দুধ কাঁচা অবস্থায় নানা ধরনের রোগজীবাণু থাকতে পারে। দুধ ভালোভাবে ফোটালে ঐসব রোগজীবাণুর বেশিরভাগই মরে যায়, দুধও খাওয়ার পৰে উপযুক্ত ও নিরাপদ হয়ে যায়। যে কোনও অবস্থায় না-ফুটিয়ে গরু, ছাগল, ভেড়া বা অন্য প্রাণীর দুধ খাওয়া চলবে না। এরকম কাঁচা দুধ খেয়ে পেটের অসুখ থেকে শুরু করে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে যখন-তখন। আজকাল মাদার ডেয়ারি বা অন্যান্য ডেয়ারি যে দুধ সরবরাহ করে তাকে আলাদা করে ফোঁটাতে হয় না। পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে পাউচ প্যাকে ভরা এরকম দুধকে একশ' ভাগ জীবাণু মুক্ত করে ঠাণ্ডা অবস্থায় বাজারে ছাড়া হয়। এরকম দুধ না-ফুটিয়ে খেলেও দুধ থেকে শরীর স্বাস্থ্যের কোনও সমস্যা দেখা দেবে না। দুধের মাধ্যমে বিষক্রিয়ার ঘটনা প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায় কাচা দুধে তৈরি প্রসাদ বা সিনিং খেয়ে একসঙ্গে অনেক মানুষ মারাত্মক ডায়রিয়ায় আক্রানত্ত হয়ে পড়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সংবাদ অনেক আছে।
দুধ একটা বিশুদ্ধ খাদ্য কিন্তু এটা যদি অন্য প্রাণীর হয় তাহলে দোহনের সময় কিছু জীবানু দুধের সাথে চলে আসতে পারে এবং সেই প্রণীটি যদি কোন রোগের জীবনু বহন করে সেটাও চলে আসে এটা সেই প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর না হলেও আমাদের জন্য মারাত্নক হুমকি হতে পারে।যেমন টিবি হতে পারে কারন গরু মহীষে mycobacterium bovis নামক টিবির জীবানু থাকে যা শুধু এভাবেই হয়, তাছাড়া আমাশয় ,ডায়রিয়া সিগেলোসিস সহ আরো অনেক রোগ হতে পারে।তাই দুধ ভালো করে ফুটিয়ে খেতে হবে।