সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। প্রকৌশল বিজ্ঞান এর মধ্যে সবচেয়ে পুরানো হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। পানি,বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্ন উপায় নিয়েও সজাগ। Civil Engineering পুরকৌশল- প্রকৌশলবিদ্যার অন্যতম শাখা। সঙ্গত কারনেই সারা পৃথিবীর প্রকৌশল বিদ্যায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এই শাখাটি। স্বপ্ন যাদের দেশ গড়ার তাদের জন্যই পুরকৌশল। চাহিদারকথা বলতে গেলে বলতে হয় কিছু কিছু বিষয়ের চাহিদা সেই প্রাচীন কালেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। পুরকৌশল তেমনি একটি বিষয়। অনেকের ধারনা এই বিষয় পড়লে ঘুষ খেতে হয় কিংবা এই প্রকৌশলীদের বেতন নাই। কিন্তু ভাল মন্দ সম্পূর্ণ নিজের কাছে। কেউ যদি দুর্নীতি করতে চায়, যে কোন জায়গা থেকেই তা করতে পারে। ভাল থাকতে চাইলে যে কোন জায়গাতেই ভাল থাকা সম্ভব। আর বেতনের কথা বলা যায় skill থাকলে এই বিষয়ে যত উপরে যাওয়া যায়, অন্য কোন বিষয়ে তা সম্ভব না, তা দেশেই হক আর বিদেশেই হোক। আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দের গড় বেতন সবচেয়ে বেশি। তবে তার মানে এই নয় যে সবাই high salary র job পাবে, এজন্য তোমাকে সেই পর্যায়ের skill develop করতে হবে। এটা শুধু পুরকৌশল নয়, সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কি কি পড়ানো হয় – পুরকৌশল একটা ব্যাপক বিষয়। তবে interest আর পরিশ্রম থাকলে সহজেই ভালকরা সম্ভব। এইখানে প্রধানত যেই বিষয় টা পড়ানো হয় তা হল mechanics, এছাড়াড্রয়িং, designing এর উপর ও ভাল দখল থাকা চাই। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখা চারটি I. Structural Engineering II. Transportation Engineering III. Geotechnical Engineering IV. Environmental Engineering এছাড়া Water Resource কেও পুরকৌশলের একটা শাখা বলা যায় বাংলাদেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট প্রকৌশল ভার্সিটি তে সিভিলইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ আছে। কাজের ক্ষেত্র – I. সড়ক ও জনপদ II. গণপূর্ত বিভাগ III. Real estate company IV. নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ V. পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন multinational company VI. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন multinational NGO পরিশেষে বলা যায়, যাদের পুরকৌশলে আগ্রহ আছে তারা নির্দ্বিধায় এ পেশায় আসতে পার। ভালো মানের পড়ালেখায় পূর্বশর্ত ভালো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য,ভালো কলেজে চান্স পাওয়ার জন্য।
আমারও দুইটা ছোট ভাই সহ ফ্রেন্ড ও সিভিলে ডিপ্লোমা করেছে, তারা এখন বিভিন্ন প্রজেক্ট এ চাকুরী করছে।সাথে সাথে প্রায়ভেট ভার্সিটিতে বিএসসি করছে।ওদের ডুয়েট ছাড়া অন্য কোন পাবলিক ভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ নেই, তবে অনেক প্রায়ভেট ভার্সিটি আছে, এখানে ভালই সুবিধা চাকুরী ও করতে পারবে পড়তে পারবে।এরা যদি একটু ভাল চাকুরী করতে , ভাল ক্যারিয়ার করতে চায় তাহলে অবশ্যয় বিএসসি করতে হবে, তবে না করলেও বিভিন্ন প্রায়ভেট কম্পানিতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার সন্মানিতে চাকুরী করতে পারবে।ভালো একটা দিক হল সরকারি তে পিএসসি পরিক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণীর ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে।
বাস্তবতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে সিভিল কন্সট্রাকশন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে বড় বড় সরকারী/বেসরকারী প্রকল্প তৈরি হচ্ছে আর এ সকল ক্ষেত্রে প্রচুর দক্ষ সিভিল প্রকৌশলীর চাহিদা বাড়ছে কিন্তু কঠিন সত্য কথা হচ্ছে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সিভিল প্রকৌশলীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন পায় না তবে দেশের বাইরে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে সিভিল প্রকৌশলীদের চাহিদা আর বেতন অনেক ভাল। আপনার ভাইকে মনযোগ দিয়ে পড়তে বলুন, রেজাল্ট ভাল থাকলে আর কর্মে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতা থাকলে একটা সময় অবশ্যই সফল হবে। যেহেতু সরকারি পলিটেকনিকে সিভিল এ ডিপ্লোমা করছে তাই অন্য কোন দিকে ক্যারিয়ারের চিন্তা না করাই ভাল আর ডিপ্লোমায় ভাল রেজাল্ট থাকলে বিষয়ের উপর নির্ভর করে ডুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, বুয়েট সহ যে কোন কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।
:সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে কিছু ধারনা:- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ: নকশা প্রনয়ন এবং কাঠামো ব্যবস্থাপনা, পরিবহন ব্যবস্থা, এবং পরিকাঠামো নির্মাণ ৷ যে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়: প্রযুক্তিগত জ্ঞান, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, গাণিতিক বিশ্লেষণ ৷ **সব সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা অন্তত কিছু সময় "সাইটের" কাজে ব্যয় করেন ৷ আধুনিক সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা অফিস মধ্যে অনেক পরিকল্পনা বা কম্পিউটারের সাথে কাজ সম্পন্ন করেন ৷ একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নির্মাণের নকশা, অবকাঠামো উন্নতি, পরিকল্পনা, পরিবেশগত স্বাস্থ্য রক্ষার কাজ করে থাকেন ৷ কিছু জায়গায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জমি জরিপ সম্পাদন করেন ৷ **** বিশেষায়িত: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সাধারণত যেমন নির্মাণ প্রকৌশল, জিওট্যাকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূমি উন্নয়ন, পরিবহন প্রকৌশল, জলবাহী প্রকৌশল এবং পরিবেশগত প্রকৌশল সম্পর্কে পৃথক ভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হয় ৷