সুনামগঞ্জ এ সং ঘটিত হয় কমরেড বরুণ রায় এর নেতৃত্বে।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

 রাষ্ট্র সমানে রাজস্ব আদায়ের নাম করে দেশের সব হাওর-জলাভূমি ইজারা দিতে থাকে। বহিরাগত ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা মৎসজীবী সংগঠনের নামে কেবল হাওর নয়, নদী পর্যন্ত ইজারা নেওয়ার মতো বাহাদুরিও করেছে হাওর এলাকায়। যেমন, একটি ২০ একর বা তার ওপরের হাওর-জলাভূমি বিল (সরকারের ভাষায় যা জলমহাল) ইজারা দিয়েছে সরকার। ওই বিলের সীমানা হেমন্তকালে ২০ একর হলেও বর্ষাকালে প্লাবনে ভেসে যায় চারদিক। আর কোনো সীমানা থাকে না জলাভূমির। ২০ একরের ভেতরের মাছসহ সব জলজ প্রাণ ‘সীমানা লঙ্ঘন’ করে। ইজারাদার বাদে যদি গ্রামের কোনো দরিদ্র প্রান্তিক কৃষক বা জেলে বা যে কেউ এই ভাসান পানিতে মাছ ধরতে যায়, তবে তাকে ভয়াবহভাবে জখম হতে হয়। ইজারাদার তাকে বাধা দেয় এবং ভাসান পানিতেও তাকে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। বর্ষার ভাসান পানিতে মাছ ধরার অধিকারের দাবিতে হাওরের প্রান্তিক জনগণ সংগঠিত হয়েছে নানা সময়ে। আর এটাই ভাসান পানি আন্দোলন নামে পরিচিত। 

মূলত হাওরাঞ্চলে আশির দশকে গড়ে ওঠে ভাসান পানিতে মাছ ধরার অধিকার আন্দোলন। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ভাসান পানির অধিকারের দাবিতে সংগঠিত এই গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বরুণ রায়। মূলত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কৃষক ও ক্ষেতমজুর সমিতির সদস্য-কর্মীরা এই আন্দোলনের প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক চেহারা দাঁড় করান। 

তথ্য সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ