আমার যোহোরের নামাজ কাযা হয়। কারন আমি তখন স্কুলে থাকি। যদি কাযা নামাজের নিয়্যাত থাকে তাইলে যোহরের কাযা নামাযের নিয়্যাত টা কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কাযা নামায এবং ওয়াক্তিয়া নামাযের নিয়ত একই রকম তবে এইটুক পার্থক্য যে কাযা নামাযে (আন উসালি্লয়া) শব্দের জায়গায় (আন আকদিয়া) এবং যে নামায তাহার নাম বলিয়া (আল ফাইতাতে বলিতে হইবে। যথা- যোহরের নামায কাযা হইলে নিম্নরূপ নিয়ত বলিবেন: نَوَيْتُ اَنْ اَقْضِىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَاتِ صَلَوةِ الْعَصْرِ الْفَا ئِتَةِ فَرْضُاللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِالشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল যোহর ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কাযা নামাজ আর আদা নামাযের নিয়তের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নাই, আপনি যখন নামাজ পড়তে যাবেন তখন আদা নামাজের স্হলে কাযা নামাজের নিয়ত করলেই চলবে,আর উহা আপনার মাতৃ ভাষায় বললেও কোন অসুবিধা নাই,যেমন আপনি জুহরের নামাজের নিয়ত করবেন এভাবে""আমি আজকের জুহরের নামাজের কাযা করতেছি'"'

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
mosibulsk

Call

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى “কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে যা সে নিয়ত করবে।” (বুখারী ও মুসলিম) নিয়ত আরবী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে ইচ্ছা বা সংকল্প। নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর। তা মুখে উচ্চারণ করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি যখন ওযু করবেন তখন এটাই একটা নিয়ত। একজন বিবেকবান, সুস্থ মস্তিষ্ক, বাধ্য করা হয়নি এমন লোক কোন কাজ করবে আর সেখানে তার কোন নিয়ত বা ইচ্ছা থাকবে না এটা সম্ভব নয়। এজন্য কোন কোন বিদ্বান বলেছেন, (নিয়ত ছাড়া কোন আমল করা যদি আল্লাহ্‌ আমাদের প্রতি আবশ্যক করতেন, তবে তা হতো সাধ্যাতিত কাজ চাপিয়ে দেয়ার অন্তর্গত।) তাছাড়া রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ ব্যাপারে কোন দলীল প্রমাণিত নেই। না প্রমাণিত আছে ছাহাবায়ে কেরাম থেকে। যারা মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পাঠ করে আপনি দেখবেন তারা হয় মূর্খ নতুবা কোন আলেম বা মুরব্বীর অন্ধানুসারী। মুখে নিয়ত পাঠকারীদের যুক্তি হচ্ছে, অন্তরের ইচ্ছার সাথে মুখের কথা ও কাজের মিলের জন্য নিয়ত পাঠ করা উচিৎ। কিন্তু তাদের এ যুক্তি অসাড়। একাজ শরীয়ত সম্মত হলে রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কথা বা কাজে উম্মতের সামনে তার বর্ণনা পাওয়া যেত। (আল্লাহ্‌ই তাওফীক দাতা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

   ভাই একটা কথা বলি ।  আল্লাহকে ভয় করুন ।  নামাজ কাজা হবে শুধু তখনই যখন নামাজের কথা স্বরণ থাকে না । এরূপ অবস্থায় রসুলুল্লাহ  ( সঃ)  স্বরণ হওয়া মাত্রই নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন ( কাজা নামাজের নিয়ত হলঃ  নামাজের নিয়তে উসললিয়ার পরিবর্তে আকদিয়া বলতে হবে )  । যেকোনো ব্যস্ততা থাকুক না কেন নামাজ আপনাকে আদায় করতেই হবে ।কারণ নামাজ ঈমাণ ও কুফরের মধ্যে পার্থক্যকারী । হাদিসে আছে , যে ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাজ ছেড়ে দিল সে কুফর করল ।তাই যোহরের নামাজ টিফিনের ফাঁকে আদায় করুন । যদি সে সুযোগ না থাকে বা সে সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে একটি ক্লাস পরিত্যাগ করে হলেও অবশ্যই আপনাকে নামাজ আদায় করতেই হবে । অথবা যে বিদ্যালয়ে নামাজের সুযোগ আছে সেখানে ভর্তি হোন । এই দুনিয়াবি শিক্ষার জন্য যোহরের ফরজ নামাজ পরিত্যাগ করবেন না । বর্তমান সময়ে মানুষ অল্প অজুহাতেই ফরজ নামাজ পরিত্যাগ করছে ।এটা ঠিক না ।  যেকোনো ব্যস্ততা থাকুক না কেন অবশ্যই নামাজ আদায় করতেই হবে ।   হতে পারে এই নামাজই আপনার জীবনের শেষ নামাজ ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ