কম ঘুমানো,বেশি টেনশন করা এবং শারিরীক দূর্বলতা কারনেও চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে.... প্রথমতো রাত জাগা এবং অতিরিক্ত চিন্তা করা বন্ধ করুন.... আর এই কালো দাগ দূর করতে আলু বেটে তা চোখের নিচে লাগান কিছু দিন দেখবেন আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।। সেই সাথে নারিকেল তেল,হলুদ আর ময়দা দিয়ে একটি পেষ্ট আকারে তৈরি করুন আর সেটা চোখের নিচে প্রলেপ দিয়ে রাখুন ১৫-২০মিনিট।। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে পেলুন দেখবেন কয়দিন ব্যবহারের পর সুফল পাচ্ছেন.......
বিভিন্ন কারন ও প্রতিকার: ঘুম কম হওয়ায় বা দীর্ঘদিন কোনো অসুখে ভোগার কারণে চোখের নিচে কালি পড়লে তার জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তা এমনিতেই চলে যাবে। চোখের নিচের কালি প্রতিরোধে রোদে যাওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করুন। সানব্লকও ব্যবহার করতে পারেন। রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিলের পরামর্শগুলোও দেখে নিতে পারেন। যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। প্রচুর পানি ও দুধ পান করুন। কুচি করা শসা দিয়ে গোল বল বানিয়ে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। এ অবস্থায় অন্ধকার ঘরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকুন। একই পদ্ধতিতে শসার পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কুচি করা আলু। কদম ফুলের পাপড়ি বেটে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের নিচের কালো দাগ অনেকটাই দূর হবে। এটি না পেলে পুদিনাপাতা বা নিমপাতাও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া কালি দূর করার জন্য চোখের নিচে লাগানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করবেন। কোনো বিউটি পারলারে এসে প্রতি ১০ দিন পর পর আই ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। করাতে পারেন হোয়াইটেনিং ফেসিয়ালও। হরমোনজনিত সমস্যা বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে বংশানুক্রমিকভাবে চোখের নিচে কালি হলে, তা দূর করার জন্য তেমন কিছুই করার থাকে না।
খোসাসহ আলু বেঁটে চোখের নিচে লাগাতে হবে। তিন চার দিন এই পেস্টটি ব্যবহার করুন। চোখের নিচের কালো দাগ দুর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তবে সাবধান রান্না ঘরের শিলপাটা দিয়ে বাঁটতে হলে দেখে নিন আগে মরিচ বাটা হয়েছে কি না !!! আর হ্যাঁ দাগ মুক্ত হয়ে যাবার পর আপনার জন্য রাত্রি জাগরন নিষিদ্ধ!!! টেনশন করবেন না,টেনশন করা থেকে বিরত থাকুন........
চোখের নিচের অংশে ফ্লুইড জমা হতে থাকার কারণে চোখের নিচটা ফুলে যেতে থাকে এবং চোখের নিচে কালি পড়ে। এর পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে কেবল ঘুম না হওয়া, কম্পিউটারের মনিটরের সামনে বসে থাকাই চোখের নিচে কালি পড়া কিংবা চোখ ফুলে যাওয়ার প্রাথমিক কারণ নয়। বরং নাসারন্ধ্রিতে সমস্যা, বংশগত সমস্যা, এলার্জি, মূত্রগ্রন্থিতে সমস্যা কিংবা রক্ত চলাচলে সমস্যা থাকার কারণেও চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। মূলত চোখের নিচের কালি হওয়ার পিছনে তিনটি কারণ থাকে। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা চোখের নিচে কালি পড়ার খুব প্রচলিত একটি কারণ হলো কোন কারণে খুব বেশি চাপে থাকা বা কোন ব্যাপার নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া কেউ যদি দিনে কমপক্ষে আট ঘণ্টা না ঘুমায়, তাহলে তার চোখের নিচে কালি পড়ার সম্ভাবনা থাকে।আট ঘন্টা সম্ভব না হলে অন্ত ছয় ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পানিশূন্যতা শরীর থেকে অনেক বেশি মাত্রায় পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক শুষ্ক এবং শরীর দূর্বল হয়ে যায়। এর ফলে চোখের নিচে কালি পড়ে। এখন গরম পরে গেছে, শরীর থেকে তাই ঘামও বের হয় প্রচুর। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেয়ে এর মাত্রাটা ব্যালেন্স করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনার চোখের নিচে কালি পরবে না- -সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায় এবং এটি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। -চোখের নীচে কালোদাগ দুর করতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান, সবুজ শাক-সবজি আহার এবং নিয়ম মাফিক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা ও মানসিক চাপ কমাতে হবে৷ -মাল্টিভিটামিন খেলে, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম খাওয়াও চোখের নিচে কালি দূর করতে সাহায্য করে। -বিভিন্ন ধরণের এলার্জির ওষুধ নাসারন্ধ্রির সমস্যা দূর করতে পারে। -লবণ কম খেলে এবং ধূমপান ছেড়ে দিলে রক্ত চলাচল বাড়ে। -যদি আপনার চোখ কচলানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটি বাদ দিন। কেননা এটি আপনার ত্বকের নিচের রক্ত কণাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু যদি আপনার চোখের নিচে কালি পরেই যায় এরমধ্যে তাই আপনি কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের নিচের কালি দূর করতে পারেন – •কয়েক টুকরা শসা এবং আলু নিন। ঠাণ্ডা পানিতে এগুলো এমনভাবে পেস্ট করে নিন যাতে একটি তরল মিশ্রণ তৈরি হয়। কিছু তুলা এই মিশ্রণে ভিজিয়ে নিন এবং চোখের নিচে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ কমে যাবে। • চোখের নিচে যেখানে কালি পড়েছে, সেখানে আমলকী তেল লাগিয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন। তাহলে চোখের নিচের কালি কমে যাবে বলে আশা করা যায়।