মধুঃ যৌন শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখার শ্রেষ্ঠ উপাদান হল মধু। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী। মধু হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। খেজুরঃ যৌন শক্তির সঙ্গে খোরমা ও খেজুরের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এ কারনেই বিবাহ-শাদীতে খোরমা- খেজুর বিলি করার আদিম রীতি চলে আসছে। খোরমা খেজুর চুষলে পিপাসা দমন হয়। অধিকাংশ হালুয়া তৈরীতে এ কারণেই খোরমা ও খেজুর ব্যাবহার করা হয়। চিকিতসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গ্রন্থেও খোরমা ব্যবহার যৌন শক্তির জন্য উপকারী বলা হয়েছে। ডিম সকালের নাস্তায় প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম খান। এটি যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং সারাদিন শরীরে শক্তি পাওয়া যায় ও শরীর চাঙ্গা থাকে। সকাল বেলা একটি সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। কারণ সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন, প্রোটিন ও শরীরের জন্য উপকারী চর্বি উপাদান। তাড়াহুড়ার সময় যদি নাস্তা খাওয়ার সময় না থাকে তাহলেও একটি সেদ্ধ ডিম খেয়েই সেরে নিন সকালের নাস্তা। সেদ্ধ ডিমে আছে ভিটামিন, প্রোটিন ও শরীরের জন্য উপকারী চর্বি উপাদান।
আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিত্সাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কিকি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার সাধিত হয়– *রসুন : যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতিঅ সহজলভ্য সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়্ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷ প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷ *পেঁয়াজ : কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকে ই ব্যবহূত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কিভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখন ও পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যায় নি৷ সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন (যাকে এক কথায় spermatorrhea বলা হয়) ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷ এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এঅটির নিয়্মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷ *গাজর : ১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷ কাজেই এখন আর দুধ্চিন্তা করবেন না৷ সমস্যার একেবারে প্রথম ধাপে আপনি বাড়িতে এই পদ্ধতি গুলি মেনে চলে দেখুন হয়তঃ প্রাথমিক ধাপে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷
* আলেমগণ লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরে গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার হয়। মাখন ও মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে (Pleurisy)তথা বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর মোটা করে। -তিব্বে নববী . হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে , নবী করীম (সঃ) একদিন হযরত জিব্রাইল (আঃ) এর কাছে নিজের যৌনশক্তির অভিযোগ করলে জিব্রাইল (আঃ) বললেন, আপনি “হারীসা” ভক্ষণ করুন। কারণ, এতে চল্লিশজন পুরুষের শক্তি রয়েছে। – তিব্বে নববী . মাযাকুল আরেফীনে হাদীসটি উল্লেখ করে টিকায় লিখা হয়েছে যে, হারীসা ভাঙ্গা গম, গোশত, ঘি ও মসলা যোগে পাক করা হয়। . ইমাম গাযযালী (রহঃ) এহইয়াউল উলুমে লিখেছেন যে, চারটি বস্তু যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। ১। চড়ই পাখি (ইউনানী শাস্ত্রের গৌরবময় হালুয়া লুবূহনকারীরে চড়ই পাখির মগজ যোগ করা হয়)। ২। ত্রিফলা (হরিতকী আমলকী ও বহেড়া) । ৩। পেস্তা। ৪। তাজা শাক-সব্জি। . * আবু নাঈম ইবনে আবদুল্লাহ জাফর কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সীনার গোশ্ত অন্য সব গোশ্ত হতে উত্তম হয়ে থাকে। আলেমগন লিখেছেন যে, এর রহস্য হলো, এই গোশ্তে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। -তিব্বে নববী। . হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুলাহ (সঃ) এর কাছে এসে অভিযোগ করল যে, আমার ঘরে সন্তানাদি হয় না। একথা শুনে রাসূল (সঃ) তাকে ব্যবস্থা দিলেন যে, তুমি ডিম খেতে থাক। . তিরমিযী শরীফ ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে উম্মে মুনযির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি নবী কারীম (সঃ) এর সামনে কিছু খেজুর ও বীটচিনি পেশ করেন। রাসূল (সঃ) উপস্থিত হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে নিষেধ করেন আর বিটচিনি সম্পর্কে বললেন যে, এর থেকে খাও। এটা তোমার জন্য উপকারী। . * উলামায়ে কেরাম লিখেছেন যে, হযরত আলী (রাযিঃ) এর তখন চোখে ব্যাথা ছিলো আর চোখে ব্যাথা অবস্থায় খেজুর খাওয়া ক্ষতিকর। এ কারনে রাসূল (সঃ) হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে বারন করেন। আর বীট লবন সম্পর্কে বলেছেন এটা খাও, এটা তোমার জন্য উপকারী এবং তোমার অক্ষমতা দূর করে দেবে। হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, খাদ্যে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা সুন্নত। আর এটাও বুঝা গেল যে, বিটচিনি খেলে দুর্বলতা দূর হয় এবং রতি শক্তিতে স্পন্দন সৃষ্টি হয়। -তিব্বে নববী . * কোন কোন বর্ণনায় আছে যে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হাসীস খুব পছন্দ করতেন। “হাসীস” তিনটি উপাদানে তৈরী হয়। খেজুর , মাখন ও জমাট দধি। এ খাদ্য দ্বারা শরীর শক্তিশালী হয় এবং রতি শক্তি বাড়ে। . যায়তুন তেল খাওয়া ও মালিশ করা, তিল ও খেজুর একত্রে ব্যবহার করা কালোজিরা এবং লুবিয়াও যৌন শক্তি বর্ধক। কালোজিরা এবং রসুনও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। . * হযরত হুযায়ল বিন হাকাম বলেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন, দেহের লোম তাড়াতাড়ি দূর করলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। -তিব্বে নববী। . ডাক্তারদের মতে এই হাদীসে বর্নিত লোম দ্বারা নাভির নীচের অবস্থিত লোমকে বোঝানো হয়েছে। আর দাড়ি কাটার বিফল হলো যৌনশক্তি লোপ পাওয়া বা কমে যাওয়া। . আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।