সাধারণত সর্দি, কাশি ও জ্বরের চিকিৎসা বাড়িতেই করা সম্ভব| জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ দিন| নাক বন্ধ থাকলে নরম কাপড় বা কটন বাড কিংবা লবণপানির ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করুন| লেবু-চা, আদা-চা বা গরমপানির মধ্যে লেবু, তুলসীপাতা ও মধুর মিশ্রণ কাশি কমানোর জন্য যথেষ্ট| যদি কাশি বেশি হয় বা কাশির সঙ্গে শব্দ হয়, তাহলে সালবিউটামল সিরাপ (এক বছর বয়সের নিচে আধা চামচ করে, দিনে তিনবার এবং এক বছরের ওপরে হলে এক চামচ করে, তিনবার) দিতে হতে পারে| আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পাঁচ বছরের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া| আর নিউমোনিয়া চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়| কিন্তু অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে অনেক জটিলতা হতে পারে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে| সুতরাং অকারণে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার না করাই ভালো| কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন- * শিশু দ্রুত শ্বাস নিলে| * বুকের পাঁজরের নিচের অংশ ভেতরের দিকে দেবে গেলে| * শ্বাসকষ্ট হলে| * শ্বাসকষ্টের জন্য খেতে না পারলে| লেখকঃ অধ্যাপক ডা· তাহমীনা বেগম শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিভাগ, বারডেম উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ২১ নভেম্বর ২০০৭