওয়া যায়। সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো ব্র্যান্ডেরটা কিনে নিন। এবার হাল্কা গরম পানি একটা কাপে নিয়ে সেটাতে দুইটা টি ব্যাগ ব্যবহার করুন। পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সারা মাথায় সেটাকে ব্যবহার করুন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টিতে অ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা মাথার ত্বকে সেবামের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। ৪. চুলে পেয়াজের রস ব্যবহার করুন বাজারে দেশি পেয়াজ ভালো দেখে কিনে এনে সেটাকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সেই রসটুকু মাথার ত্বকে মাখুন।চুল পড়া বন্ধে নিয়মিত পেয়াজের রস ব্যবহার করা বেশ উপকারি। তাছাড়া আদার রসও মাথার ত্বকে ব্যবহার করা যাবে। ৫. মাথায় যতটুকু চুল আছে তার যত্ন নিন যেহেতু এই পোস্টটি আপনি পড়ছেন তাই ধরেই নিচ্ছি আপনার মাথায় চুলের পরিমাণ বর্তমানে তুলনামূলক কম। তাই বর্তমানে যতটুকু অবশিষ্ট আছে সেইটুকুর যত্ন নেয়া উচিৎ। চুলে কমদামী জেল বা অন্য কোন সস্তা চুলের প্রোডাক্ট লাগাবেন না। গোসল করার পর তোয়ালে দিয়ে জোড়ে জোড়ে চুল ঘসে শুকানোর চেষ্টা করবেন না। অনেকেরই অভ্যাস আছে ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানোর। এই অভ্যাসকে পরিত্যাগ করতে হবে। সাইকেল বা হোন্ডা চালালে নিশ্চয়ই হেলমেট পড়তে হয়। যার ফলে মাথার ত্বক ঘামে। তাই হেলমেট খোলার সাথে সাথেই মাথার অতিরিক্ত ঘাম মুছে ফেলতে হবে। ঘামে থাকা এসিড চুল পড়ার জন্যে দায়ী। ৬.নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন মানসিক চাপ চুল পড়ার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তাই সবসময়েই নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রেখে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করবেন। নিজের মনকে সুন্দর করে গড়ে তুলুন । তাহলেই নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখতে পারবেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান, বন্ধুদের সাথে সময় কাটান, আপনি যা করতে ভালোবাসেন সে কাজের জন্যে সময় দিন। নিয়মিত ২০-৩০ মিনিটের ব্যায়াম করুন, সাইকেল চালান তাহলে নিজেকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখার আশা করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ